ভারতের ভূখণ্ডে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল। এসব ছিটমহলে বাস করেন কয়েক হাজার মানুষ। নথিপত্রে তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক। কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে কোনো মৌলিক অধিকার ভোগের সুযোগ তাঁদের নেই। এসব মানুষের ভাষ্য, পরদেশের ভেতর পরগাছার মতো জীবন তাঁদের।
এ পরিস্থিতির অবসান দাবি করে তাঁরা বলছেন, ভারত বা বাংলাদেশ যেকোনো দেশের নাগরিক হিসেবে পুরোপুরি সুযোগ-সুবিধা চান তাঁরা।
ছিটমহলগুলোর অবস্থা অনেকটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো, যে দ্বীপ ঘিরে ভারতের ভূমি। তাই ছিটমহলবাসীর চলাচলও নিয়ন্ত্রিত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে ভারতের ভূখণ্ডে প্রবেশের সুযোগ বা নিয়ম তাঁদের নেই। বেঁচে থাকার তাগিদে তাঁদের প্রায়ই নিতে হয় মিথ্যার আশ্রয়।
ভারতের সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য কেউ নাম বদলে ফেলেন, কেউবা বদলান ঠিকানা। আত্মপরিচয়হীন মানুষ হিসেবে গ্লানির জীবনটা যাপন করতে হয় তাঁদের।
আজ সোমবার ভারতের রাজ্যসভায় উঠছে ছিটমহল বিনিময়ের জন্য সংবিধান সংশোধনের বিল। এ পরিস্থিতিতে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক ছিটমহলবাসীর অবস্থা জানতে গতকাল রোববার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার বাত্রিগাছ ছিটমহলে যান। সেখানে বাস করছে বাংলাদেশের অন্তত ৫০০টি পরিবার।
ছিটমহলটি দৈর্ঘ্যে তিন কিলোমিটার, প্রস্থে পৌনে তিন কিলোমিটার। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।