আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ্যানথ্রাক্স: অন্য রকম ভাবনা



এ্যানথ্রাক্স বর্তমান বাংলাদেশের বহুল আলোচিত বিষয়। বাংলাদেশের বাজারগুলিতে মাংস হিসাবে বেশী বিক্রি হওয়া গরুর মাংস এখন কেউ কিনছেই না বলে বিভিন্ন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের গরুর মাংস শুধুমাত্র দেশের প্রোটিন চাহিদা মিটাচ্ছে তা নয়, প্রতিবছর প্রচুর পরিমান গরুর মাংস বিদেশে ও রপ্তানি হচ্ছে। আর অন্যতম প্রধান রপ্তানী দ্রব্য চামড়াজাত দ্রব্যের মুল উপাদান চামড়া এবং এর সাথে সম্পর্কিত চামড়া শিল্প ও টিকে আছে গরুর চামড়ার উপর। এ্যানথ্রাক্স নতুন কোন বিষয় নয়।

অনেক আগেই এর প্রতিষেধক আবিস্কৃত হয়েছে। তারপর ও এ্যানথ্রাক্স টিকে আছে, এ্যানথ্রাক্স জীবানুকে জীবানু বোমা হিসাবে ও বিভিন্ন সময় ব্যবহার করার খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় চার কোটি গবাদি পশু থাকলেও এখনও পর্যন্ত ৪৬টি গরু এবং ৫৫টি ছাগল এ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা বলছেন। সূত্র আজকের আলোচনা এ্যানথ্রাক্সের ভয়াবহতা বা প্রতিষেধক নিয়ে নয়, একটু ভিন্ন চিন্তা করি। হঠাৎ করে রোজার মাসে মিডিয়া গরম হয়ে উঠল, gfgfvgfআর সাথে সাথে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ল এ্যানথ্রাক্স আতন্ক।

ফলাফল, গরুর মাংস বয়কট আর ঈদে গরু অবিক্রিত। চামড়া শিল্প চামড়া সরবরাহের সঙ্কট। সামনে কোরবানীর ঈদ, সারাদেশের চামড়া শিল্পের চামড়ার যোগান নির্ভর করে এই ঈদের উপর। হাজার হাজার বেকার যুবক গরু মোটাতাজাকরনের মাধ্যমে এই ঈদে কিছু অর্থের মুখ দেখেন, কিন্তু এবার তারা শংকিত, তাদের পালিত গরুটি বিক্রি হতে তো? বিক্রি হলে ও ন্যায্যমূল্য পাবে তো? এতো গেলো দেশের ভিতরের ব্যাপার। বাংলাদেশ থেকে যে গরুর মাংস রপ্তানি হয়, সেখানে ও প্রভাব ফেলেছে এ্যানথ্রাক্স।

মাংস রপ্তানীর হার কমতে শুরু করেছে আর এক্ষেত্রে বায়ার রা এখন মাংস কিনছে ভারত, পাকিস্তান আর অষ্ট্রেলিয়া থেকে। ফলাফল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি। আর ইতিমধ্যে দেশের বাজারে মাংস বিক্রেতারা তো বেকার হয়েছেই। এখন প্রশ্ন একটাই, সারাদেশে মাত্র ৪৬টি গরু আক্রান্ত হলো আর সে বিষয়টি নিয়ে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া (সবাই নয়, কয়েকটি) কেন এত মাতামাতি শুরু করল, কেন ছড়িয়ে দেয়া হলো আতঙ্ক? কার স্বার্থে মিডিয়ার এই বাড়াবাড়ি?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।