বিশুদ্ধ জ্ঞানের সন্ধানে...
(লেখাটি !@!8082 থেকে নেয়া। সংশ্লিষ্টরা উপকার পাবেন ভেবে অনুবাদ করে দেয়া হলো। )
রমজান মাস এসে গেলো। যারা রোজা রাখতে চান, রাখবেন, তারা এই মাসটাকে আরো সুন্দর করতে সাজিয়ে নিতে পারেন সবকিছু। কর্মজীবি বা শিক্ষার্থী সকলেই বিষয়গুলোকে নিজের মতো করে নিলেই হলো।
সাধারণভাবে অনেক রোজাদারের ধারণা, রোজা রাখতে যথেষ্ট এনার্জির প্রয়োজন হয় বলে, রমজান মাসে কাজ কমিয়ে আনা উচিত। আসলে কিন্তুতার প্রয়োজন নেই। বরং কিছুটা পরিকল্পনা থাকলে রমজানে আরো বেশি কাজ করা সম্ভব। আর চাইলে এই পরিকল্পনাগুলোর কিছু কিছু রমজান মাসের বাইরেও কাজে লাগাতে পারেন।
পর্যাপ্ত ঘুমান:
যদি তারাবি শেষ হতে 10টা বেজে যায়, তাহলে চেষ্টা করুন 11টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে, যাতে সেহেরীতে সহজে উঠতে পারেন।
সেহেরী ও ফজরের পরে আরেক দফা ঘুমিয়ে নিতে পারেন। সেটা সম্ভব না হলে জোহরের পরে সামান্য কিছু সময়ের জন্য হলেও বিশ্রাম নিয়ে নিন। লাঞ্চের এই সময়টাকে 15/20 মিনিটের বিশ্রাম আপনাকে যথেষ্ট এনার্জি দেবে। দুপুরের এই বিশ্রামটাকে এখন অনেকেই অবহেলা করেন, কিন্তু একসময় এটার যথেষ্ট প্রচলন ছিল। যারা রোজা রাখছেন শুধু আত্মিকভাবেই উপকৃত হননা, বরং দৈহিকভাবে সুস্থ-সবল ব্যক্তি অনেক শারীরিক উপকারও পান।
সময়টাকে সাজিয়ে নিন:
প্রতিদিনের কাজের একটা তালিকা করুন। মাঝে মাঝে তালিকাটাতে চোখ বুলিয়ে নিন, যাতে নির্দিষ্ট কাজের ব্যপারে আপনি সচেতন থাকতে পারেন। বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রাখুন তালিকার উপরের দিকে। যদি সুবিধা হয়, তাহলে সারাদিনের কাজের একটা প্ল্যানার সাথে রাখুন। গুরুত্বপূর্ণ ফোন-কল গুলো আগেই সেরে ফেলুন, কারণ দিনের শুরুতে সাধারণত আপনার দরকারি মানুষগুলোকে তাদের কাজের টেবিলেই পেয়ে যাবেন।
তালিকার বাকি কাজগুলোর জন্য দিনের বাকি সময়টাকে ভাগ ভাগ করে নিন। এমনও হতে পারে, আপনি অনুমানে একটা সময় হিসাব করলেন, তাতেও সমস্যা নেই, কতটুকু সময়ে কতটুকু কাজ করতে পারছেন, তার একটা হিসাব আপনি পেয়ে যাবেন। যখন আপনি শারীরিকভাবে বেশি সক্রিয়, গুরুত্বপূর্ণ কাজটি তখন করুন। যারা রোজা রাখেন, তাদের জন্য সময়টা সাধারণত সকাল।
দিনের বিভিন্ন সময়ে ই-মেইল বা ম্যাজেসগুলো চেক করুন।
তাৎণিকভাবেই বাছাই করে ফেলুন। জরুরিগুলো তাৎণিকভাবে পড়ে, তখনই রিপ্লাই দিয়ে দিন। অন্যগুলো গুছিয়ে রাখুন, দিনের নির্দিষ্ট সময়ে পড়ার জন্য, যে সময়টা আগেই এই কাজের জন্য ঠিক করে রেখেছেন।
দিনের কাজ শেষ করুন আগামী দিনের প্রস্তুতি নিয়ে। চেকলিস্টে চোখ বুলিয়ে যেগুলো শেষ হয়েছে, কেটে দিন।
অসমাপ্তগুলো আগামী দিনের তালিকায় তুলে দিন।
আরেকটি আলাদা তালিকায় দিনের সময়টুকুর হিসাব রাখুন। আপনি যদি 6/7 ঘন্টা ঘুমান, কাজ করেন 8 ঘন্টা, যাতায়াতে আরো 2 ঘন্টা, অন্যান্য কাজের জন্য আপনার থাকছে 7/9 ঘন্টার মতো। কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, পরিবারে সময় দেয়া- এসবে যাবে আরো 4/5 ঘন্টা। মসজিদে রাতে কিছু বক্তৃতা শোনা, এশা, তারাবি- এসবে যাবে আরো দুই তিন ঘন্টার মতো।
আরো দু'ঘন্টার মতো সময় অতিরিক্ত পাবেন আপনি। ইসলাম সম্পর্কে আরো জানার জন্য এ সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন আপনি। শিার্থীরা হোম ওয়ার্ক সেরে নিতে পারেন। কর্মজীবিরা আরো কিছু অতিরিক্ত কাজ করতে পারেন।
(আগামী পর্বে সমাপ্য)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।