অজান্তে কনকলতা
তোমার বিলাসিতা
- ১৫/৩/৯৯
এখন থর থর রাত্রি
ভোর ভোর চাঁদের আলো
এখন আমি একটি কবিতা আবৃত্তি করবো
যার নাম ‘‘চন্দ্রাবতী’’
নিশ্চয়ই সনাতন কোন অখ্যাত কবির রচনা।
যা লেখা হয়েছিল তোমার অবয়ব কল্পনায়
বলতে গেলে সেই কাব্য রসের নির্যাস থেকেই
ক্রমান্বয়ে স্রষ্টা তোমার তনুকে প্রয়াস করেছেন
হাজার অব্দ পূর্বে রচিত কাব্যরস আজ সতেজ নয়-
অধুনা তোমায় নিয়ে আজও কেউ
নতুন করে ‘‘অমরাবতী’’ সাজায়।
কেউ বা তোমাকে ভাবতে পেরেই শতবর্ষের যজ্ঞ পূর্ন করে,
কাদিচৎ কেউ দূর্লভ প্রয়াস পায় বৈকি প্রনয়ে নেমন্তন্নের।
তবুও বধির তুমি ‘বনলতা সেন’’ হয়ে যাও
সুশ্রী ‘লাবন্য’ তুমি বন্যা হয়ে রবিঠাকুরেরে ভাবিয়ে
আজও নিস্তেজ নয়।
“নীরা’’ হয়ে দুমড়ে দাও সুনীল বাবুর আকুতি
সেই অখ্যাত কবি তাই আজ সহসা মুখ খোলেন না।
দূর-আজও বোধ হয় আমার কবিতা পড়া হবেনা।
‘‘অনামিকা’’ কি জানো?
এমনি করে প্রতি পূর্নিমায় আমি খাতা নিয়ে বসি
চাঁদের আলোয় হারিয়ে যাওয়া জোনাকী আমায় ধেয়ে বেড়ায়
তোমার ভাবনার ইন্দ্রজালে জড়িয়ে এই আমি হই কাব্য বিমুখ
তবুও তুমি সামান্য অস্পষ্ট নও।
চাঁদের কলঙ্ক তোমায় আচ্ছাদন করেনি
করেছে তার দূরত্ব-
রাজাধিরাজ সব বসুধার নমন
গ্রহন করেছে দাসত্ব
নভোমনি তুমি প্রখর তাপে শত পূর্নিমাকে হেলা কর
ওদের সুকরুন আকুতির এতটুকু দমন নও তুমি।
ভোরের বলয়ে আবার আমি খাতা হতে
তরুনীর ভাবনায় আত্মগাহন করি
ভাবি তার একাকীত্বকে, ভাবি তার বিলাসিতা।
যেমনি করে অনেকে গ্রসিত তোমার গেহে
অতটা তীব্র না হয়েও তীব্রতম নির্মম গ্রসন আমার।
বীতরাগ, তবুও আসক্তিতে ভুগিয়ে যা পাও
তা-ই তোমার বিলাসিতা
তোমার ঐ স্তরেই মুষড়ে পড়ে শত যুগের প্রজন্ম
কল্পনা, কবি, কাব্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।