[গল্পে কিছু আ্যাডাল্ট কন্টেন্ট আছে, আপনি যদি ১৮ বছর কিংবা তার অধিক বয়সী না হন, তাহলে ভেতরে না ঢুকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ]
পরিশিষ্ট ৩ঃ
ঢামেক থেকে আসা ফোনের কথা শেষ হতেই মারুফ আর নওশীনের মুখ হাসিতে উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো। আজ মারুফ আর নওশীন অনেক হ্যাপি। ৩ বছরের গবেষণা আজ সফল হতে চলেছে। অনেক অনেক পরিশ্রম আজ সাফল্যের মুখ দেখতে যাচ্ছে।
‘এইচআইভিফোবিয়া’ নামে নতুন রোগটির আবিষ্কারক হিসেবে তাদের নাম যুক্ত হতে যাচ্ছে। যদিও কিছু অন্যায়ও তাদের করতে হয়েছে তবু কিছু মানুষ ভুল স্বপ্ন নিয়েই বাঁচে।
। ১।
ফেসবুক থেকে লগ আউট করে মৃদু হাসলো রাহা।
ছয় মাসের রিলেশনে কাল ২য়বারের মত দেখা হতে যাচ্ছে। প্রথমবার টিএসসিতে, অযথাই সময় নষ্ট। কালকে লিটনের ফ্ল্যাটে আকিবের সাথে ফিজিকাল রিলেশনে যাচ্ছে। এটা ষষ্ঠ কেস, এর আগে আরো পাঁচজনের সাথে ব্রেক আপ করেছে রাহা, তাদের সাথে ফার্স্ট ফিজিকাল রিলেশনের পরই।
ব্যাপারটা বেশ পুরোণো।
ব্লাড ডোনেট করতে গিয়েই প্রথম ধরা পড়ে, রাহার এইচআইভি পজেটিভ। হসপিটাল থেকে পালিয়ে বেরিয়েছিল রাহা। বাসায় এসেই হসপিটালের রেজিস্টার্ড বুকে থাকা মেইল আইডি ডিএক্টিভেট করেছিল রাহা। ব্যাপারটা গোপন রাখতে সবকিছু করেছিল রাহা, খুব ঠান্ডা মাথায়। কিন্তু নিজের ভেতরে হতাশায় ডুবে যেতে থাকে।
সব স্বপ্ন কেমন এক নিমিষে ধুলোয় মিশে গেল।
রাহা বুঝতে পেরেছে এই অভিশপ্ত রোগটা এসেছে রাহার বাবার কাছে থেকে, লোকটার চরিত্রে জঘন্য অনেক ব্যাপার ছিল। খারাপ পাড়ায় যাতায়াত ছিল বলেই রাহার মায়ের সাথে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল। মা আরেকজনকে বিয়ে করে দেশের বাইরে, রাহা বিশাল একটা ফ্ল্যাটে একা থাকে ঢাকা শহরে। টাকা-পয়সার অভাব নেই, যথেষ্ট পাঠায় মা।
বিশাল ফ্রেন্ড সার্কেল, বয়ফ্রেন্ড আনাস, সবকিছু মিলে ভালোই ছিল রাহা। একাকিত্বটাকে একদমই টের পায়নি। কিন্তু যখন জানলো রাহা মরণব্যাধি এইডস আক্রান্ত, সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলো, পাছে কেউ জেনে ফেলে। অন্যদিকে বাড়তে থাকে রাগ, ঘৃণা, শুধু বাবার উপর নয়, পুরো পুরুষ জাতির উপর। প্রতিশোধ নিতে ইচ্ছে হয়, চরম প্রতিশোধ।
ফোনটা এসেছিল তখনই, একটা মেয়ে কন্ঠ বাতলে দিয়েছিল প্রতিশোধের উপায়, কিভাবে ছড়িয়ে দিতে পারে এই অভিশপ্ত রোগ সব পুরুষের মাঝে, খুব সহজেই। পরে বুঝেছে, সেটা কোন ফোনকল ছিল না, রাহার অবচেতন মনই দিয়েছে আইডিয়াটা, ওয়ান কাইন্ড অফ হেলুসিনেশন বলা যেতে পারে একে। রাহা যেমন তারপরে অজস্রবার নিজের সাথে কথা বলেছে আয়নার দিকে তাকিয়ে, পুরোটাই হ্যালুসিনেশন।
তবু আইডিয়াটা পছন্দ হয়েছিল রাহার। শুরুটা করেছিল রাহার বয়ফ্রেন্ড আনাসকে দিয়েই।
অন্য সব মেয়ের বিএফের মত রাহার বিএফ আনাসও চাইতো ফিজিকালি কিছু ঘটাতে। তাই যখন রাহার কাছে থেকেই সেক্সের প্রস্তাব পেল, অবাক হলেও রাজি হতে দেরী করেনি আনাস। সব ব্যাবস্থা করেছে আনাসই। সেফ পিরিয়ড চলছে, প্রেগনেন্ট হওয়ার চান্স নেই জানানোর পর আর প্রটেকশন ইউজ করা হয়নি। শেষে যখন জানিয়েছিল এইচআইভি পজেটিভের কথা, প্রথমে অবিশ্বাস আর পরে আনাসের আতঙ্কিত মুখের কথা ভাবলেই তৃপ্তিতে মন ভরে যায় রাহার।
আনাসের পর আরো চারজনের সাথে খেলাটা খেলেছে রাহা। লোভী পুরুষ জাতিকে শাস্তি দিতে এরচেয়ে ভালো আর কি হতে পারে ?
তাছাড়া জানানোর পর ছেলেদের ব্যাথিত, আতঙ্কিত মুখের সামনে ঘৃণাভরা হিংস্র হাসি হাসা নেশার মত হয়ে গেছে রাহার। নাউ সিক্সথ কেস উইথ আকিব,
‘হাহ, মিঃ আকিব আরিয়ান, ইয়্যু আর নেয়ার ওফ দ্যা ট্র্যাপ!!’
। ২।
সেকেন্ড অর্গাজমের পর হাপাচ্ছে দুজনই।
সেকেন্ড টাইমে অনেক বেশিক্ষণ ধরে রাখা গেছে ফার্স্ট টাইমের চেয়ে, অনেক বেশি এনজয়েবলও ছিল এবার।
আকিব হাসিমুখে রাহার দিকে তাকায়, “হেই, আর ইয়্যু এনজয়েড ইট, ডার্লিং ?”
রাহা ক্লান্ত হাসি হাসে, “ইয়াহ বেইব, ইট ওয়াজ গ্রেইট! ”
রাহার ঠোঁটে আলতো চুমু দিয়ে আকিব উঠে পড়ে ওয়াস রুমের দিকে যায়। আকিব পেছনে ফিরে দেখে না রাহা তার হিংস্র হাসিটা হাসছে আসন্ন মজাটার কথা ভেবে, আকিবের মুখ কী পরিমাণ অসহায় আর আতঙ্কিত হবে তার কথা ভেবে।
আকিব ফিরে আসে একদম রেডি হয়ে। রাহা মুখ খোলার আগেই আকিব বলতে শুরু করে, “রাহামনি, তোমাকে একটা কথা বলতে ভুলে গেছি, আমার এইচ আই ভি পজেটিভ, আমি এইডস আক্রান্ত! আজ থেকে তুমিও আমার কাতারে এসে দাড়ালে, হাহাহাহ! নিশ্চিত হতে খবরদার কোথাও টেস্ট করতে যেও না, সবাই জেনে যাবে।
সবাই জেনে গেলে বাকি দিন গুলো নরকের মত কাটবে তোমার, সবাই তোমাকে ঘেন্না করবে, সব্বাই, হাহাহাহাহ! ”
হাসতেই হাসতেই বেরিয়ে যায় আকিব। খোলা দরজার দিকে তাকিয়ে হতবিহ্বল হয়ে বসে থাকে রাহা। বাইরের যে কেউ এসে এ অবস্থায় দেখে ফেলতে পারে রাহাকে, তা আর মাথায় ই আসে না। এলোমেলো বিছানায় নগ্ন দেহে বসে রাহা বিষ্ফোরিত চোখে অকিবের চলে যাওয়া দেখে।
।
৩।
ভীষণ উল্লসিত আকিব বাসায় ঢোকে মনের আনন্দে গান গাইতে গাইতে। এতদিনের চেষ্টা আজ সফল। প্রিয় বন্ধু আনাসের ব্রেক আপের পর ওকে মন খারাপ করতে দেখে খুব খারাপ লাগতো আকিবের। রাগ লাগতো বন্ধু এক্স গার্লফ্রেন্ড রাহার উপর।
ইউকে থেকে সদ্য দেশে ফেরা আকিবের সাথে রাহার সবকথাই শেয়ার করতো আনাস ফোনে। কিন্তু আকিব দেশে ফেরার ঠিক আগেই ওদের ব্রেক আপ হয়ে গেল।
বন্ধুর মানসিক অবস্থা পীড়া দিত আকিবকে। রাহার উপর প্রতিশোধ নিতেই ওর সাথে ফেসবুকে প্রথমে ফ্রেন্ডশিপ আর পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে, এমনকি সেক্সের ব্যাপারেও রাজি করিয়ে ফেলে।
আজ ফুললি ফিজিকালি রিলেশনে যাওয়ার শেষে এইচআইভি’র ব্যাপারে ছোট্ট করে মিথ্যে জানিয়ে এলো।
আকিব এইডস আক্রান্ত নয়। চমত্কার প্ল্যান করে নিয়েছিল আগেই। মিথ্যে বলার ফলে আতঙ্কিত হয়ে উঠবে রাহা। কিন্তু টেস্ট করতে যাবে না লোক জানাজানির ভয়ে। খুব সুক্ষ একটা ভয়ের চিত্র ধরিয়ে দিয়ে এসেছে রাহাকে আকিব।
ফলে রাহা কখনো সত্যটা জানতেই পারবে না। অথচ মানসিক ভাবে প্রচন্ড যন্ত্রনা ভোগ করতে হবে সারাটাজীবন। তৃপ্তির হাসি হাসতে হাসতে আনাসকে ফোন দেয় আকিব, সুখবরটা জানাতে হবে,
ঃ হুম, আকিব, বল!
- আরে মাম্মা, হুহুহাহাহাহ, কি কমু, মালে তো চিনি নাই!
- ঘুম থেকে জাগাইছস, কি কইবি ক, ঘুমামু!
ঃ আবে হালার পো, এইবার মালে সেকারিন মিশায় দিসি পুরা!
ঃ সিরিয়াসলি তুই কিছু বলবি না ফোন কাটুম ? ঘুমাই নাই রাতে………
- চেতস কেন ? শোন আজকে তো রাহার ফ্ল্যাটে যাইয়া ওর সাথে………
ঃ হোয়াট !!? ডু ইয়্যু মিন’স সেক্স ইয়্যু ডু উইথ রাহা……… ?!!
- ইয়াপ মাম্মা! বাট সেক্সটা আসল কথা না। তোরে কষ্ট দেয়ার রিভেন্জ আমি লইছি সেক্সের পরে, যা কইছি শুনলে মামা তুই টাসকি…………
ঃ হোয়াট’স দ্যা ফাক, শিট, ব্লাডি বিচ………… ডোন্ট ইয়্যু নো, রাহার এইচআইভি পজেটিভ ? শি ইজ আ্যা……
- হোয়াট ????
ঃ ইয়াহ, আমি লাকিলি আ্যাটাক্ড হই নাই, ও একটা সাইকো, এইডস ধরা পড়ার পর থেকে ছেলেদের মাঝে ছড়ায় দেয়া একটা নেশার মত হয়ে গেছে। বিকৃত মস্তিষ্কের চিন্তা, তুই আমাকে কেন আগে…………………
আকিবের কানে আর কিছু ঢোকে না।
ফোনটা হাত থেকে ফ্লোরে পড়ে কাঁপতে থাকে, কাঁপতে থাকে পৃথিবীটাও, দুলতে থাকে ভীষণ রকমভাবে আকিবের দুনিয়া। সব স্বপ্ন কাঁচের মত যেন ভাঙ্গতে থাক ঝনঝনিয়ে, এক লহমায় বর্ণহীন হয়ে যায় সব, সবকিছু।
। ৪।
জানালার পাশে বসে রাতের অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে আছে রাহা।
হিমেল বাতাস শীত ধরিয়ে দিচ্ছে। টুইস্ট করতে গিয়ে নিজেই কেমন টুইস্টেড হয়ে গেলো। দুপুরে আকিবের ব্যাপারটার পর থেকেই কেমন যেন লাগছে মনটা। কোন কারণ নেই যদিও, রাহা তো আগে থেকেই এইডস আক্রান্ত, আকিব আর কি করতে পেরেছে নতুন করে। তবু কেমন বিষাদ ভর করেছে মনে আজ।
আগের জীবনকে মিস করছে খুব। আগের বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠিদের। মায়ের কথা মনে পড়ছে। আশ্চর্যের বিষয়, সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে বাবাকে। লোকটার উপর আর একটুও রাগ হচ্ছে না।
ছোটবেলার মত বাবার পিঠে শুয়ে, বাবার শরীরের ঘ্রাণ নিতে নিতে ঘুমোতে ইচ্ছে করছে।
রাহা হঠাত ডিসিশন নিলো বাবাকে মেইল করবে, একবারের জন্য হলেও বাবাকে দেখতে চায় রাহা। কদিনই বা আর বাঁচতে দেবে রাহাকে, শরীরে তো বাসা বেঁধেছে মরণব্যাধী এইডস।
প্রায় এক বছর পর মেইল আ্যাকাউন্ট রি-এক্টিভ করলো রাহা। কত মেইল যে এসেছে! হঠাত নিখোঁজ রাহাকে তাহলে অনেকেই মনে করেছে, মনে রেখেছে।
হঠাত হসপিটাল থেক আসা মেইলটা চোখে পড়ে, প্রায় একবছর পূর্বের। মেইলটা ওপেন করে পড়তেই আকাশ ভেঙ্গে পড়লো রাহার মাথার উপর। বিড়বিড় করে বলতে লাগলো, “আকিব ক্ষতি করেছে, আকিব পেরেছে! ”
ইংরেজীতে লেখা মেইলটা বাংলা করলে এমন দাড়ায়,
“আমরা খুবই দুঃখিত মিস রাহা, আপনার ব্লাড রিপোর্ট কোন এক অঞ্জাত কারণে ভুল এসেছিল। আপনি এইচআইভি আক্রান্ত নন। আপনাকে সাময়িক দুঃচিন্তাগ্রস্থ করে তোলার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত! ”
রাহা বিড়বিড় করেই চলেছে, “আমি এইডস আক্রান্ত ছিলাম না, কিন্তু আজ থেকে আমি, আকিব, আকিব আমাকে! ”
পরিশিষ্ট ২ঃ
“আমার এইডস নেই, আমার এইচআইভি ছিল না! ”
নওশীন আর মারুফ দেখে দূর থেকে।
এই পেশেন্টের উপর গবেষণা করেই তারা তাদের থিসিস পেপার তৈরী করেছে। এই রোগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, পেশেন্ট সর্বদা নিজেকে এইডস আক্রান্ত ভেবে ভীত হয় কিন্তু পেশেন্ট সত্যিকার অর্থে এইডস আক্রান্ত না।
কিছুদিনের মধ্যেই চিকিত্সাবিজ্ঞানে এইচআইভিফোবিয়া নামক নতুন এই রোগটি যুক্ত হতে যাচ্ছে এবং এই বিরল রোগটির আবিষ্কারক হিসেবে নথীভুক্ত হতে যাচ্ছে দুজন সাইকোলজিস্টের নামও, মারুফ হাসান এবং নওশীন নাহার।
শুধু গবেষণা না, এই ক্রেডিট পেতে তাদের বিশাল প্ল্যান করে পেশেন্ট যোগাড় করতে হয়েছে। পেশেন্ট রাহা একসময় নওশীনের ক্লোজ ফ্রেন্ড ছিল।
যদিও প্ল্যানটা পুরোপুরি কাজে লাগানোর আগেই কাজ হয়ে গেছে।
কী করে ব্যাপারটা হলো তা নিয়ে দুজনই ভাবছে। এটা নিয়ে কাজ করার সময় পায়নি।
আশ্চর্যজনকভাবে, একইরকম আরেকজন বাঙ্গালি পেশেন্টের উপর গবেষণা করছে দুই ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। পেশেন্টের নাম আকিব আরিয়ান এবং সেও এইডস আক্রান্ত না কিন্তু এইডস ভীত।
ক্রেডিটটা যাতে অন্য কেউ না পায়, তার জন্যই দ্রুত জমা দিতে হয়েছে।
মারুফের ফোনে কল আসতেই একটু দূরে গিয়ে কথা বলে ফিরে আসলো।
**পরবর্তী অংশ পড়তে উপরে ‘পরিশিষ্ট ৩’ দেখুন!**
পরিশিষ্ট ১ঃ
“দোস্ত, খুব মনোযোগ দিয়ে আরেকবার শোন পুরোটা,
তুই ফোনে রাহাকে ব্লাড ডোনেট করার জন্য মামার ক্লিনিকে পাঠাবি, আমি ওর হাতে ভুল রিপোর্ট ধরায় দিবো যে ওর এইচআইভি পজেটিভ, রাহা এইসময় হতাশ হয়ে পড়বে কিন্তু লজ্জায় কাউকে জানাবে না, তুই এই চান্সটা নিবি, ওর ফোনে ফোন দিয়ে পুরুষ বিদ্বেষী করে তুলবি কিভাবে ছেলেদের প্রতি রিভেন্জ নেয়া যায়, এই ওয়েটা দেখাবি!
দ্যান আমি যাবো ওর শিকার সেজে, ও বলার আগেই আমি বলবো আমার এইডস পজেটিভের কথা!
শেষে জানিয়ে দেবো ওর এইচআইভি নেগেটিভ ছিল, বিশাল মানসিক ধাক্কা, হোপফুল্লি কাজ হয়ে যাবে, ‘এইচ আইভিফোবিয়া’ নামে আমরা যে সাইকো ডিজিজটার ডিজাইন করছি, ওইটার পেশেন্ট হিসেবে রাহাকে সাবমিট করবো। না হলে প্ল্যান B আছে, ইভেন গিনিপিগ B, C ও আমি রাখছি।
ক্লিয়ার নওশীন ? ”
দু সপ্তাহ পর,
“সব ঠিক ছিল মারুফ, আমি ফোনও করছি রাহাকে, যেমন চাইছিলাম তেমন করেই ইফেক্ট করেছে রাহাকে।
বাট ওকে খুঁজে পাচ্ছি না সকাল থেকে। ফ্ল্যাটে নেই, কন্টাক্ট অফ!”
২ বছর পর,
“দোস্ত রাহাকে খুঁজে পাইসি, তুই চেম্বারে আয়, ইয়্যু কান্ট ইমাজিন মারুফ, শি ইজ আ্যা পেশেন্ট অফ ‘এইচআইভিফোবিয়া’ নাউ!! আমাদের প্ল্যান সাকসেসফুল!!
দু মাস পর,
থিসিস লেখা শেষ করে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। মারুফ, নওশীন দেখতে এসেছে রাহাকে।
**পরবর্তী অংশ পড়তে উপরে ‘পরিশিষ্ট ২’ দেখুন!**
The End
[গল্পের সমস্ত ঘটনা, চরিত্র এবং তথ্য কাল্পনিক এবং মিথ্যে। ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।