পতন আবশ্যক ...............
স্টিভেন পিংকার
স্টিভেন আর্থার পিংকার (জন্ম ১৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৫৪, মন্ট্রেয়াল, কানাডা) একজন খ্যাতিমান মার্কিন পরীক্ষামূলক মনোবিজ্ঞানী (experimental psychologist) ও বোধন বিজ্ঞানী (cognitive scientist)। তিনি একজন জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক ও বিবর্তনবাদী মনোবিজ্ঞান (evolutionary psychology) ও মনের গণনামূলক তত্ত্বের (computational theory of mind) উৎসাহী প্রবক্তা। সাধারণের জন্য লেখা তাঁর পাঁচটি বই – The Language Instinct, How the Mind Works, Words and Rules, The Blank Slate, ও The Stuff of Thought – বহু পুরষ্কার জিতেছে।
তিনি এখন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সাইকোলজি বিভাগে জন্সটন ফ্যামিলি প্রফেসর ।
পিংকার মূলত দৃষ্টিগত বোধন (visual cognition) ও শিশুদের ভেতর ভাষার বিকাশ (language development) নিয়ে গবেষণা করেন।
ভাষা মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি, কোন অর্জিত কৌশল নয় - এ মতবাদের প্রচলক হিসেবে পিংকার বিখ্যাত।
তার কয়েকটি বিখ্যাত বইয়ের সারসংক্ষেপ -
হাও দ্য মাইন্ড ওয়র্ক্স (ইংরেজি ভাষায়: How the Mind Works) ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত হয়। বইটিতে মানুষের মনের কিছু অস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যাত কার্যপদ্ধতি ও অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য বিবর্তনবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটির পরিধি বেশ ব্যাপক; পিংকার বইটিতে দৃষ্টি, অনুভূতি, নারীবাদ, এমনকি শেষ অধ্যায়ে "মানুষের জীবনের অর্থ" নিয়েও আলোচনা করছেন।
ওয়র্ড্স অ্যান্ড রুল্স: দ্য ইনগ্রিডিয়েন্ট্স অফ ল্যাংগুয়েজ (ইংরেজি ভাষায়: Words and Rules: The Ingredients of Language) ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত একটি জনপ্রিয় ভাষাবিজ্ঞানের বই।
বইটিতে পিংকার নিয়মিত ও অনিয়মিত ক্রিয়াপদ নিয়ে আলোচন করেছেন। পিংকারের ভাষায় বইটি লেখার উদ্দেশ্য "to illuminate the nature of language and mind by choosing a single phenomenon and examining it from every angle imaginable" অর্থাৎ "ভাষা ও মনের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করার জন্য একটি ঘটনা বেছে নিয়ে সম্ভাব্য সমস্ত দৃষ্টিকোণ থেকে সেটিকে বিচার করা। " পিংকারের বিশ্লেষণ চম্স্কি প্রস্তাবিত বিশ্বজনীন ব্যাকরণের ধারণাকে সমর্থন করে এবং পিংকারের নিজস্ব বিশ্বাস যে ভাষাসহ মানুষের প্রকৃতির অনেক দিক বিবর্তনমূলক মনোবৈজ্ঞানিক উপায়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব, তাও এই বইতে পরিস্ফুট। বইটিতে ইংরেজি ভাষার (ও ক্ষেত্রবিশেষে জার্মান ভাষার) বিভিন্ন ব্যাকরণিক ত্রুটির রূপ ও ঘটনসংখ্যা (form and frequency) নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মস্তিষ্কে আঘাতপ্রাপ্ত (brain-damaged) লোকদের বাক-বৈকল্য (aphasia) নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
দ্য ল্যাংগুয়েজ ইন্সটিংক্ট (ইংরেজি ভাষায়: The Language Instinct) ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত হয়।
বইটিতে পিংকার যুক্তি দেন যে, প্রতিটি মানুষ ভাষাপ্রয়োগের ক্ষেত্রে এক ধরনের অন্তঃস্থ পারঙ্গমতা (innate capacity) নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। নোম চম্স্কির দাবী যে সমস্ত মনুষ্য ভাষা একটি বিশ্বজনীন ব্যাকরণের অস্তিত্বের প্রতি নির্দেশ করে, এ ব্যাপারেও পিংকার এই বইতে একমত প্রকাশ করেছেন। তবে শেষ অধ্যায়ে গিয়ে পিংকার যুক্তি দেন যে, প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তনের ফলে মানুষের ভাষিক প্রবৃত্তির (language instinct) উদ্ভব হয়েছে (যার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চম্স্কি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন)।
এটি একটি কপি পেস্ট ।
পিংকার সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন -
পিংকার এর হার্ভার্ড ইউনি সাইট
উইকিতেও পিংকার আছেন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।