হিংস্র কিছু শকুন আজ খামছে ধরেছে মানবতার পতাকা...জেগে উঠার এইতো সময়...
ঘরমুখো মানুষ সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে ঘরে ফিরে আসে সুখ-শান্তি আর স্বস্তির আশায়। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টাই দিতে পারে সেই সুখের সন্ধান। একসঙ্গে দুজন মানুষ যখন বাস করে, তাদের চিন্তার ভিন্নতা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু একই সঙ্গে বাস করতে হলে নারী-পুরুষ উভয়কেই হতে হবে সহনশীল। থাকতে হবে ছাড় দেয়ার মানসিকতা।
একে অন্যের পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। প্রত্যেকেরই শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা থাকতে হবে পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি।
সমস্যা থাকবেই, কিন্তু নিজেদের মধ্যে আলোচনা-সমঝোতার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে তার গ্রহণযোগ্য সমাধান নিজেদেরই বের করতে হবে। আমাদের সমাজে পুরুষদের মধ্যে সব সিদ্ধান্ত মেয়েদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার প্রবণতা কাজ করে। এ ধরনের মানসিকতা সমস্যা বাড়াবে।
আর সমস্যাগ্রস্ত পরিবারে শিশুদের মানসিক বিকাশ বিঘ্নিত হয় মারাত্মকভাবে। ফলে সন্তানের সুস্থ বিকাশে আগে সচেতন হতে হবে শিশুর বাবা-মাকে।
ক্লান্তিময় কর্মব্যস্ত দিনের শেষে যার চেহারা আপনাকে স্বস্তি দেয়, তাকে ভালোবাসুন বিশ্বস্ততার সঙ্গে। বিশ্বাস হলো সুখী পরিবারের প্রথম শর্ত।
প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝ থেকে আপনার কাছের মানুষটির জন্য বের করে নিন একান্ত কিছু সময়।
বছরে অন্তত একবার ঘুরে আসুন প্রকৃতির কাছাকাছি কোথাও থেকে। সঙ্গে প্রিয় মানুষটিকে নিতে ভুলবেন না যেন।
আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন না। এটা আপনার জন্য যেমন ক্ষতিকর, আপনার শিশু সন্তানদের জন্যও তা শুভ কোনো ফল বয়ে আনবে না।
দু’জনই যদি কর্মজীবী হয়ে থাকেন, চেষ্টা করুন কাজগুলো দু’জনেই ভাগ করে করতে।
এটা সম্পর্কের হৃদ্যতা বাড়াবে।
রাগের মাথায় চেঁচামেচি না করে, রাগ ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
আপনার মানুষটির সমস্যা-অনুভূতি তার মতো করে বোঝার চেষ্টা করুন।
সংসারে কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে দু’জনে মিলে সিদ্ধান্ত নিন কোনটা প্রয়োজন।
আজকের সুখী দম্পতি আগামীকালের সফল পিতা-মাতা। বাবা-মায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলে তা শিশুর মানসিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
স্বামী বা স্ত্রী নয়, চেষ্টা করুন ভালো একজন বন্ধু হতে। দাম্পত্য সম্পর্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হয়ে উঠবে মসৃণ, উপভোগ্য।
ব্যস্ততার যাঁতাকলে চাপা পড়ে আমরা যেন হাসতেই ভুলে গেছি।
তাই হাসুন প্রাণ খুলে। দূর করে দিন হৃদয়ের যত গ্লানিময় কালিমা। ভাগ করে নিন সবচেয়ে কাছের মানুষটির দুঃখ-বেদনা আর সুখগুলো। সুখে থাকুন পৃথিবীর আলো-বাতাস যতদিন আপনাকে স্পর্শ করে, তত দিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।