৫ আগস্ট ২০১০, দুপুর ১২টা
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় শুষ্ক এলাকার আন্ধারমানিকে একটি কয়লা খনির সুড়ঙ্গপথ ধসে ছয়জন শ্রমিক খনির একেবারে নিচে আটকে পড়েন। সুড়ঙ্গস্থলে উত্তেজিত জনতার হামলা। পুলিশের ধাওয়া, র্যাব মোতায়েন।
৮ আগস্ট ২০১০
দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে থানা মৎস্য কর্মকর্তা ওএসডি, তিন এএসআই ক্লোজড। ‘আটকেপড়া সুড়ঙ্গবাসী ঐক্য আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ।
অনতিবিলম্বে সুড়ঙ্গ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারকে আল্টিমেটাম, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি।
৯ আগস্ট ২০১০
সংবাদ সম্মেলনে বিরোধীদলীয় নেত্রীর অভিযোগ—
সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সুড়ঙ্গে আটকেপড়া ব্যক্তিরা বিরোধী দলের নেতা-কর্মী বলেই সরকার এই হীন কাজ করেছে।
১৩ আগস্ট ২০১০
সুড়ঙ্গে লোক আটকে যাওয়ার প্রতিবাদে বিরোধী দলের ওয়াকআউট, সংসদ বর্জনের হুমকি।
১৫ আগস্ট ২০১০
ঘটনাস্থলের অদূরে সরকারি দলের বিশাল সমাবেশে বক্তারা—সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিরোধী দল এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
লোক উদ্ধারে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস।
২২ আগস্ট ২০১০
অতিবিপ্লবী শ্রমিক মোর্চার বিবৃতি—আলোচনা ও সমালোচনার পথে না গিয়ে বলপ্রয়োগে শ্রমিক উদ্ধারের পদক্ষেপ হঠকারী ও অবিবেচনাপ্রসূত।
২৯ আগস্ট ২০১০
স্থানীয় গ্রামবাসীর উদ্যোগে দিনব্যাপী ঝাড়-ফুঁক শেষে ওঝার ভাষ্য—দুষ্ট প্রকৃতির জিন মাটির নিচে লোকগুলোকে লুকিয়ে রেখেছে।
৩০ আগস্ট ২০১০
ঝাড়-ফুঁকের আশ্রয় নেওয়ায় সম্মিলিত বিজ্ঞানসমাজের ক্ষোভ প্রকাশ।
৩ সেপ্টেম্বর ২০১০
উদ্ধারের দাবিতে রমনা বটমূলে বিপ্লবী ভাওয়াইয়া সংগীতের আয়োজন।
অনুষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত এক হাজার ৭৩০ টাকা ‘আটকেপড়া সুড়ঙ্গবাসী ঐক্য আন্দোলন’ নেতাদের কাছে হস্তাস্তর।
১২ সেপ্টেম্বর ২০১০
বিশ্বব্যাংকের বিশেষ অনুদানে সুড়ঙ্গ খননযন্ত্র আমদানির প্রস্তাব একনেকে চূড়ান্ত।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০
শীর্ষ আইনজীবীদের কড়া প্রতিক্রিয়া—আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান ছাড়া খননযন্ত্র আমদানি অবৈধ ও অসাংবিধানিক।
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০
খননযন্ত্র আমদানিতে জটিলতা: এলজিআরডি ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে রশি টানাটানি। ছাড়পত্র মিলছে না বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১০
ফ্রান্স থেকে আমদানিকৃত খননযন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ পার্টস চট্টগ্রাম বন্দর থেকে লোপাট, জড়িত সন্দেহে ধৃত তিন। কারণ অনুসন্ধানে ছয় সদস্যের কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ।
৭ অক্টোবর ২০১০
কারণ অনুসন্ধানে গঠিত কমিটির মেয়াদ আরও তিন মাস বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত। নৌপরিবহনমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি— ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।
১০ অক্টোবর ২০১০
আটকেপড়া লোকজন বেঁচে আছে কি না, জানতে ঢাকার নভোথিয়েটার মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশেষ প্ল্যানচেটের আসর আয়োজন।
১২ অক্টোবর ২০১০
শ্রমিক উদ্ধারে বিদেশি বিশেষজ্ঞের সন্ধানে মন্ত্রীসহ ২০ সরকারি কর্মকর্তার বিদেশ সফর।
১৪ অক্টোবর ২০১০
বাংলাদেশ সফরে চিলির পরিবহনমন্ত্রী—
সুড়ঙ্গে আটকেপড়া লোক উদ্ধারে বাংলাদেশকে সহায়তার আশ্বাস চিলি সরকার গভীরভাবে বিবেচনা করছে
source
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।