আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত আপনাকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করার জন্য। কারন আমার লেখা পড়ে আপনি বিরক্ত হতেই পারেন। । আরেকটু বিরক্ত হতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন আমার ওয়েবসাইট http://gmshovo.info থেকে
লাইফে ফার্স্ট টাইম হলে গিয়েছিলাম। মজা নেওয়ার জন্য অবশ্যই এবং কিছুটা উৎসাহী হয়ে।
আসলে দেখতে গিয়েছিলাম যে, এখনকার বাংলা ছবির কী অবস্থা!!
প্রথমেই হলের পরিবেশ যথেষ্ট বিরক্ত করেছে। অরিজিনাল সাউন্ড বোঝা যায় না,বসার সিট খারাপ,স্ক্রীন এ প্রবলেম। এক কথায় হলের যা তা অবস্থা। আমার মনে হয় হলগুলো ডিজিটাল করা দরকার, কারন ফ্যানের নিচে ভ্যাপসা গরম আর সিগারেটের ধোয়ায় আমাদের মতো ছেলেরা মুভি দেখতে পারবে ভদ্র পরিবারের মানুষরা না।
ছবির নাম মাই নেইম ইজ খান।
অবশ্যই শাকিব খানের ছবি। প্রথমেই একটা ভূল দিয়ে ছবির শুরু। ১৮ বছরের নিচে শিশুদের যেখানে যেকোনো অপরাধের জন্য সংশোধন কেন্দ্রে রাখা হয় সেখানে মিশা সওদাগরকে কেনো কারাগারে রাখা হলো তা বুঝলাম না। এরকম ছোটো ছোটো হাজারো ভূল ছবির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে। ছবির লোকেশন নির্ধারন পুরোপুরি বাজে হয়েছে।
পরিচালকের উচিত ছিল এফডিসি ছেড়ে বাস্তব দুনিয়া দেখানো । আর তাছাড়া লোকেশনের উপর ছবির সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে, যেমন পরিচালক যখন এফডিসি ছেড়ে খোলা রাস্তায় এসেছেন তখনি ছবি দেখে মজা পাওয়া গেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ডটা ভালো ছিল। পরিচালক সামঞ্জস্যতা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছন। শাকিব খানের পকেটে টাকা নাই অথচ সে গরিবদের জন্য নিজের টাকা দিয়ে কাপড় নিয়ে আসার মতো মহৎ কাজ করেছেন।
একশন পুরাই ফাউল। পরিচালক মারামারির জন্য আরো ভালো লোকেশন সিলেক্ট করতে পারতেন। শেষের একশনটা বসুন্ধরায় না করলে ভালো হতো। আর পরিচালকের মনে হয় লোকের অভাব ছিল কারন ছবিতে মারামারির জন্য অল্প লোক ব্যাবহার করেছেন। শাকিব লাফ দেওয়ার পর হাওয়া উড়ার জায়গাটা বিব্রতকর ছিল।
আসলে হাওয়াটা এসেছিল কোথা থেকে তা বুঝি নাই, মনে হয় শাকিব খানের পিছন থেকে এসেছিল।
শাকিব ভালো এক্টিং করেছেন। অপূ এক্টিং না ওভার এক্টিং করেছে। মিশা সওদাগরকে বাদ দেওয়ার সময় হয়েছে। গ্রামের ছেলেকে দিয়ে হেলিকপ্টার চালালেন কীভাবে পরিচালক সাহেব তা বুঝে আসে নি।
গানগুলো স্মার্ট হয় নাই। ডায়ালগগুলো মোটামোটি হয়েছে, তবে নায়কের নির্ধারিত ডায়ালগটা ফাউল ছিল। পরিচালকের ক্যামেরাম্যান দক্ষ না,লাইটিং ভালো হয়নি,মাঝে মাঝে রাত কে দিন মনে হয়েছে। অপু বিশ্বাস আর তার বান্ধবীর কাপড়ে আরো স্মার্টনেস রাখা যেতো।
গল্পটা দূর্বল ছিল কিন্তু যদি এই গল্পটা দিয়ে বলিউডে ছবি করা যেতো তাহলে অসাধারন একটা ছবি হতো।
ছবিতে সবচেয়ে বেশী ভালো লেগেছে একটা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। শাকিব খানের জন্য কষ্ট লাগছে কারন অপু বিশ্বাসের মতো হাতিকে ক্যাচ নেওয়ার মতো কাজ করতে হয়েছে। তবে হ্যা,শাকিব কিন্তু সত্যি ভালো অভিনেতা, শুধু ভালো পরিচালক প্রয়োজন তাকে ফুটিয়ে তোলার জন্য। ছবিটিকে আমি দশে সাড়ে চার দেবো।
শেষ করার আগে শাকিব খানের ডায়ালগটা একবার বলে যাই,
“God gives me power,
I am the only one,
My name is khan.”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।