আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সকল অস্থিরতা, জ্বালাও- পোড়াও- ভাংচুর, সামাজিক- রাজনৈতিক আন্দোলন - ক্রোধ, পারিবারিক সহিংসতা, হত্যা, গুম, অত্যাচার, জঙ্গীবাদ ও মানুষের মাঝে খিটখিটে মনোভাব এই সকল কিছুর জন্য একমাত্র দায়ী ঐ আকাশের সূর্য

যুক্তবাদী লোক, সবজায়গায় যুক্তি খুজি

আপনি যদি একশ বছর আগের ইতিহাস দেখেন, তাহলে দেখবেন সেই সময়ে এখনকার মত মানুষের মাঝে এত একে অপরের প্রতি ঘৃণা, হিংসা ইত্যাদি ইত্যাদি ছিল না। মানুষের মাঝে এত অস্থিরতা খিটখিটে মনোভাবও ছিল না। যদি একটু খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন , আপনার মাঝে মাঝে খুব অস্থির লাগে মাঝে মাঝে খুব খিটখিটে মনোভাব হয়ে যায়। কোন কিছুই ভাল লাগে না। মরে যেতে ইচ্ছে করে।

মনে হয় জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এসকল কারণ গুলোই পরিবারে দন্ড সৃষ্টি করতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ভুমিকা রাখছে। বিবাহ বিচ্ছেদ, নানা রকম অসামাজিক কার্য কলাপ, অন্যকে সন্দেহের চোখে দেখা, কাউকে ভুল বোঝা, ভুল সিধান্ত নেওয়া। এসবের জন্যও মানসিক অস্থিরতা দায়ী। আবার এই মানসিক অস্থিরতার জন্যও মানুষ অস্থির হয়ে ভাংচুর, জ্বালাও পোড়াও, আন্দোলন করতে রাস্তায় নেমে পড়ছে।

দুদিন আগেই দশম শ্রেনীর একজন নিজের মাথায় গুলি করে মারা গেল। তারও এই একই কারণ ছিল অস্থিরতা। আর তার প্রমাণ পাওয়া যায় মৃত্যুর আগে পাঠানো মেসেজ থেকে। বিশ্ব রাজনীতির দিকে তাকালে যে সকল দেশে দাঙ্গা লেগেই আছে, লক্ষ্য করে দেখবেন সব উষ্ণ এলাকার দেশ। অর্থাৎ এই দেশ গুলোতে উষ্ণতা বেশি।

তার কারণ সূর্য রশ্মি তীর্যক ভাবে পড়ছে। তার মধ্যে আমাদের বাংলাদেশ ও আছে। আচ্ছা, তাহলে সূর্য রশ্মি আর মানুষের মনের মাঝের অস্থিরতার মধ্যে সম্পর্ক কিসের ? সম্পর্ক হচ্ছে, কয়েক বছর আগে এক গবেষনায় দেখা গেছে, সূর্যের অতিব বেগুনী রশ্মি আমাদের মষ্তিষ্কের উপর মারাত্বক প্রভাব ফেলছে। যার ফলে মানুষের মাঝে অস্থিরতা, রাগ, ক্ষোভ ইত্যাদি বেড়েই চলেছে। এগুলো মাথায় রেখেই মানব জাতির স্বার্থে আমাদের একটু সবকিছুতে মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে।

হুট হাট করে রাগ করে সিধান্ত নিলে নিজের ও দেশও জাতির অমঙ্গল ছাড়া কিছুই জুডবে না। বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতারা একটু ভেবে চিন্তে সিধান্ত নেন। কারণ আমরা যা সিধান্ত নেই আমরা ভাবি এগুলো আমাদেরই নেওয়া সিধান্ত , কিন্তু প্রকৃত পক্ষে আপনি আপনার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কোন দিনই কোন সিধান্ত নেন নি। প্রকৃতি ও পরিবেশ আপনাকে সিধান্ত নেওয়াইছে। এটা হল গ্রান্ড ডিজাইন স্টিফেন হকিং এর।

এটা নিয়ে আরেকদিন লিখব।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।