আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিলেটে ও টারজান বয়েজ(২০১০)

পথ থেকে পথে.............।

টারজান বয়েজের পদচারন সিলেট এ ও হয়েছে। সবুজ ভাই ,আসিফ,নিয়াজ,সোহাগ,রাসেল,সাহাদাত,পাবেল,রুশো,বাপ্পি,সাইদুল আমাদের এই দশ জন নিয়ে যাত্রা শুরু করি। ঈদের রাতে(২০১০) আমরা রাত ১১ টা সিলেট মৌলভী বাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। রাত ৩ টায় আমরা মৌলভী বাজার পৌছাই।

এখান থেকে আমরা মাধবকুন্ড যাব কিন্তু এতো রাতে সেখানে যাবার মতো কনো গাড়ি ও পেলাম না। আর এতো রাতে নতুন স্তানে রাস্তায় থাকা ঠিক না। আশে পাশে একটা মানুষ নেই। আমরা দশ জন এক সাথে ছিলাম বলে সাহস করে প্রায় ২কি:মি: পথ হাটার পর হঠাং করে একটা বাস এলো। সবাই বাসে করে কাঠালতলী নামলাম কাঠালতলী পৌছালাম ভোর ৪টা।

সেখান থেকে মাধবকুন্ড ৮কি:মি: পথ। সকাল ৭টার আগে কনো গাড়ি পাওয়া যাবে না। কি আর করার ৫:৩০ মিনিট পযন্ত অপেক্ষা করার পর ৮কি:মি: পথ হাটা শুরু করলাম। তবে আমাদের সব ধরনের সাপোট দিয়েছেন সবুজ ভাই । দীঘ ৮ কি:মি: পথ হাটার পর অবশেষে মাধবকুন্ডের দেখা মিল্লো।

মাধবকুন্ড ১০টাকা টিকেট কেটে সবাই মাধবকুন্ডের ঝরণা দেখার জন্য ঢুকলাম। আগে বলে রাখা ভালো ২০০ ফিট উপর থেকে ঝরণার পানি পরে, তো এর নিচে যে যাবে সে শেষ। মাধবকুন্ডের রেড সিগনাল তাছাড়া এর নিচে একটি গুহার মতো আছে। ঝরণার কাছে পানিতে নামলেই গুহার দিকে টান দিবে। তাই ওখানে দড়ি দিয়ে সীমানা আছে, তা অতিক্রম করা যাবে না।

প্রতি বছর ২-৩ জন মারা যাচ্ছে। এ পযন্ত ২৩ জন মারা গেছে। তাই এর থেকে সাবধন। পড়িকুন্ড ও মাধবকুন্ডের ঝরণা ছাড়াও রেকটি ঝরণা আছে তার নাম পড়িকুন্ড। কথিত আছে যে বহু আগের কথা ''এই স্তানে পড়ীরা নাকি রাতের বেলা গোসল দিতো।

তাই ভয়ে অনেকেই যায় না। আমরা ৯ জন গিয়েছি, এক জন ভয়ে যায় নাই। অনেক সুন্দর যায়গা। আপনারা অবশ্যই যাবেন। তবে ইকটু সাবধানে হাটবেন, নইলে ডাক্তারের কাছেও যেতে হতে পাড়ে।

এরপর আমরা ওখান থেকে সিলেট শহর তারপর যাফলন গেলাম। যাফলন যাফলন এক রাত থাকার পর পরের দিন সকালে নাস্তা করে যাফলন এলাকা ঘুরতে বের হলাম। একটা টলার ভাড়া করে জিরো পয়েন্টে গেলাম। সেখানে ফুটবল খেলে রওনা করলাম খাসিয়া পল্লী দেখার উদ্দেশ্যে। খাসিয়া পল্লী যাবার জন্য একটা নসিমন ভাড়া করলাম।

ওখানে দেখার মতো কমলা বাগান, পল্লী মানুষের জীবন চিত্র, আর চা বাগান। তবে চা বাগানে যোগ হতে অবশ্যই দূরে থাকবেন। আবার হোটেলে ফিরার সময় আমরা যাফলন নদীতে গোসল দিলাম। তবে আরেকটা কথা যেনে রাখা ভালো এ নদীতে যে সাতার যানেননা তার না নামাটাই ভালো। কারন প্রতি বছর ৪-৫ জন মারাযায় সাতার না যানার কারোনে।

আমরা যে দিন গিয়েছি তার আগের দিন দুজন ছেলে ডুবে মারা গেছে। তাই সাবধান... নালা খাল যাফলন থেকে যাবার সময় অথবা আসার সময় অবশ্যই ''নালাখাল'' এ ঘুরতে ভুলবেননা যেনো। এই খালের দুপাশে পাহাড় আর জঙ্গল। খালের পানি এতো সুন্দর যা বলে বুঝানো যাবেনা। অবশ্যই অবশ্যই যাবেন।

এরপর আমরা আবার সিলেট শহর গিয়ে রাতের ট্রেনে ঢাকার ফিরে আসি। আমাদের দেশে এতো সুন্দর যায়গা ঘুরে আসতে ভুলবেননা যেনো। আমাদের টারজেন বয়েজ গ্রুপ দেশের প্রতিটি স্তান ঘুড়ে আসবে। এবং বিস্তারিত আপনাদের তথ্য দিয়ে যাবে। তবে আমাদের এই টারজেন বয়েজ গ্রুপ আমাদের বড় ভাই '' সবুজ ভাই'' তার জন্যই আমরা অনেক নতুন নতুন স্তান ঘুরতে পাড়তেছি।

সবুজ ভাই আমাদের পরবতী ট্যুর ''নাফাখুম''

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।