স্বাগতম
ছবিঃ মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমান শুভ্র।
ইদানিং আদিলুর রহমান শুভ্র নামে একজন মানবাধিকার কর্মীকে দেখতে পাচ্ছি যাকে নিয়ে মিডিয়াতে বেশ শোরগোল হচ্ছে। আমি ছোটখাট মানুষ এতবড় বিষয়গুলি ওভারলুক করে যাই কারন এসব নিয়ে লেখার যোগ্যতা ও সাহস আমার নেই। কি লিখেতে কি লিখে ফেলি আবার কোথায় ভুল হয়ে যায়, তারপর আবার আমার উপরে সরকারের প্যাদানী।
কিন্তু আজকে আবার ভাবলাম- ঠিক ভাবলাম না, মনে হল কেউ যেন আমাকে বলল; এই জাতীয় ঘটনাগুলি কেন ঘটে আপনী বোঝেন না?
আমার মতে সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরাও এক ধরনের সেলিব্রেটি।
একজন সেলিব্রেটি। যেমন ধরুন তুমুল জনপ্রিয় সংগীত শিল্পি নগর বাউল জেমস, তিনি যখন নারীঘটিত বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন তখন তার কেরিয়ারে ভাটা পড়ল। কারন তারা যত ভাল শিল্পিই হোক না কেন বর্তমান ও পরবর্তী প্রজম্নের জন্য আদর্শ হতে পারে না।
সুতরাং কোন কেলেংকারীতে পড়লেন মানে আপনার কেরিয়ার শেষ। আপনার ভবিষ্যতের মসৃন পথ কংকরময় হয়ে যাবে।
আদিলুর রহমান শুভ্র সর্ম্পকে অল্পস্বল্প যতদুর জানলাম এবং বুঝলাম তিনি আন্তজাতিক ভাবে প্রটেকটেড একজন ব্যাক্তি। আর এই জাতীয় ব্যাক্তি কিংবা সংস্থাগুলির উপর তাদের ডোনারদের কিংবা প্রটেকটরদের একধরনের অন্ধ বিশ্বাস থাকে। সুতরাং ভুল করেও যদি এইসব ব্যাক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানগুলিকে কেউ হয়রানী করে, অপরাধী বানানোর জন্য কোন প্রকার ফাদ তৈরী করে কিংবা কোন প্রকার নির্যাতন করে কিংবা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মেরেই ফেলল- বর্তমানে হয়তো তারা (নির্যাতনকারীরা) পার পেয়ে চলে যেতে পারে কিন্তু নিকট কিংবা সদুর ভবিষ্যতে এর প্রতিক্রিয়া হজম করা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য। কারন নিউটন সাহেব তো বলে গেছেন; প্রতিটি ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।
আর এই সুত্রগুলি আমারমত মাসুম বান্দা যদি জেনে থাকে তবে আমাদের সরকার ও বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও নিশ্চয়ই জানেন।
সুতরাং জেনেশুনে তারা এমনভুল করবেন না এটা স্বাভাবিক চিন্তার বিষয়।
পরশুরাতে এক মার্কিন বন্ধুর সাথে ফেসবুকে অনেক্ষন চ্যাট হল। তিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন এবং আমার সাথে ফেসবুকে চ্যাট করছিলেন। আমি লিখে লিখে চ্যাট করছি আর তিনি মুখে বলছেন সেটা টেক্সট হয়ে আমার চ্যাট বক্সে আসছে।
তিনি বললেন; ওবামা সরকার আমেরিকার অনেক কৃষকদের জমি কেড়ে নিচ্ছে।
আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন?
তিনি বললেন; কেউ জমিতে বেশি সার ব্যবহার করছে কিংবা বেশী পানি দিচ্ছে। কিন্তু কৃষকরা নিজের অভিজ্ঞতায় চাষ করে অনেক বেশী ফসল পায়। আসল কথা হল সরকার তার জমি কেড়ে নিবে তাই একটা বাহানা করে তার বিরুদ্ধে চার্জ লাগিয়ে জমিটা লোকাল গভর্মেন্টকে দিয়ে দেয়।
আমি প্রশ্ন করলাম; আপনী কি ব্যাক্তিগতভাবে কখনো পর্যালোচনা করেছেন কিংবা খোজ নিয়ে দেখেছেন, যেই কৃষকের জমিটা সরকার কেড়ে নিল তিনি কি ইতিপুর্বে এমন কোন অন্যায় করেছিলেন কিনা কিংবা তিনি কি কোন ভাবে অন্য কারো অধিকার বা কোন প্রকার সম্পত্তি দখল-বেদখল করেছেন কিনা যার জন্য সরকার তাকে চার্জ করেনি কিংবা আইনের কাঠগড়ায় দাড় করায় নি?
তিনি কিছুক্ষন চিন্তা করলেন হয়তো। বললেন; আমি খোজ নেই নি তবে এই বিষয়ে আপনাকে জানাবো।
তারপর আবার বললেন; এই পদ্ধতিটা অবশ্য একশত বছরের পুরোনো। প্রেসিডেন্ট থিওডর রুজভেল্টের আমল থেকে চলে আসছে।
অনেক সময় এমনটা হয়ে থাকে যে কোন সেলিব্রেটি কিংবা কোন পলিটিশিয়ান কিংবা কোন লেখকরা যখন কোন কেলেংকারী ঘটিয়ে ফেলেন যেটা প্রকাশ করাও লজ্জাশকর কিংবা এমন কোন অপরাধ করলেন সেটা দিয়ে যাকে শাস্তি দেওয়া যাচ্ছে না বা উচিত হবে না হয়তো সেখানে আরো অনেকের মানসস্মানের বিষয় জড়িত। তখন সরকার কিংবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তাদের অন্যভাবে পানিশমেন্ট দিয়ে থাকে।
আদিলুর রহমান সাহেবকে ঠিক কোন কারনে সরকার পাকড়াও করেছে আমি অনুমান করতে পারছি না।
তবে তার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য উপস্থাপনের যে অভিযোগ উঠেছে সেটা যদি তিনি জেনেশুনে কিংবা প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে উপস্থাপন করে থাকেন তবে তার ভুল হয়েছে এবং তিনি নিজের ভুল শুধরে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবেন এই কামনা করি। কিন্তু তিনি যদি মানবাধিকারের জন্য কাজ করে থাকেন আর তাতে অনিচ্ছাকৃত কোন ভুল হয়ে থাকে তবে সরকার তাকে তার গবেষনাপত্রগুলি পুনরার মুল্যায়নের সুযোগ দিবেন এবং অবশ্যই নির্যাতিত ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের পক্ষে দাড়াতে কিংবা কথা বলতে কাউকে বাধা দিবে না এই প্রত্যাশা করি।
গনভবন (People’s House) কারো উপরে নির্যাতন কিংবা হয়রানী করে না কিংবা মানুষের অধিকার কেড়ে নেয় না। অধিকাংশই হয় লোকাল নেতা কর্মী এবং মাঠ পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা যদিও তারা সরকারের মদদপুষ্ট কিন্তু তারা সেগুলি বঙ্গভবন কিংবা গনভবন কে জিজ্ঞেস করে বা অনুমতি নিয়ে করে না বরঞ্চ বলা যায় সরকারের সর্বোচ্চ স্থরগুলি মাঠ পর্যায়ের কর্মকান্ড থেকে অনেকটাই বিছিন্ন। সুতরাং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ও সংবাদপত্রগুলির উপস্থাপিত সঠিক তথ্যগুলি সরকারের উচ্চপয়ার্য়ে তাদের কর্মকান্ড মুল্যায়নের জন্য সহায়ক বলে আমি মনে করি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।