আজ সারাদিন ব্লগে শুধু রাজনীতি, দুর্ঘটনা আর বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ডের খেলার খবর। খুব বোরিং লাগছে। নতুন তেমন কোন পোস্ট আসছে না। একটু বৈচিত্র্যতার জন্যই আমার এই কৌতুকগুলো। আপনাদের সামান্য হাসি পেলেই আমি আমার এই পোস্টের সার্থকতা খুঁজে পাব।
১.
এক ব্যক্তি বিবাহের পর প্রথম শ্বশুরবাড়িতে গেল। শ্বশুড়বাড়ির আদর-যত্নে বেচারা এতই আনন্দিত যে, দুইদিনের ভিজিট শেষ হয়ে গেলেও শ্বশুরবাড়ি ছাড়ার নাম নেই। এভাবে দুইদিনের জায়গায়, তিনদিন, চারদিন করে করে এক সপ্তাহ হয়ে গেল। তারপরও বেটার বাড়ি যাওয়ার নাম নেই। এমতাবস্থায় একদিন বাথরুম সারার সময়ে বসে বসে সে পাশের দেয়ালে লিখে
- শ্বশুরবাড়ি মধুর হাড়ি।
এর পরপর সেই বাথরুমে প্রবেশ করে ঐ লোকের একমাত্র শালা। সে কর্ম সাবাড় করার সময়ে পাশের লেখাটি দেখতে পায় এবং বুঝতে তার এক মুহুর্ত দেরি হয় না কথাটি কে লিখেছে! আর এই জন্য সে আগের লাইনের নিচে নতুন করে আর একটি লাইন জুড়ে দেয়।
- দিন-দুচারি।
পরবর্তী দিন দুলাভাই আবার ঐ কাজ সম্পাদন করার নিমিত্তে যখন সেই বিশেষ ছোট্ট ঘরটাতে প্রবেশ করে তখন দেখতে পায় তার লেখার নিচে আর একটি নতুন লাইন যোগ হয়েছে। কিন্তু নতুন লাইন পড়ার পর মনে একটা কৌতুহল জন্ম নেয়।
দুই-চারদিন পর কি হবে? উত্তর না পেয়ে সে আবার লিখে দেয় -
- তারপর!!!
যথারীতি বিশিষ্ট শালা সাহেবের চোখে পড়ে ৩য় লাইন খানা। তখন দুলাভাইয়ের কৌতুহল মিটিয়ে দেয়ার জন্য সে ৪র্থ লাইন লিখে এভাবে -
- ঝাটার বাড়ি।
অর্থাৎ বাথরুমের দেয়ালের লেখাগুলো একসাথে পড়লে এরকম দেখায়-
-শ্বশুরবাড়ি মধুর হাড়ি।
-দিন দু-চারি।
-তারপর!!!
-ঝাটার বাড়ি।
এর পরেরবার দুলাভাই যখন কর্ম সাবাড় করতে গিয়ে ঐ ৪র্থ লাইনখানা দেখে তখন তার মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল আপনারা যারা বিবাহিত আছেন তারাই ভাল বলতে পারবেন। এরপরদিন থেকে দুলাভাইকে আর শ্বশুরবাড়িতে এত বেশিদিন একসাথে থাকতে দেখা যায় নি।
বি.দ্র. ঃ বিবাহিত ভাইয়েরা সাবধান।
২.
এক মহিলা ইংলিশ কমোডের উপরের বসে পড়ে কাজ সারার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটু আগে কমোডের সেই ঢাকনাটার উপরে সুপার গ্লু পড়েছিল।
বেচারি কাজ সম্পাদন করে যেই উঠতে যাবে দেখে পাছা লেগে আছে কমোডের সাথে। অনেক চেষ্টার পরও যখন তা খোলা গেল না তখন এক ডাক্তারকে ডেকে আনা হল। ডাক্তার আসার পর রোগীনি ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলো -
- ডাক্তার সাহেব, আগে এ জিনিস কখনো দেখেছেন?
ডাক্তার একটু হকচকিয়ে গিয়ে জবাব দিল
- আগে অনেকবার দেখেছি। তবে পাছায় বাঁধানো অবস্থায় এই প্রথম দেখলাম।
৩.
এক ব্যক্তি গ্রামের গিয়েছেন বিশেষ একটি কাজে।
হঠাৎ তার বড় কাজের জন্য অফিস ঘরে (বাথরুমে) যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। গ্রামের বাথরুম সাধারণত বাসা থেকে একটু দূরে কোন এক নির্জন জায়গায় হয়ে থাকে। সে ধরনের এক জায়গায় সে বাথরুম করতে গেল। বাথরুম করার মাঝখানে হঠাৎ লক্ষ করল সামনের দরজায় লেখা আছে
- বামে তাকান।
লোকটা কৌতুহলবশতঃ বামে তাকাল।
বামের দেয়ালে লেখা আছে
- ডানে তাকান।
লোকটা এবার ডানে তাকাল। ডান পাশের দেয়ালে লেখা আছে
- পেছনে তাকান।
লোকটা এবার কিছুটা বিরক্ত বোধ করল। এবং একটু সময় নিয়ে তারপর পেছনে তাকাল।
পেছনের দেয়ালে লেখা আছে
- উপরে তাকান।
লোকটা এবার খুব বিরক্ত হল। সিদ্ধান্ত নিল উপরে সে তাকাবে না। কিন্তু একটা সময় পর সে অস্থির হয়ে পড়ল এবং উপরে না তাকিয়ে পারল না। উপরের লেখা পড়ে তো লোকটার আক্কেল গুড়ুম।
কি লেখা ছিল উপরে জানেন!!
- ঐ হালা! হাগতে বইসা এদিক - ওদিক তাকাস ক্যান?
৪.
(এই কৌতুকখানা হুমায়ুন আহমেদের 'এলেবেলে' বইখানা থেকে সংগৃহীত)
এক ছোট বাচ্চা বাথরুমে বিশেষ বড় কাজ সম্পাদন করে বীরদর্পে দিগম্বর বেশে তার বাবাকে এসে বলে
- বাবা, হাইগা আইছি।
বাবা তখন বাসার ড্রইং রুমে এক মেহমানের সাথে জরুরি কথায় ব্যস্ত ছিলেন। তাই কথাটি শুনে ছেলেকে এক ধমক দেয়। ছেলে মনে করে বাবা তার কথা বিশ্বাস করেনি। তাই বকা শুনে ছেলে আবার বাথরুমে গিয়ে পুনরায় ড্রইং রুমে ফিরে আসে।
তখন তার হাতে ছিল বিশেষ দুর্গন্ধময় কঠিন পদার্থ। এসে বাবাকে সেটা দেখিয়ে বলে -
- বাবা! হাগা লইয়া আইছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।