আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলাউদ্দিন নাসিমের একক নেতৃত্বে ফেনীতে আওয়ামী লীগের বিশাল জয়

প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার ও আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন নাসিমের পরামর্শমত দলকে একটি মাত্র স্রোতধারায় নিয়ে আসতে পারায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফেনীর সবকটি উপজেলায় জয়ী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা।

বেগম খালেদা জিয়ার উপজেলা ফেনীর ফুলগাজীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী একরমুল হক একরাম ৩৩ হাজার ২৫৯ ভোট পেয়ে বেসারকারি ভাবে নির্বাচত হলেও ১৯ দল সমর্থিত প্রার্থী ও বেগম খালেদা জিয়ার আশির্বাদ নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী মিনার পেয়েছে  ৯ হাজার ৪৯২ ভোট।

এছাড়া ফেনী সদর, দাগনভূঁঞা ও সোনাগাজীতে ১৯ দল সমর্থিত প্রার্থীর সাথে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ছিল প্রায় লাখের কাছাকাছি। আলাউদ্দিন নাসিমের নিজ এলাকা পরশুরামেও শোচনীয় ভাবে পরাজয়ের সাধ মেনে নিতে হয়েছে ১৯ দল সমর্থিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে।

আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে জয়ী হবেন বলে দাবী করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

 

ধারাবাহিকভাবে একের পর এক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিশাল ব্যবধানে কিভাবে জয়ী হচ্ছেন এব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, প্রতিটি জয়ের পেছনে সরাসরি ভূমিকা রয়েছে আলা উদ্দিন নাসিম ভাইয়ের। তার প্রেরনায় এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জেলা আওয়ামী লীগ আজ ঐক্যবদ্ধ। অতিতে কখনও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ আজকের মতো ঐক্যবদ্ধ ছিলনা। আমাদের এই ঐক্যবদ্ধতার কারনে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন গুলো মিলেমিলে মাঠে কাজ করছে। ফলশ্রুতিতে আমরা ধারাবাহিক ভাবে এর ফলও পাচ্ছি।

এককথায় আমাদের প্রতিটি জয়ের পেছনেই আলা উদ্দিন নাসিম ভাইয়ের সরাসরি ভূমিকা রয়েছে। ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাচনেও আমরা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

ফুলগাজী উপজেলার চেয়ারম্যন ও নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যন একরামুল হক একরাম জানান, আলাউদ্দিন নাসিম ভাইর ১ শত ভাগ দোয়া আমার উপর ছিল বলেই বেগম খালেদা জিয়ার উপজেলা হওয়া সত্বেও আমি বিশাল ব্যবধানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করেছি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ক্যাডাররা প্রতিনিয়ত আমার সমর্থকদের ও যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের উপর স্বশস্ত্র হামলা চালিয়েছে, নির্বাচনের দিনও আমার গাড়ি লক্ষ করে গুলি করেছে, একটি গুলি আমার শরীরে না লেগে গাড়ির কাঁচের জানালার এক ইঞ্চি নীচে লাগায় আমি এই যাত্রায় জানে বেঁচে গেছি। এসপি সাহেব গাড়িতে গুলির নমুনা দেখেছেন।

তারপরও আমি নাসিম ভাইয়ের পরামর্শমত তাদের উপর পাল্টা হামলা করেনি। নাসিম ভাইয়ের পরামর্শ মত কাজ করেছি বলেই আমি নির্বাচনে জয়ী হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই। নাসিম ভাইয় পর্দার আড়ালে থেকে জেলা আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বলেই আজ জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ।  

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.