মাইরালা আম্রে মাইরালা মুভি রিভিউঃ The Terminal
Directed & Produced by: Steven Spielberg
Cast: Tom Hanks, Catherin Zeta Jones
Box office: $219,417,255
ধরুন আপনি ছোট একটা দেশে বাস করেন যেখানে এখন যুদ্ধ হচ্ছে। কোন কাজে আপনি অন্য দেশে রওনা হয়েছেন। কেমন হবে যদি আপনার যাওয়ার সময়ের মধ্যে আপনার দেশটি পৃথিবীর মানচিত্র থেকে অফিসিয়ালি মুছে যায়? তাহলে আপনি কিভাবে অন্য দেশে ঢুকবেন? কারন আপনার পাসপোর্টে যেই দেশের নাম লেখা আছে অফিসিয়ালি সেই দেশ বলতে পৃথিবীতে কিছু নেই!
ঠিক এমনটিই ঘটেছিল ভিক্টর নভরস্কি(Tom Hanks) এর ক্ষেত্রে। ছোট একটা দেশের বাসিন্দা সে। দেশটির নাম ক্রাকোজিয়া।
ক্রাকোজিয়ায় বেশ অনেক দিন ধরে গৃহ যুদ্ধ চলছিল। ভিক্টরের মৃত বাবার শেষ ইচ্ছা ছিল বিখ্যাত ৫৭ জন Jazz আর্টিস্টের অটগ্রাফ সংগ্রহ করা। এর মধ্যে ৫৬ জনেরটা কালেক্ট করতে পেরেছিলেন মারা যাবার আগে। তাই ভিক্টর সেখান থেকে তার মৃত বাবার শেষ ইচ্ছা রক্ষার্থে অর্থাৎ ৫৭ তম Jazz আর্টিস্টের অটগ্রাফ সংগ্রহের জন্য আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু পথিমধ্যে যুদ্ধের কারনে ক্রাকোজিয়া পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যায় এবং ভিক্টরের পাসপোর্ট ইনভ্যালিড হয়ে যায়।
ফলে সে আমেরিকায় ঢুকতে পারে না। আটকা পরে এয়ারপোর্টে। মাস চলে যায়, তার কাছে যা টাকা ছিল সব শেষ হয়ে যায়। কি করবে এখন সে? খাবারের টাকা কোথা থেকে জোগার করবে? আদৌ কি কখনও বের হতে পারবে জে এফ কে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে???
ডিরেকশন & স্টোরি লাইন: ডিরেকশনে আছেন স্বয়ং স্টিভেন স্পিলবার্গ। মুভিটির প্রত্যেকটা সেকেন্ডে ইন্টারেস্ট জাগিয়ে রাখতে ১০০% ভাগ সফল হয়েছেন।
মাঝে মাঝেই টুইস্ট আছে। এয়ারপোর্ট এর কাস্টম এন্ড বর্ডার প্রোটেকশন হেড ডিক্সন ভিক্টরের পিছনে লাগে। একে একে ভিক্টরের ইনকামের সব উপায় বন্ধ করে দিতে থাকে। কিন্তু ভিক্টর ঠিকই একটা না একটা উপায় বের করে ফেলে। একটা জায়গা বেশ মজার যখন ভিক্টরের $19/hour আর্নিং দেখে ডিক্সন $19/hour! It is more than I earn!
এক্টিং: যাদের ইংলিশ মুভি সম্পর্কে সামান্যতম ধারণা আছে তারা সবাই-ই জানে Tom Hanks কি জিনিস।
মুভিতে প্রথম প্রথম সে ইংরেজি বলতে পারতো না। তখন নিজের ভাব বুঝানোর জন্য যেরকম এক্সপ্রেশন করত তা একমাত্র Tom Hanks কে দিয়েই সম্ভব। ডিক্সন তাকে একবার অফার করে Asylum(রাজনৈতিক আশ্রয়) নিতে। ভিক্টরকে বলে যে সে যদি স্বীকার করে যে সে ক্রাকোজিয়ায় ফিরতে ভয় পায় তাহলে তাকে আমেরিকায় Asylum করতে দিবে। কিন্তু ভিক্টর তা স্বীকার করে না।
ডিক্সনের সাথে ভিক্টরের কভার্সেশন্টা হুবহু তুলে ধরলামঃ
Frank Dixon: I'm talking about bombs. I'm talking about human dignity. I'm talking about human rights. Viktor, please don't be afraid to tell me that you're afraid of Krakhozia.
Viktor Navorski: Is home. I am not afraid from my home.
[pause]
Viktor Navorski: So?
Frank Dixon: [whispering] All right.
Viktor Navorski: I go to New York City now?
Frank Dixon: No.
Viktor Navorski: No? Uh... Okay. I'm uh... I'm uh... I'm afraid from ghosts.
Frank Dixon: Okay, thanks very much!
Viktor Navorski: I'm afraid from, uh... Dracula!
Frank Dixon: Thanks a lot. Thanks, Viktor!
Viktor Navorski: [as he is escorted outside] Afraid from Wolfmens, afraid from sharks!
Frank Dixon: It's okay. Thank you Viktor! Thanks a lot!
প্রোডাকশন এবং ভিসুয়ালঃ মুভিটির বাজেট ছিল ৬০ মিলিয়ন ডলার, যা বেশ বড় এমাউন্ট। এর মধ্যে সিংহ ভাগই খরচ হয়েছে বিশালাকারের এয়ারপোর্টের সেট বানাতে।
স্পিলবার্গ নিজে ডিরেকশনে এবং প্রোডাকশনে ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে এয়ারপোর্টটার সাথে সত্যিকারের এয়ারপোর্টের বিন্দু মাত্র তফাত ছিল না। ফলে মুভিটা দেখার সময় মনে হয়েছে এবং আমি এই রিভিউ লেখার আগ পর্যন্ত জানতাম না সেটা কি আসল নাকি সেট বানিয়ে সেখানে শুটিং করা হয়েছে।
সাউন্ডঃ রাতে যখন ভিক্টর অব্যাবহ্রিত গেট এ ঘুমায় আর একটু পর পর প্লেনের উড়ে যাওয়ার শব্দে চমকে জেগে উঠে তখনই বুঝতে পারবেন সাউন্ড কোন লেভেলের হয়েছে।
আমার রেটিং:
Direction: 2.3/2.5
Acting: 2.4/2.5
Story: 2.2/2.5
Visual effect & sound: 2.0/2.5
TOTAL: 8.9/10
কিছু স্ক্রীনশটঃ
ভিক্টরের প্রথম রাতে ঘুমানোর স্থান
হাহা পুরাই লুলাইত অবস্থা! : P
এয়ারপোর্ট কর্মচারীদের এক অংশ যারা প্রতি মুহুর্তে ভিক্টরকে সাহায্য করেছে
ভিক্টরের কাজ-কর্ম দেখছে ডিক্সন। যখনই ভিক্টর এয়ারপোর্টের বাইরে পা ফেলবে সাথে সাথে তাকে ধরে জেলে পাঠানোর ইচ্ছায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ভিক্টর ডিক্সনের ট্রিক্সটা বুঝে ফেলেছে
Viktor Navorski: Officer Torres, my friend say you are stallion.
Officer Dolores Torres: Mr. Navorski! Mr. Navorski...
Viktor Navorski: Stallion.
Officer Dolores Torres: [surprised] A what?
Viktor Navorski: A stallion. Like a horse.
Officer Dolores Torres: [embarrassed] Stand behind the yellow line!
Viktor Navorski: It's horse! Beautiful horse!
Officer Dolores Torres: Who said that?
Viktor Navorski: My food! My friend drive the food.
এমিলি ওয়ারেন(Catherin Zeta Jones) এর সাথে এয়ারপোর্টের ভিতর এয়ারপোর্টের কর্মচারিদের সহযোগিতায় এক ডেট
একটি নোটঃ মুভিটি পুরোপুরি কল্পনাক্রিত স্টোরি নয়। এটা আসলে Mehran Karimi Nasseri নামক একজন ইরানি রিফিউজি লোকের ফ্রান্সের Charles de Gaulle International Airport এ ১৭ বছর থাকার কাহিনীর উপর বেসড করে তৈরি হয়েছে।
১৯৮৮ থেকে ২০০৬ এর জুলাই পর্যন্ত তিনি ঐ এয়ারপোর্ট থেকে বের হতে পারেন নি।
আজ এ পর্যন্তই। ভাল থাকবেন। নেক্সট রিভিউ-এ আবার দেখা হবে
Download Link(720p Bluray):
http://thepiratebay.se/torrent/7333626/ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।