সাহিত্যের সাইটhttp://www.samowiki.net। বইয়ের সাইট http://www.boierdokan.com
ভিক্টর নাভরোস্কি যখন জন এফ কেনেডি এয়ারপোর্টে পেঁৗছায় তার খানিক আগে তার দেশ ক্রাকোজিয়া কু্য হয়ে গেছে। প্রেসিডেন্টকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখল করেছে বিদ্রোহীরা। আমেরিকা ক্রাকোজিয়ার সঙ্গে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ফলে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন আটকে দেয় তাকে।
তার ভিসা এখানে কাজে আসবে না। সে নিজের দেশ ক্রাকোজিয়ায় ফিরতে পারবে না। আবার বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার হয়ে নিউ ইয়র্ক সিটিতেও ঢুকতে পারবে না। এরম অবস্থায় বিমানবন্দর কতর্ৃপক্ষের এয়ারপোর্টের ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জে আশ্রয় দেয়া হয় তাকে। সেখানে একটি দুটি দিন নয় মোট নয় মাস থাকতে হয় তাকে।
আর এই বিস্ময়কর নয়টি মাস নিয়ে তৈরি সিনেমা টারমিনাল। এমন অসাধারণ আইডিয়া নিয়ে তৈরি মুভি খুব কমই আছে। দেখতে দেখতে বারবার অসাধারণ শব্দটাই মনে আসছিল। দীর্ঘ নয় মাসে ভিক্টর নাভরোস্কি ইংরেজি ভাষা রপ্ত করে। এয়ারপোর্টের বৈরি লোকজনের মন জয় করে।
সেখানে নিজের কাজ আর খাবারের জোগাড় করে। মন জয় করে এমেলিয়া ওয়ারেন নামে এক এয়ার হোস্টেসের। অনেকের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব হয়। এর বাইরে সে যা করে তা হলো অন্তহীন অপেক্ষা। নিউ ইয়র্ক সিটিতে তাকে পেঁৗছাতেই হবে।
কারণ কী? যত্নে আগলে রাখা একটি কৌটায় লুকানো আছে তার নিউ ইয়র্ক আসার রহস্য। ভিক্টরের বাবা ছিলেন এক মহান জাজ ভক্ত। নিউ ইয়র্কের একটি জাজ দলের কাছে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। টানা চলি্লশ বছর ধরে অপেক্ষার পর একে একে সবার সাক্ষর তিনি সংগ্রহ করেছিলেন ডাক মারফত। শুধু একজন সাক্ষর পাঠাননি।
মৃতু্যর আগে ভিক্টর বাবাকে কথা দিয়েছিল সে এই জাজ শিল্পীর সাক্ষর এনে দেবে। আর সেই কাজেই নিউ ইয়র্ক এসেছে সে। সো তার কাছে জীবন মানেই অপেক্ষা। আর এমেলিয়া ওয়ারেনও অপেক্ষ করছে। কোনও একটা নাম্বার থেকে তার পেজারে কল আসবে।
অপেক্ষা করতে করতেই তার বয়স 39 হয়ে গেছে।
শেষ পর্যন্ত টারমিনাল থেকে বের হতে পারে ভিক্টর। অপেক্ষার দীর্ঘ পর্ব তাকে ক্লান্ত করে না। কারণ তার কাছে অপেক্ষা মানেই জীবন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।