নতুনদেশ ডটকম
আন্তর্জাতিক মুদ্রাযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্ব । অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলো তাদের রপ্তাণি পণ্যের প্রতিযোগিতাশীলতা বাড়ানে নিজ নিজ দেশের মুদ্রার মান নিয়ে নানা ধরনের কারসাজি করছে। বিশ্ববাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে আবির্ভূত ব্রাজিল আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযোগ করেছে।
ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রী গুইয়িডো মান্তেগা সে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই ধরনের মন্তব্য করেন। এর আগে তিনি ফাইনান্সিয়াল টাইমস এর মতো আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়েও একই কথা বলেন।
ফাইনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রাজিলীয় মন্ত্রী তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র,ইউরোপীয় ইউনিয়ন,চীন এবং জাপান তাদের রপ্তাণিকারকদের সুবিধা দিতে কৌশলে নিজেদের মুদ্রার মান কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলো বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষকরা মিডিয়াকে বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে চীন এবং জাপানের যুক্তিহীন হস্তক্ষেপের পর এই প্রথম কোনো রাষ্ট্র এভাবে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করলেন। অবশ্য বিশ্লেষকদের কেউ কেউ এটিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রবাজারে ব্রাজিলীয় মুদ্রার দূর্বল হয়ে পড়ারর কারনে সেদেশের সরকারের হতাশার বহি:প্রকাশ বলেও মন্তব্য করেছেন।
তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডমিনিকি স্ট্রস কাহন বলেছেন,আন্তর্জাতিক মুদ্রাযুদ্ধ সৃষ্টি হওয়ার আশংকা খুবই ক্ষীণ, তবে তিনি তাএকেবারে উড়িয়ে দিতে চাননি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রবাজারে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। প্রভাবশালী দেশগুলো তাদের সুবিধামতো বাজারে হস্তক্ষেপ করে দূর্বলদেশগুলোকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। আগামী ৮-১০ আক্টোবর ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বৈঠক হতে যাচ্ছে। আইএমএফ এর সদস্যদেশগুলোর অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণররা ওই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। বিশ্লেষকরা ধারনা করছেন, ওই সম্মেলনে মুদ্রা বাজারের অস্থিরতা এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর নিজেদের সুবিধোমতো হস্তক্ষেপ নিয়ে যথেষ্ট উত্তাপ ছড়াবে।
ব্রাজিলের এই মন্তব্যতে তার মহড়া হিসেবেও দেখছেন অনেকেই।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, বিশ্বের শক্তিশালী তিনটি অর্থনীতি যথাক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,জাপান এবং চীন সাম্প্রতিক সময়ে মুদ্রাবাজারে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে দূর্বল অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য আতংক তৈরি করেছে। অনেকদেশই বিশ্বঅর্থনীতির সংকট কাটিয়ে শক্ত ভিত তৈরি ক্রান্তিকাল অত্রিকম করছে। এমন অবস্থায় শক্ত অর্থনীতির দেশগুলোর তাদের মুদ্রার মূল্য সংশোধনের জন্যেও চাপ দিচ্ছে। জাপান গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিজেদের মুদ্রা বিক্রির সুবিধার্থে মুদ্রার মান কমিয়ে দেয়।
২০০৪ সালের পর এটিই জাপানের প্রথম মুদ্রাবাজারে হস্তক্ষেপ । আর যুক্তরাষ্ট্র তো চীনের মুদ্রার মুল্য সংশোধনের জন্যে চাপ অব্যাহতই রেখেছে। তবে পরিস্থিতিই যাই হোক ‘মুদ্রা যুদ্ধ’ হওয়া না হওয়া নিয়েই এখন নানা বিশ্লেষনে মেতে উঠেছে বিশ্বের সেরা সব অর্থনৈতিক মিডিয়াগুলো।
http://www.notundesh.com/shirshokhobor.html
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।