প্রতিদিন যা পড়ি পত্রিকার পাতায়, ভাললাগা-মণ্দলাগা সবই শেয়ার করি সবার সাথে।
লেখাটি লিখেছেন বকুল আহমেদ
মানবজমিনের কলাম লেখক।
রাজধানীর ফুট ওভার ব্রিজের চিত্র পুরোটাই পাল্টে যায় রাতে। আলো-আঁধারের মধ্যে চলে নানা অপকর্ম। ঘড়ির কাঁটা ১২টা পেরুলেই ফুট ওভার ব্রিজগুলো ছিনতাইকারী, মাদকসেবী ও যৌনকর্মীর দখলে চলে যায়।
বুধবার রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত শাহবাগ থেকে মহাখালী ফ্লাই ওভার পর্যন্ত ঘুরে অনেক চিত্রই চোখে পড়েছে। একাধিক যৌনকর্মী জানিয়েছে, রাতের টহল পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম চলে। সাধারণ মানুষ ব্রিজ পার হতে শুধু বিড়ম্বনায় পড়েন না, ছিনতাইকারীদের কাছে সর্বস্ব খুইয়ে সর্বস্বান্ত হন। এমনই একজন আজিজুর রহমান। তিনি বুধবার রাত দেড়টার দিকে ফার্মগেট ফুট ওভার ব্রিজ পার হতে গিয়ে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন।
তিনি বলেন, ওভার ব্রিজে উঠার সঙ্গে সঙ্গে ৪-৫ জন আমাকে ঘিরে ধরে। গলায় একটি ধারালো চাকু ধরে মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা ৭শ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে শাসিয়ে বলে, নিচে গিয়ে যদি পুলিশ বা কাউকে বলিস তাহলে খতম করে দেব। তোর পিছনে আমাদের লোক আছে। আবদুস সালামের বাড়ি বগুড়া। রাত আড়াইটার দিকে ফার্মগেট আনন্দ হলের সামনে ১৩ বছরের ছেলে মাসুমকে নিয়ে ব্যাগ কাঁধে অপেক্ষা।
তিনি বলেন, রাস্তার ওপার থেকে এপারে আসতে ওভার ব্রিজ ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু ব্রিজের উপরে উঠার জো নেই। যৌনকর্মীদের নানা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি। ছেলের সামনে লজ্জাই মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে। ব্রিজে উঠার সঙ্গে সঙ্গে যৌনকর্মীরা ডাকাডাকি শুরু করে।
কয়েকজন যুবক ব্যাগ ধরে টানাটানি শুরু করেছে। কোন রকম নিজেকে রক্ষা করে ছেলেকে নিয়ে দ্রুত নামেন তিনি। গাঁজা বিক্রেতা কালাম। আনন্দ হলের সামনে একটি পলিথিন ব্যাগে বেশ কিছু গাঁজা নিয়ে অপেক্ষা করছে খদ্দেরের জন্য। সে বলছে, রাতে ট্যাঙিক্যাব ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা তার নিয়মিত খদ্দের।
প্রতিদিন সে ৫ থেকে ৭শ’ টাকার গাঁজা বিক্রি করে বলে জানায়। রাত ৩টা। ২ পুলিশ সদস্যকে ফুট ওভার ব্রিজে উঠতে দেখা যাই। ৫ মিনিট পর পুলিশ সদস্যরা নেমে আসে। বেশ ফুরফুরে মেজাজ তাদের।
পুলিশ নেমে আসার পর যৌনকর্মী রহিমার সঙ্গে কথা হয়। পুলিশ কেন এসেছিল জানতে চাইলে সে বলে, বোঝেন না, কেন আসে? টাকা নিতে। টাকা না দিলে এখানে দাঁড়ানো যাবে? প্রতিদিনই তাদের বখরা দিতে হয়।
এছাড়া রাতে মাইক্রোবাস কিংবা প্রাইভেটকারের মধ্যেও ছিনতাই হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে না দিয়ে গাড়ির ভিতরে তাদের কাছ থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে সুযোগ বুঝে ফাঁকা জায়গায় তাদের নামিয়ে দেয়া হয়।
এমনই একজন আলী আকবর। রাত সাড়ে ৩টায় তার সঙ্গে ইন্দিরা রোডে কথা হয়। বলেন, গাবতলী দাঁড়িয়ে ছিলাম। সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকার থামিয়ে ড্রাইভার জানতে চায়, আমি কোথায় যাবো? নাখালপাড়া বলতেই ড্রাইভার বলল, আমিও নাখালপাড়ায় যাচ্ছি। ৫০ টাকা দিলে উঠতে পারেন।
টেকনিক্যাল মোড় ছাড়িয়ে এসে আরও তিনজন উঠলো। খামারবাড়ি মোড়ে গাড়ি থামিয়ে অস্ত্র ধরে আমার মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা প্রায় ৫ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে মিরপুর-১০ এর দিকে চলে গেল তারা। বিজয় সরণি মোড় থেকে মহাখালী ফ্লাই ওভার ব্রিজ পর্যন্ত যৌনকর্মীদের আনাগোনা কম নয়। প্রাইভেটকার, মাইক্রো ও ট্যাঙিক্যাবে তারা দেহব্যবসা করে। মহাখালী ফ্লাই ওভার ব্রিজের নিচে খদ্দেরের অপেক্ষায় থাকা মঞ্জুর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর।
সে জানায়, ফ্লাই ওভার ব্রিজ এলাকায় প্রায় ১০-১২ জন যৌনকর্মী রয়েছে। রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে তারা অপেক্ষা করতে থাকে। গাড়িতে করে তাদেরকে এখান থেকে নিয়ে যায়। মঞ্জু বলে, এয়ারপোর্ট এলাকায় ফাঁকা রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে কাজ সেরে আবার গাড়িতে করে নামিয়ে দিয়ে যায় খদ্দেররা। টাকা না দিয়েও অনেকে পালিয়ে যায়।
তেজগাঁও থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ফার্মগেট এলাকায় দেহব্যবসা চলে না। টহলরত ২ পুলিশ সদস্যকে যৌনকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের কাজ চলে তা আমি অবগত নই। বিষয়টি দেখবো। লবকুল আহমেদ: রাজধানীর ফুট ওভার ব্রিজের চিত্র পুরোটাই পাল্টে যায় রাতে। আলো-আঁধারের মধ্যে চলে নানা অপকর্ম।
ঘড়ির কাঁটা ১২টা পেরুলেই ফুট ওভার ব্রিজগুলো ছিনতাইকারী, মাদকসেবী ও যৌনকর্মীর দখলে চলে যায়।
বুধবার রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত শাহবাগ থেকে মহাখালী ফ্লাই ওভার পর্যন্ত ঘুরে অনেক চিত্রই চোখে পড়েছে। একাধিক যৌনকর্মী জানিয়েছে, রাতের টহল পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম চলে। সাধারণ মানুষ ব্রিজ পার হতে শুধু বিড়ম্বনায় পড়েন না, ছিনতাইকারীদের কাছে সর্বস্ব খুইয়ে সর্বস্বান্ত হন। এমনই একজন আজিজুর রহমান।
তিনি বুধবার রাত দেড়টার দিকে ফার্মগেট ফুট ওভার ব্রিজ পার হতে গিয়ে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। তিনি বলেন, ওভার ব্রিজে উঠার সঙ্গে সঙ্গে ৪-৫ জন আমাকে ঘিরে ধরে। গলায় একটি ধারালো চাকু ধরে মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা ৭শ’ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে শাসিয়ে বলে, নিচে গিয়ে যদি পুলিশ বা কাউকে বলিস তাহলে খতম করে দেব। তোর পিছনে আমাদের লোক আছে। আবদুস সালামের বাড়ি বগুড়া।
রাত আড়াইটার দিকে ফার্মগেট আনন্দ হলের সামনে ১৩ বছরের ছেলে মাসুমকে নিয়ে ব্যাগ কাঁধে অপেক্ষা। তিনি বলেন, রাস্তার ওপার থেকে এপারে আসতে ওভার ব্রিজ ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু ব্রিজের উপরে উঠার জো নেই। যৌনকর্মীদের নানা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি। ছেলের সামনে লজ্জাই মাথা হেট হয়ে যাচ্ছে।
ব্রিজে উঠার সঙ্গে সঙ্গে যৌনকর্মীরা ডাকাডাকি শুরু করে। কয়েকজন যুবক ব্যাগ ধরে টানাটানি শুরু করেছে। কোন রকম নিজেকে রক্ষা করে ছেলেকে নিয়ে দ্রুত নামেন তিনি। গাঁজা বিক্রেতা কালাম। আনন্দ হলের সামনে একটি পলিথিন ব্যাগে বেশ কিছু গাঁজা নিয়ে অপেক্ষা করছে খদ্দেরের জন্য।
সে বলছে, রাতে ট্যাঙিক্যাব ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকরা তার নিয়মিত খদ্দের। প্রতিদিন সে ৫ থেকে ৭শ’ টাকার গাঁজা বিক্রি করে বলে জানায়। রাত ৩টা। ২ পুলিশ সদস্যকে ফুট ওভার ব্রিজে উঠতে দেখা যাই। ৫ মিনিট পর পুলিশ সদস্যরা নেমে আসে।
বেশ ফুরফুরে মেজাজ তাদের। পুলিশ নেমে আসার পর যৌনকর্মী রহিমার সঙ্গে কথা হয়। পুলিশ কেন এসেছিল জানতে চাইলে সে বলে, বোঝেন না, কেন আসে? টাকা নিতে। টাকা না দিলে এখানে দাঁড়ানো যাবে? প্রতিদিনই তাদের বখরা দিতে হয়।
এছাড়া রাতে মাইক্রোবাস কিংবা প্রাইভেটকারের মধ্যেও ছিনতাই হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে না দিয়ে গাড়ির ভিতরে তাদের কাছ থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে সুযোগ বুঝে ফাঁকা জায়গায় তাদের নামিয়ে দেয়া হয়। এমনই একজন আলী আকবর। রাত সাড়ে ৩টায় তার সঙ্গে ইন্দিরা রোডে কথা হয়। বলেন, গাবতলী দাঁড়িয়ে ছিলাম। সাদা রঙের একটি প্রাইভেটকার থামিয়ে ড্রাইভার জানতে চায়, আমি কোথায় যাবো? নাখালপাড়া বলতেই ড্রাইভার বলল, আমিও নাখালপাড়ায় যাচ্ছি।
৫০ টাকা দিলে উঠতে পারেন। টেকনিক্যাল মোড় ছাড়িয়ে এসে আরও তিনজন উঠলো। খামারবাড়ি মোড়ে গাড়ি থামিয়ে অস্ত্র ধরে আমার মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা প্রায় ৫ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়ে মিরপুর-১০ এর দিকে চলে গেল তারা। বিজয় সরণি মোড় থেকে মহাখালী ফ্লাই ওভার ব্রিজ পর্যন্ত যৌনকর্মীদের আনাগোনা কম নয়। প্রাইভেটকার, মাইক্রো ও ট্যাঙিক্যাবে তারা দেহব্যবসা করে।
মহাখালী ফ্লাই ওভার ব্রিজের নিচে খদ্দেরের অপেক্ষায় থাকা মঞ্জুর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। সে জানায়, ফ্লাই ওভার ব্রিজ এলাকায় প্রায় ১০-১২ জন যৌনকর্মী রয়েছে। রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে তারা অপেক্ষা করতে থাকে। গাড়িতে করে তাদেরকে এখান থেকে নিয়ে যায়। মঞ্জু বলে, এয়ারপোর্ট এলাকায় ফাঁকা রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে কাজ সেরে আবার গাড়িতে করে নামিয়ে দিয়ে যায় খদ্দেররা।
টাকা না দিয়েও অনেকে পালিয়ে যায়। তেজগাঁও থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ফার্মগেট এলাকায় দেহব্যবসা চলে না। টহলরত ২ পুলিশ সদস্যকে যৌনকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের কাজ চলে তা আমি অবগত নই। বিষয়টি দেখবো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।