আজ কাল সত্যিকারের বন্ধু পাওয়া কপাল। এ হিসাবে আমার কপাল হাজার গুণ ভাল। শ্যামল একজন এমনই বন্ধু যে বন্ধুর জন্য নিজের সবটুকু উজার করে দেয়। কয়েক দিন আগের ঘটনা, আমার গ্রামের এলাকা থেকে মটর দূর্ঘটনায় আহত হওয়া্ একজন আসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রাত তখন প্রায় ১:০০টা।
আমার এলাকার বলে সেই মধ্য রাতেই খিলখেত থেকেই ১ম বারের মত যেতে হল ঢাকা মেডিকেলে। আমি হাসপাতালে পৌছেঁ দেখি যারা রোগীর সাথে এসেছে তাঁরা রোগী নিয়ে কী করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেনা। ইমারজেন্সি বিভাগ থেকে টিকিট এবং অন্যান্য আনুসংগিক কাজ শেষে দেখি ইমারজেন্সি বিভােগর ডাক্তার লাপাত্তা। কোথাথেকে যেন এল প্রায় ঘন্টাখানেক পর। এই ১টা ঘন্টা কাটল চরম টেনশনে, এই বুঝি চিকিৎসা অভাবে রোগী মারা গেল।
হঠাৎই শ্যামল ফোন দিল লেখা পড়ার বিষয়ে, তাকে আমার অবস্থান সর্ম্পকে বলতেই ধানমন্ডি থেকে ছুটে আসল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ততক্ষনে ডাক্তার রোগীর সি.টি স্ক্যান করাতে বলল। িকন্তু একি? এখানেতো সি.টি স্ক্যান মেশিনই নষ্ট! আমাদের টেনশন বেড়ে হগল হাজারগুণে। তখনই শ্যামল বলল তাকে নিয়ে ইবনে-সিনা ডায়গনেষ্টিকে যাওয়ার। সেখানে গিয়ে দেখি আরেক নাটক! রোগী মরার পথে কিন্তু ইবনে-সিনাই ভর্তি না করালে তারা সি.টি স্ক্যান করাতে পারবেনা।
কিন্তু সেখানে ভর্তি এবং চিকিৎসা ব্যায় বহনের ক্ষমতা আমাদের েনই। শ্যামল বলল চল গ্রীন লাইফ-এ। আবারও মৃত্যু পথ যাত্রী রোগীটাকে নিয়ে গেলাম গ্রীন লাইফ-এ। সি.টি স্ক্যান হল ততক্ষনে রোগী আরো কাহিল হয়ে গেল। হঠাৎ খেয়াল হল রোগীর জন্য কিছু কাপর লাগবে! এ ক্ষেত্রেও শ্যামল তার বাসা থেকে নিয়ে আসল প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় ।
সি.টি স্ক্যান শেষে রোগীসহ গ্রমের লোকদের পাঠিয়ে দেয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আমি চলে আসি শ্যামল-এর বাসায় । রাত ৪:০০টায় বিছানায় শুতেই চোখে ভেসে উঠে শ্যামল এবং হাসপাতালের কর্মচারীদের কার্যকলাপ। এই ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায যে আন্তরিকতা থাকার কথা হাসপাতালের কর্মচারীদের তা পেলাম শ্যামল-এর কাছে। সকালে মোবাইল-এর শব্দে ঘুম ভাংল।
রিসিব করতেই ওপাশ থেকে বলল রোগীটি মারা গেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।