আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আবার শহিদ ভায়া। এইবার এক্কেরে এক ডজন।

আমি বিলাত থাকি, কামলা খাটি

কিসুদিন খ্যামা দিসিলাম। কিন্তু পাবলিক ডিমান্ড কইয়া একটা কথা আসে। তাই আবার শহিদ ভায়া রে লইয়া ফিরত আসলাম। লগে কিন্তু গাজি মামা'র ও এন্ট্রি আসে। ১) কিস কিসকি মেহফিল মে কিস কিসকো কিস কিয়া? এক গাজি মামা থি জো হার কিস কো মিস কিয়া।

এক শাহিদ ভায়া থি জো হার মিস কো কিস কিয়া। ২) শাহিদ ভায়াকে জিগ্গাসা করা হলো: আচ্ছা যারা কানে শুনে না তাদেরকে কি বলা যায়? শাহিদ ভায়া উত্তর দিলো: যা খুশি তা বলতে পারো। তারা তো আর কানে শুনে না। ৩) শাহিদ ভায়া আর গাজি মামা'র কথা হচ্ছে। শাহিদ ভায়া বললো: মামু কালকে একটা নতুন কাপড় ধোয়ার পাউডার কিনলাম।

কিন্তু, ওইটা দিয়ে আমার জিনস প্যান্টটা ধুইতেই জিনস এক সাইজ ছোটো হয়ে গেসে। কি করি বলতো মামু? গাজি মামা জবাব দেয়: এক কাজ কর মামু, ওই ডিটারজেন্ট দিয়ে তুইও গোসল করে ফেল। তাইলে দেখবি তোর জিনস বরাবর ফিট। ৪)শাহিদ ভায়া একটা ইন্টারভিউ দিতে গেছে। জিগ্গাসা করা হলো: আচ্ছা, বলুন তো গণভবন কোথায়? শাহিদ ভায়া উত্তর দিলো: চট্টগ্রামে।

বস্ বললো: এই আপনার জেনারেল নলেজ? গণভবন কোথায় এইটা জানেন না? শাহিদ ভায়া উত্তর দিলো: স্যার, ঢাকায় বললে কি চাকরিটা হয়ে যাবে? ৫) গাজি মামা ছোটো বেলায় ফাকিবাজ ছাত্র ছিলো। তো দুইদিন স্কুলে যায় নাই। স্যার জিগ্গাসা করলো: কি রে পরশু স্কুলে আসিস নাই কেন? গাজি মামা বললো: স্যার পরশু আমি একটা নয়া লুংগি কিনসিলাম, তাই খুশিতে ছুটি নিসি। স্যার আবার জিগ্গাসা করলো: তাইলে কাইলকা আসোস নাই কেন? গাজি মামা কয়: কাইলকা আমি স্কুলে আসার সময় দেখলাম আপনের ঘরের বারান্দায় একটা নয়া লুংগি দেখসিলাম, তাই মনে করসিলাম আপনে ওই খুশিতে ছুটি নিবেন। ৬) একদিন গাজি মামা একটা হোটেলে খাইতে গেসে।

ওয়েটারকে বললো: যাও আমার জন্য গরম গরম পরটা আর ভাজি নিয়া আসো। ওয়েটার বললো: ঠিক আছে মামা, আমি আনতেসি একটু ওয়েট করেন। গাজি মামা কয়: কি বললে? ওয়েটার আবার বললো: মামা, আমি আনতেসি একটু ওয়েট করেন। গাজি মামা চেইত্যা কয়: হারামজাদা ওয়েটার কে আমি না তুই? ওয়েট করতে হইলে, তুই কর। ৭) শহিদ ভায়া'র দর্শণ: নারী মানে কি: শক্তি পুরুষ মানে কি: সহ্য শক্তি ৮) একদিন শহিদ ভায়া'র পায়ে দেখি ব্যান্ডেজ।

জিগ্গাসা করলাম: ভায়া, কি হইসে? কোথাও ধরা খাইসো? শহিদ ভায়া কয়: হ্। ওই গর্তটা দেখসস্? আমি কইলাম: দেখসি। শহিদ ভায়া কয়: ওইটাই তো আমি দেখি নাই। ৯) আরেকদিন শহিদ ভায়া একটা হোটেলে খাইতে গেসে। অর্ডার দিসে: যা আমার জন্য চিকেন নিয়ে আয়।

ওয়েটার বললো: ভায়া, কি চিকেন আনবো? চাইনিজ না ফ্রেন্চ? শহিদ ভায়া চেইত্যা কয়: হারামজাদা, আমি খামু না কথা কমু? ১০) শহিদ ভায়া রেললাইনের উপর শুয়ে আছে দেখে গাজি মামা বললো: কি রে রেললাইনের উপর শুইয়া আসোস তোর উপর ট্রেন গেলে তো তুই মরে যাবি। শহিদ ভায়া বললো: অ্যা, ট্রেন! মাথার উপর দিয়া প্লেন উড়ে গেলো কিসসু হ্য় নাই এই শহিদ মিয়ার। ১১) শহিদ ভায়া মামুন হুজুরকে বললো: মামুন হুজুর আমি বিয়া করুম। মামুন হুজুর বললো: শহিদ ভায়া, বিয়া কোনো ছোটো বাচ্চার খেলা না। শহিদ ভায়া বলে: জানি, ঐটা বাচ্চাদের জন্য খেলা হয়।

১২) সেইদিন রাস্তা দিয়া যাইতেসিলাম। পিছন থেইক্যা কে জানি চিক্কুর দিলো। ফিইরা দেখি শহিদ ভায়া। হেভ্ভী টেম্পার। আমারে দেইখ্খা কয়: শালার পুত শালা, তুই নাকি আমারে লইয়া ব্লগে মশকরা করস? ফান করস? জোক করস? হাসি ঠাট্টা করস? তুই জানস, আমি কত ভালো চাকরি করি? আমি একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক।

দেশের কত উপকার করি। জনগনকে কত সেবা দিই। আমি কইলাম: খাড়া শহিদ ভায়া, এই জোক আমি ব্লগে করি নাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.