বাকশালের চিন্তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. নাসিমের বক্তব্যের কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ডক্টর’স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বলা হচ্ছে নির্বাচন না হলে শেখ হাসিনাই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আর বাকশাল কায়েমের সময় বলা হয়েছিলো শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।
কারণ তখন ছিল ৭৫ সাল আর এখন হচ্ছে ২০১৩ সাল। তখনও বিএনপির মতো সর্ববৃহৎ দলের জন্ম হয়নি।
তিনি আরও বলেন, সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে সরকার মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের উপর রাতের আঁধারে পরিচালিত যৌথ অভিযানে হতাহতের তথ্য দেয়ার কারণেই আদিলুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তাছাড়া অধিকারের পক্ষ থেকে সেই রাতের অভিযানে ৬১ জনের প্রাণহানির কথা বলা হলেও এদেশের মানুষ হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে মনে করে বলে উল্লেখ করেন খন্দকার মোশাররফ।
ড. মোশাররফ বলেন, অন্যায়-অপকর্ম ও দুর্নীতি করার কারণে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না। আর এটা বুঝেই সরকার নির্বাচন না দিয়ে বাকশালি কায়দায় ক্ষমতায় থাকতে চায়। নির্দলীয় সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, আগামীতে নির্বাচন হলে তা হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। আর যদি একতরফাভাবে নির্বাচনের চিন্তা করা হয়ে তাহলে জনগণ জানে কিভাবে তা প্রতিহত করতে হয়। তাই সরকারকে বলবো, জনমতকে উপেক্ষা না করে সোজা পথে আসুন।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন, দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও মানবাধিকার সংগঠন অধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আদিলুর খানের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ডা. একেএম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান জিন্নাতুন্নিসা তাহমিনা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।