আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

"বাংলাদেশের অভিভাবকগিরি বন্ধ করলে জাফর ইকবালের লেখা ভালো হইতে পারেঃ"রাইসু

দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি... বুক পাঁজর আজ ফাঁকা। দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়... দুঃখের ছবি আঁকা।
ব্রাত্য রাইসু লোকটার বেশির ভাগ কথা ধার করা বলে মনে হয়, অন্যের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে বুদ্ধিজীবি হবার প্রবণতা তার মাঝে ব্যাপক ভাবে লক্ষ্য করলেও গতকাল থেকে জাফর স্যারের লেখা পড়ার পর রাইসুর উক্তি টাই ঘুরে ফিরে মনে পড়তেসিলো। আমার জানাসোনা স্বল্প, রাইসুর মত এমন ভীষণ উক্তি করা তাও আবার আমার এক সময় অতি প্রিয় লেখক জাফর স্যারের সম্পর্কে সেটা আমাকে মানায় না। স্যারের আজকের কথার সাথে অনেকাংশে একমত হয়েও ওনার চিন্তার সাথে একমত হতে পারি নাই, অধিকারের মত সঙ্ঘঠন দেশের প্রামগঞ্জ ছেড়ে বহিঃ বিশ্বে হেফাজতের জন্য সিম্প্যাথি কুড়াইতেসিলো আর সেটা প্রতিবাদযোগ্য আমাদের ভাবমূর্তির রক্ষার জন্যই।

কিন্তু কুন কথা বলিলেই তুমি গ্রেফতার এই নীতি পরবর্তীতে আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের জন্যই বিধ্বংসী হবে, আর তখন ওনারাই যে এই চল শুরু করেছিলেন সেইটা কারো মনে থাকবে বলে মনে হয় না! এই ক্ষেত্রে "কিন্তু" টানিয়া আমার কথিত হিডেন লেঞ্জা বাহির করিয়া দিবার জন্য আমি যারপনাই লজ্জিত! দাবীকৃত ৬১ জনের হিসাব মিলানোর জন্য আদালতের নির্দেশ দেয়া যেত, সরকারের কাছে না হোক আদালতের কাছে লিস্ট জমা দেয়ার ব্যাবস্থা করা যেত, তা না করে গ্রেফতার করাও আল্টিমেটলি আমাদের ভাবমূর্তির বা সরকারের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর বলে বোধ হয়। {উল্লেখ্যঃ "গত ১০ আগস্ট কোনো ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই আদিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে উল্লেখ করে অ্যামনেস্টি বলেছে, বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে কথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে চ্যালেঞ্জ করার কারণেই তাকে আটক করা হয়েছে। " সুত্রঃ লিঙ্ক এখানে } আদিলুর রহমানের প্রতিবাদের বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ছিলো বটে কিন্তু তা সত্য কিনা সেটা প্রমাণসাপেক্ষ, এর জন্য সময় দরকার। কিন্তু অ্যালিগেশন ভুল প্রমাণের জন্য গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার! অন অ্যানাদার নোট, আমাদের দেশ ভরা মিথ্যুক! উইথ অল ডিউ রেস্পেক্ট আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাভার ধ্বসের সময় বলেছিলেন ঊনার কাছে "তথ্য" আছে, বেশী লোক আটকা পড়ে নাই কিছু লোক জিনিষ পত্র নিতে গিয়ে আটকা পড়সে। এই ভুল তথ্য সেই মুহূর্তে উপস্থাপনের কোন দরকার ছিলো না।

খেয়াল করবেন মিথ্যা বলতেসি না আমি ধরে নিচ্ছি উনি ব্যাপার টা জানতেন না, না জেনে বক্তব্য দেয়া ওনার অবস্থানের একজন নেত্রীর জন্য ঠিক কিনা সেই তর্কে যেতে চাই না। তাছাড়া, সংসদে একদল আর একদলকে অপদস্থ করার জন্য উপরযুপুরি মিথ্যা (পড়ুন অসত্য!!) বলে থাকে! এতকিছু ফালাইয়া আদিলুর রহমানের মিথ্যা (মিথ্যা কিনা সেটা প্রমাণসাপেক্ষ) রুখিবার জন্য অস্থির হইবার কারণ কি? তার মিথ্যার(??) চাইতেও ভয়াবহ মিথ্যা লিফলেট আর লোকমুখে গ্রামে গ্রাম ছড়াইয়াছে বলে জাফর স্যার নিজেই স্বীকার করেছেন তার লিখায় (আড়াই হাজার হেফাজত কর্মী মারা গেছে বলে "প্রচার" করা হইসে, ৫ই মের দাঙ্গা (হাফেজতের মারমার কাটকাট কে দাঙ্গা ছাড়া আর কিছু বলতে পারছি না বলে আমি পুনরায় লজ্জিত) কে রুখবার জন্য সরকারের প্রচেষ্টা কে ইসলামের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বলে যে বিশ্বাস মানুষের মনে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তার বিরুধে ব্যাবস্থা না হোক ওই অপপ্রচার ঠেকানোর জন্য ব্যাবস্থা নেয়া কি আরো জরুরি ছিলো না? লাশের সংখ্যা হিসাব করে ঘটনার ঘনত্ব নির্ধারণ করা হয় আমাদের দেশে, এইটা একটা দুঃখজনক ব্যাপার। ১৬টা লাশ(উল্টাইলে হয় ৬১লাশঃ মজক করিলাম সিরিয়াস হইবার কিছু নাই) সংখ্যা তত্ব বাদ দিলেও লাশ শব্দখানা জড়িত থাকলেই আমার ফোলা মুখটা ছোট হয়ে আসে, এইটা আমার ব্যাক্তিগত দুর্বলতা হতে পারে। একটা দাঙ্গা দমনের জন্য ১৬টা লাশ হয়তো খুব বড় সংখ্যা না (!) তাও আমার মায়া লাগে বড় হুজুরের কথায় নাস্তিক দমন করতে আসা বোকা বাচ্চা ছেলে গুলোর জন্য পরিশেষে শফি হুজুরদের কিছু হয় না তারা তেঁতুল তত্ব দিয়া যাইতে থাকেন। আর পেছন দিয়ে চলে লাশের সংখ্যা নির্ধারণ নিয়ে কুৎসিত রাজনীতি।

একদল১৬টা লাশের দায়ও নিতে চায় না আর একদল আড়াই হাজার লাশ বি ডি আর আর বুড়িগঙ্গায় টানাটানি করেন। দেশের অভিভাবকত্বের দরকার আছে, জাফর স্যারের মত সৎ মানুষের অভিভাবকত্বে এগিয়ে আসা আরো জরুরী কিন্তু তা ষত্বেও জাফর স্যারের শুধু ক্ষেত্রবিশেষে বাংলাদেশের অভিভাবক হবার প্রয়াস দেখে একটু মন খারাপ হয়। তবে দুষ্ট ছেলেপিলেদের মত "জাফর স্যার এই প্রশ্নের উত্তর দ্যান" বইলা ম্যাতকার করতে ইচ্ছা করে না। দুষ্ট লোকেরা আরো বলে স্যার নাকি র' এর এজেন্ট কিন্তু ছোট্ট জীবনের অভীজ্ঞতা বলে দুষ্ট লোকদের কথা বিশ্বাস বা অবিশ্বাস কোনটাই করা ঠিক নয়! তাই এইখানে কবি নীরব। বিঃদ্রঃ রাইসুকে অনর্থক বকিলাম বলে ক্ষমা চাইয়া নিচ্ছি আমাদের সবার ফিলসফি আলোচনা সাপেক্ষ, আমার মতামত চিন্তাভাবনাও অন্য দ্বারা প্রভাবিত আর আমার সোর্স অবশ্যই বায়াসনেস মুক্ত নয়।

কিন্তু আমি এই বায়াসনেস স্বীকার করছি আর যে এই লিখা পড়িবেন তাদের সাবধান ও করছি এই বায়াসনেস সম্পর্কে। জাফর স্যার বুদ্ধিজীবি হইলেও তার কথা শেষ কথা নয়, গল্পের অন্য পিঠ থাকে তা সময়মত বাতাসে পাতা উল্টালেই পড়তে পারা যায়,তার আগে নয়। রাইসুকে বিশেষ পছন্দ না হলেও জাফর স্যারকে আমার এখনো ভালো লাগে জামাত প্রসঙ্গে তার অনড় অবস্থানের কারণেই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উনি এই বিষয়ে আপোষহীন ছিলেন যেখানে অনেক বুদ্ধিজীবীদেরই দ্বিমুখী নীতি গ্রহন করতে দেখা যায়। {জাফর স্যারের ছবিখানা ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত}
 


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.