আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোনো ধরনের যানজট নেই। গাড়ির ভীড় ? তাতে কী? রাখার জায়গার অভাব নেই। লাগলে বুইঝা লন (রম্য এবং আজাইরা পোস্ট)

শূন্য হৃদয়ে ডঙ্কা বাজে এ কিসের, জানো কি হে!

খানিক বৃষ্টি এবং খানিক রোদের লুকোচুরিতে কুদ্দুস এবং মফিজ একটি অভাবনীয় সমস্যার ব্যাপারে আলুচনায় লিপ্ত। পরে তাদের কাছে ধরা দেয়া আশ্চর্যজনক সমাধান নিয়ে আলাপচারিতায় ব্যস্ত। আর অবাক বিস্ময়!! দুপুরের খাবারের সময় চলে যাচ্ছে। কিন্তু আলু- চনা তো শেষ অয় না। যা হোক।

সৌভাগ্য হলো বিস্ময়কর এই আলু চনা পাশে বেকুবের মতো দাড়িয়ে উপ ভুগ করার। কুদ্দুস- শুনেন। এতু টেনশন করেন কা। আফনের তো মিয়া গাড়ি দুই হান। মফিজ- ভাই।

আফনে তো জানইন না। নতুন একটা মাল ছিটাগাং বন্দর দিয়া লামাইছি। দু'এক দিনের মইধ্যে বাড়ির ঘ্যারেজে আসব। কুদ্দস- ভাই। আফনে তো বহুত মাল বানাই ফালাইছেন।

তয় আমিও চেস্টা পাতি কিচু করতাছি। মেওয়ার অপেককায় আছি। যা উক গা। আসল কতা কন। এত্তো গাড়ি আফনের নিজের ঘ্যারেজেই রাকবেন ? মফিজ - না ভাই।

আসলে ভাবতাছি কি করন যায়। গাড়ি াানলে তো মানুসেরও নজর পড়ব। দেহি কি করা যায়। আফনের কাচে কুনু বুদ্ধি টুদ্দি থাকলে দিয়েন। এমন সময় অনেকটা আকস্মিকভাবে কুদ্দুসের বন্ধু আবুল সে পথ দিয়ে যাচ্ছিল।

আবুলের কড়া ব্যবসা। যেহান দিয়া যায়। খালি মাল আর মাল। টেকার কুনু অবাব নাই। অই আবুল।

কই যাস। এদিক আয়। খবর কি ক ত দেহি। কামাইতে কামাইতে তো বন্দু বান্দবরে ভুইলা গেচস। কেমন চলছে ক।

আবুল- আর বলিস না রে দোচত। নতুন একখান খবর শুনে তো আকাশ থাইক্যা পরলাম। কুদ্দুস ও মফিজ সম্বস্বরে- কি? কি? কি খবর? আবুল- আরে দারা। তুদের তো বলতেই হবে। তুরা তো চিপাচাপা দিয়া মাল কামাইয়া লাল হয়া গেচস।

গাড়ি তো মাসাল্লাহ আছে দু'চারটা। শোন, এহন আর যানজট ল্য়া কুনু চিন্তা নাই। নতুন একটা বিজনেস পাইছি। আমিও তুদের গাড়ির জায়গা দিমু। মতিজিল আর ফুলশান যহানে ইচ্ছা সেহানে তোরা গাড়ি রাকতে পারবি।

কুদ্দুস- হাচা কইতাছস নাকি। মফিজ- কেমনে রে আবুল? তুই কি আমাদের বুকা পাইছস? এমন কি জাদু আছে তোর কাচে। আবুল খানিক চিন্তা করে তার বাক্স থেকে বের করলো আশ্চর্যজনক সেই বস্তু। দেশের সব মানুষের দীর্ঘশ্বাসের সমাপ্তি টানতে আর যানজট নামক ওষুধ অনিচ্ছা সত্ত্বেও যাতে কেউ কাছে না পায় তার টনিক। নে ...নে... মন ভইরা দেক।

এগুলা দেইখ্যা ক, জানজট আর থাকব নি? ফুটপাতে ফুটফাতওয়ালারা আর সব বেকুবগুলা হাটতেও পারব। তুর গাড়ি যয়টা হোক। ফার্কিং সমইস্যা একবারেই নাই। কুদ্দুস ও মফিজ দু চোখে অবাক দৃষ্টি নিয়ে দেখছে সেসব। এটাও কি সম্ভব!!!!!!!!!!!!!!! [img|http://media.somewhereinblog.net/images/thumbs/jasimblog_1285528282_8-007.jpg দেখিয়া কুদ্দুস ও মফিজ...... ..... আবুলরে বলিল- শোনরে আবুল।

আজকে ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১০। তুর ছবি সত্যি হুতে লাগবে আরেক ২৬ সেপ্টেম্বর। তবে পরের সালটা যে কতু হবে তা তুই তো জানস না। আমরাও কইতে পারুম না। যা.. যা.. বাড়িত যা।

ঘুমা। (এটি জার্মানীর গাড়ি পার্কিয়ের চিত্র। আমাদেরও কি হবে খুব দ্রুত। ঢাকা শহরের জন্য এ ব্যবস্থা করা কি খুব কঠিন। মতিঝিলে একটি ভবন ডিসিসির আছে বলে জানি।

কিন্তু সেখানে গাড়ি কয়টা রাখা হয় সেটাই প্রশ্ন। আর অহেতুক যেখানে, সেখানে পার্কিয়ের কারণে আর গাড়ির আধিক্যে যানজটে জনজট আর জীবনজটে সব অস্থির। মুক্তি কাম্য। দ্রুত। )


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.