সকল মতাদর্শকে আন্তরিকতার সাথে অধ্যয়ন করি। হে তরুনী, হে নারী আমায় ক্ষমা কর...
প্রথম এই লেখাটি লেখার পর থেকে আমার মোবাইলে , ইমেইলে , ফেইসবুকে প্রচুর রেসপন্স এসেছে। তারা অনুরোধ করেছেন নারীতান্ত্রিকতা নিয়ে লেখার জন্য। অনেকেই স্বীকার করেছেন যে এমন পুরুষতান্ত্রিকতা আছে যা নারীর জন্য ক্ষতিকর। সাথে সাথে এমন নারীতান্ত্রিকতাও আছে যা পুরুষদের জন্য অবমাননাকর ও ন্যায়নীতি পরিপন্থী।
তাই পুরুষতান্ত্রিকতার পাশাপাশি নারীতান্ত্রিকতাও সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনতে হবে।
১.এসএসসি পাশ ছেলেকে মাস্টার্সপাশ মেয়ে বিয়ে করা উচিত। শিক্ষাগত যোগ্যতায় শুধু ছেলেকেই এগিয়ে থাকতে হবে কেন?
২.ছেলেরা যেভাবে কমশিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করে বউয়ের পড়া চালিয়ে যেতে সহায়তা করে ঠিক তেমনি চাকরীজীবি মেয়েদেরকেও কমশিক্ষিত ছেলে বিয়ে করে তার পড়ালেখা কমপ্লিট করার সুযোগ দিতে হবে।
৩.কমবয়সী ছেলেদেরকে মেয়েরা কাবিনের টাকা দিয়ে বিয়ে করতে পারে। (কুরআন বলছে ছেলেদেরকেই কাবিনের টাকা দিতে হবে।
)
৪. শুধু ছেলেরা নয় কামিনের টাকা মেয়েদেরকেও দিতে হবে। (কুরআন বলছে ছেলেদেরকেই কাবিনের টাকা দিতে হবে। )
৫. আম্মা আব্বার ভরনপোষনের দায়িত্ব মেয়েদেরকেও সমানভাবে নেয়া উচিত ।
৬.বাসের মধ্যে মহিলাদের জন্য কোন সিটের কোটা থাকবে কিনা বা চাকরী ও শিক্ষা ক্ষেত্রে নারী কোটা থাকবে কিনা তা আত্বসম্মানবোধ সম্পন্ন মহিলাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা পুরুষস্বার্থের জন্য থ্রেড।
(যদিও ধর্ম অগ্রাধিকারের কথা বলে)
৭, ঝুকিপূর্ন প্রফেশানগুলো শুধু পুরুষেরা করবে এটা হতে পারেনা। মেয়েদেরকেও মাটি কাটা, ওয়েল্ডিং, হাইরাইজ বিল্ডিং রং করা, প্রফেশনাল লোকাল ড্রাইভিং,মেথরগিরি, রাজমিস্ত্রি, কাঠমিস্ত্রি, রিকসা ঠেলা গাড়ি চালানো। প্যাডেল নৌকা চালানো ইত্যাদিতে এগিয়ে আসতে হবে। (এক্ষেত্রে ধর্ম নারীদের রিলাক্সে রেখেছে)
৮. ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং করে পুরুষদের থেকে নারীরা নাচের অনুষ্ঠান বা ফ্যাশন শোর নাম করে অনেক টাকা লোপাট বা হাতিয়ে নিবে তা হতে পারে না।
৯. আধুনিক বর্তমান হাল জামানায় অনেক টিনেজার বলে থাকে প্রেমিক শুধু প্রেমিকার মোবাইলে টাকা পাঠাবে, প্রেমিকা মিসকল দিবে আর শুধু প্রেমিক কল করবে এটা হতে পারেনা।
সমানাধিকার সব জায়গায় হতে হবে। প্রেমিক খাওয়ানোর টাকা, ঘোরানোর টাকা সব দিবে এটা কেমন কথা!!! প্রেমিকই সব দামী গিফট কিনে দিবে প্রেমিকাকে এটা হতে পারেনা। আর প্রেমিকা দিবে কমদামী জিনিষ সব!!! যদিও বিয়েপূর্ব রিলেশান ধর্ম বৈধ মনে করেনা।
১০. মেয়েদেরকেও পুরুষদের মত শালীন পোষাক পরে ঘর থেকে বের হতে হবে।
১১.মেয়েরা সবসময় হালকা কাজ করবে আর ছেলেরা সব ভারী কাজ করবে এমন হতে পারেনা।
এক্ষেত্রে মেয়েরা ফিটনেসের দিকে মনোযোগ দিতে পারে।
১২.বোনেরা বিপদে পড়লে ভাইদের শরনাপন্ন হওয়া বা নিরাপত্তা রক্ষা বা ঝুকিপূর্ন কাজে ছেলেদেরকে ঠেলে দেয়া সমাজের কমন ফিতরাত। এখানে নারীদেরকে কিভাবে ইন্ডিপেন্ডেন্ট করা যায় ভাবতে হবে।
১৩. শিক্ষা উপবৃত্তির ক্ষেত্রে শুধু ছাত্রীদের না দিয়ে কিভাবে সমতা বিধান করা যায় ভাবতে হবে।
-------------------------------
নরবাদ নামক একটা ফেইসবুক পেইজের এই পোস্টটি দেখুন
নরবাদ
31 July 2012
এখন সারা বিশ্বে লেখাপড়ায় লৈঙ্গিক সমতার যুগ।
কিন্তু তারপরও অধিকাংশ মেয়েরা এমন ছেলেদেরই খুঁজে যারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে প্রতিষ্ঠিত; নিজেদের দিকে তারা তাকায় না। ব্যাপারটা যেন এমন, তাদেরকে লেখাপড়া শেখানো হয় যাতে তারা স্বাবলম্বী না হয়ে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে প্রতিষ্ঠিত ছেলেদের খুঁজে নিতে পারে!
তারপর বিয়ের পর শুরু হয় অর্থনৈতিক শোষণ, তারা মার্কেটে টাকা উড়িয়ে বেড়াবে, কিছু ধাতু আর গুঁড়ো রঙ দিয়ে সং সাজবে, সেই তামাশার টাকা দিতে হয় স্বামী বেচারাদের।
কেন বাপু? তোমাকে লেখাপড়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে কি বেকার বসে থাকার জন্য? আগেকার দিনে মেয়েদের ঘরে আটকে রাখা হত, তাদের অর্থোপার্জনের সুযোগ ছিল না, তাই ছেলের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখা দরকার ছিল। কিন্তু এখন চিত্র বদলেছে, এখন তোমার চাহিদা তুমি নিজে মেটাও।
--------------------------------
নারী পুরুষের এমন আত্বঘাতি লড়াইয়ের পরও যেটা ভাবনার বিষয় সেটি হল "নারী ইন্ডিপেন্ডেন্টলি সন্তান জন্ম দিতে পারেননা আর পুরুষ গর্ভধারন করতে পারেননা।
" এই সমস্যার সমাধান পৃথিবী ধ্বংস হওয়া পর্যন্তও হবে না। তাই
পুরুষের জন্য চাই নারীর সহনশীল আচরন আর নারীর জন্য চাই পুরুষের ভালবাসা , সহনশীল আচরন ও ব্যবহার। যেখানে জীবন হয়ে উঠে অনেক ভালবাসাময় ও আনন্দে উদ্বেল । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।