আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের লোডশেডিং পরিস্থিতি, এ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক এবং চামড়া শিল্পে ধস

সত্য প্রকাশে আপোষহীন

রমজান মাসে লোডশেডিং কমানোর জন্য সার কারখানায় এবং সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হয় যাতে বিদ্যুত উৎপাদন বাড়ানো যায়। এটা কিন্তু সাময়িক একটা পদক্ষেপ ছিলো। কিন্তু আবার লোডশেডিং বেড়ে চলেছে। প্রতি দিন কমপক্ষে পাঁচ ঘন্টা করে প্রতি এলাকায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। সরকার নতুন নতুন পাওয়ার প্লান্ট করার অনুমতি দিচ্ছে যার জ্বালানি হচ্ছে ডিজেল অথবা ফার্নেস অয়েল যা দীর্ঘ সময়ের জন্য মজুদ রাখার ব্যবস্থা বাংলাদেশে নেই।

আর উৎপাদন খরচ খুবই বেশি। লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি খুব শীঘ্রই হবে না এটা ধরে নেয়া যেতে পারে। কিন্তু উন্নয়নের ডিজিটাল জলোচ্ছাসে বাংলাদেশ ভেসে যাবে। বাংলাদেশে এ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে গরুর মাংস খাওয়া খুবই কমে গেছে। যার ফলে গরু ব্যবসায়ীরা যত না ক্ষতি হচ্ছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চামড়া ব্যবসায়ীরা।

এ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক এবং এ ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতার কারনে আসন্ন কুরবানী ঈদে গরুর বিক্রি যে অন্যান্য বছরের তুলনায় কম হবে তা বোঝা যাচ্ছে। এ্যানথ্রাক্স রোগের ভ্যাক্সিন খুব কম মূল্যের হলেও পর্যাপ্ত পরিমানে নেই। সরকারের উদাসীনতা এত নিম্ন পর্যায়ে যে এটা নির্মূলে কোন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চোখে পড়ছে না। হয়তো এবার গরু-ছাগল চতুস্পদী প্রানীর বদলে দুই পা বিশিষ্ট মুরগী কুরবানী (ইসলাম অনুমোদিত নয়) দিতে সরকারের উচ্চমহল চেষ্টা করতে পারে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.