আমার তো মনে হয় পারে! যা দেখছি বর্তমানে আসলে। এতে তো আসলে হলুদ সাংবাদিকতারই সুযোগ করে দেয়া হবে মানে সুযোগ নেবে তারা। একই ছাদের মানুষদের যারা আমাদের পথ সহায়ক তাদের আলাদা করে দেখা মানেই বাংলাদেশটাই আলাদা মতের ঘড়ানার লোক নতুন করে সৃষ্টি হওয়া ছাড়া আমি আর কিছুই দেখতে পারছি না!
কিন্তু এই আমি মনে করি একজন আমজনতা এবং সাধারনের কাতারের লোক হিসেবেই,আর তা হচ্ছে- সমালোচনার উর্ধে আসলেই কেউই না।
সমালোচনা হতেই পারে। সমালোচনাই তো শুদ্ধ করে তোলে যে কোন মানূষকেই।
কিন্তু মহান সংসদের এই সাংসদদের আলোচনা যা পত্রিকাওয়ালারা বলছেন যে সমালোচনা এবং সত্য প্রকাশের জন্যই বাধা! আমরা তো এই কথাও বলতে পারি- বাজারে পত্রিকার কাটতি বাড়ানোর জন্য হলেও কিছুটা নাড়াচাড়া দেয়ার দরকার ছিল এই ব্যাপারটিতে মাতামাতি করে পত্রিকাওয়ালাদের। কারন ৯০ পরবর্তিতে এত ঝামেলাহীন ঈদ মানে আর লোডশেডিং সমস্যা কাটিয়ে উঠার সফলতাকে ডিঙ্গিয়ে কোন গরম খবর আসলে সংবাদপত্রের জন্য দেশে ছিল না।
আমি বলছিনা যে,সংবাদপত্র আর সাংবাদিকতা আমাদের জন্য কুফল বয়ে এনেছে। আমি তো বলবো- সংবাদপত্র আমাদের জন্য সবসময় আশির্বাদ বয়ে এনেছে। কিন্ত এর মাঝেও যখন কিছু অসঙ্গতি দেখি তখন আসলে আমার টক-ঝাল-মিষ্টি আচারের কথাই বারবার মনে হয়।
আমরা সাধারনরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবো সবার আলোচনা-সমালোচনা। আমাদের যে বোধ-বুদ্ধি এখন আছে তা হয়ত তারা ভুলে যান!
তাই বলতেই ইচ্ছে করলো কেন জানি তা- আমরা সাধারন! আমরা কিন্তু অসাধারন হতেই পারি,যদি আমরা চাই। এই আমরাই তো আসলে যে কোণ ব্যাপারের শক্তি। কিন্তু আফসোস আমার এই সোনার বাংলায় আসলে দেশভক্তি করা মানুষের দেখা মিলাই ভার। সবদিকে শুধু বদনাম আর সমালোচনা আর দোষ খুজে পাওয়া।
আর এর যাতাকলে কেন জানি দেশটাই মনে হয় বারবার এগিয়েও পিছিয়ে যায়।
মেনে নিলাম যে সরকারের ভুল আছে। থাকতেই পারে। কিন্তু আসলে আমাদের বিচার করে দেখা দরকার যে কতবেশি ভুল করছে আগের চেয়ে? কতবেশি তারা সাবধান না সব ব্যাপারে? আসলেই তারা কতটা আন্তরিক না দেশের প্রতি? এই সব বিবেচনায়ও আনা দরকার আসলে সব জায়গায়। কিন্তু তা কি আসলে আমাদের সব সাংবাদিকতায় দেখতে পাই।
এই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয় পাই না। তাদেরও দ্বৈতনীতি আছে। থাকতেই পারে সাংবাদিকতা আর সংবাদপত্রের মতো সংবেদনশীল জায়গাটায়। কিন্তু তা কতটা ভালদিকগুলোও তুলে ধরে। হ্যা এ ক্ষেত্রে এই জায়গাটায় যা দেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এই তাদেরও তো বলা উচিৎ আমাদের কাছে, কোনটা ভাল আর কোনটা খারাপ। কিন্তু তারা না করেই কেন জানি জ্বালাময়ি অংশ মানে যা লোকাল ভাষায় ‘হিট’ এবং ভদ্র ভাষায় জনপ্রিয়তা পাওয়ার মতো দিকগুলাই তুলে ধরে।
আমার প্রশ্ন এই জায়গাগুলোতেই মুলত,কেন আসলে ভাল দিকগুলোও তুলে ধরবে না সংবাদপত্রগুলো। তারা কেন বলবে না-এইখানে এই দুর্নীতি হচ্ছে এইখানে আসলে এই করা দরকার। হ্যা এখানে সংবাদপত্রওয়ালারা বলতেই পারে যে- কি এত ঠ্যাকা পরছে যে আমরা শুধুই কষ্ট করবো অথবা কেনই বা খারাপের সাথে ভালটা তুলে ধরবো।
তখন আমার মতো সাধারনের কাছে প্রশ্ন আসতেই পারে সংবাদপত্রের উপর- আপনারা ভাল সবই করেন কিন্তু ভুল শুদ্ধ করার তো পথ বাতলে দেন না।
সঠিক পথদ্রষ্টা কিন্তু ভুল পথ যেমন নির্ধারন অথবা দেখিয়ে দেন ঠিক তেমনি কিন্তু সঠিক পথও চিনিয়ে দেন!
এ ক্ষেত্রে আসলে অনেক আলোচনা আসতেই পারে। তাই বলে আমি-
সংবাদপত্রেরও সমালোচনা করতে পারবো না,তা কি ঠিক?
সাংসদরা ভাল না,জনপ্রতিনিধিরা ভুল করে,সরকারের এই দিকে নিয়ন্ত্রন নাই যেমন তারা বলে। তেমনি কি তারা আসলে ভাল কে,জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে কে সঠিক এই জায়গায় নিয়ন্ত্রন আনার জন্য সরকারের এই করা উচিত,তাও কি ঢালাওভাবে বলে যতটুকু তারা খুটিয়ে খুটিয়ে বের করে?
আর সবার কাছে এই অধমের একটি প্রশ্ন দিয়েই শেষ করি,আর তা হচ্ছে- দেশের সব রাজনীতিবিদ আর সাংসদরা আর জনপ্রতিনিধিরা খারাপ হলে আসলে কি হবে?তা যদি একটু জানতে পারতাম সবার কাছে।
বর্তমান কেন্দ্রীয় প্রেসক্লাব সভাপতি থেকেও একজন সাংবাদিক নেতার কি একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী বনে যাওয়া ঠিক কি না? যা আমরা দেখেছি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।