আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবার পাট বললেই বাংলাদেশ

পাটের জীবনরহস্য বা জিন নকশা (জিনোম সিকোয়েন্সিং) বের করার গবেষণায় এবার পূর্ণতা পেল বাংলাদেশ। দেশের একদল বিজ্ঞানীর এই কৃতিত্বের ফলে আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে কৃষকের হাতে রোগ প্রতিরোধী ও উন্নত পাটের জাত তুলে দেওয়া যাবে। এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম। মাকসুদুলের নেতৃত্বে তোষা পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন হয়েছিল ২০১০ সালে। সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চাষ হওয়া পাটের দুটি প্রধান জাতের মধ্যে এটি একটি।

এবার তাঁরই নেতৃত্বে আরেকটি জাত দেশি বা সাদা পাটের জীবনরহস্য উন্মোচিত হলো। আর তাঁর দল ২০১২ সালে পাটের জন্য ক্ষতিকর একধরনের ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচন করায় উন্নত পাটের জাত উদ্ভাবনের দিকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আর এসবের স্বত্ব (পেটেন্ট) পেলে বিশ্বের যেকোনো স্থানে পাট নিয়ে গবেষণার জন্য বাংলাদেশ অর্থ পাবে। তখন পাট বললেই বাংলাদেশের কথা আসবে। পোকার আক্রমণের কারণে কৃষকেরা সাদা পাটের চাষ কমিয়ে দিয়েছেন।

কিন্তু এই পাটের আঁশের মান বেশ উন্নত, তা দিয়ে বস্ত্রশিল্পের উপযোগী সুতা উৎপাদনও সম্ভব। তাই সোনালি আঁশ পাটের নতুন আশা পেল বাংলাদেশ। দেশি সাদা জাতের পাটের জীবনরহস্যের ফলাফল ইতিমধ্যে বিশ্বের জৈবপ্রযুক্তিবিষয়ক সবচেয়ে বড় গবেষণাকেন্দ্র ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের (এনসিবিআই) কাছে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। আগামী তিন থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে এই গবেষণার ফলাফল কোনো একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু হবে। শুধু তাই নয়, পাট ও ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচনের পর এ বিষয়ে মোট পাঁচটি গবেষণা ফলাফলের স্বত্বের (পেটেন্ট) জন্য বিশ্ব মেধাস্বত্ব সংস্থার (ডব্লিউআইপিও) কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ।

ইতিমধ্যে পাটের তন্তুর কার্যকারিতা নিয়ে দুটি এবং ছত্রাকের ওপর করা তিনটি গবেষণা স্বত্বের আবেদন চূড়ান্তভাবে গ্রহণ করেছে সংস্থাটি। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.