আমি আমার আনন্দে লিখি!!!
ঐশীকে লেখা খোলা চিঠি
ঐশীর চিকিৎসার দরকার ছিল, লোক লজ্জার ভয়ে তার বাবা মা তাকে রিহ্যাব করাতে পারেনি। মাদকাসক্তি একট অসুস্থতা, গোপনে অদ্ভূত সব চিকিৎসা এবং পারিবারিক স্নেহের অভাব এবং সামাজিক সহোযিগাতার অভাবেই ড্রাগ এডিক্টরা সহজে সুস্থ হতে পারে না। আবার অধিকাংশ সুস্থ এডিক্ত খুব সামান্য কারনেই পুনরায় রিলাপ্স করে, কারন এরা প্রচন্ড ইমোশনাল হয়। আমাদের সমাজে একটা প্রচলিত কথা হল, ওয়ান্স অ্যান এডিক্ট, অলয়েজ অ্যান এডিক্ট! ধারনাটা অধিকাংশেই ভুল। সঠিক চিকিৎসা পেলে তুমিও হয়ত একদিন সুস্থ হতে! আশা করতে দোষ কি? তুমি অনেকের চেয়েই শিক্ষিত ছিলে, সতেরটা বছর পার করেছিলে তুমি এই সুন্দর পৃথিবীতে! তোমাকে বোঝালে নিশ্চই তুমি বুঝতে!
সঠিক চিকিৎসা এবং পিতৃদেবের সততা দেখলে তুমি কখনোই এরকম করতে পারতে না বলে আমার বিশ্বাস! ঐশী তার ড্রাগ উইথড্রল সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ অবস্থায় জীবনের ভয়ঙ্করতম কাজটি করে ফেলেছে!! আই সয়্যার!
সেই সাথে আরেকটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়, একজন সরকারী পুলিশ অফিসার কত টাকা বেতন পান যে, অক্সফর্ড ইন্ট্যারন্যাশনাল স্কুলে ছেলে মেয়ে কে পড়ান? যে ফ্যামিলির সন্তান যখন দেখবে তাদের পিতার মাঝেই দূর্নীতি, সেই সন্তান ই বা কেন নেশার মত খারাপ কাজ করতে দ্বিধা করবে? এই ঢাকার শহরে মাফিয়াদের মাদকের ব্যবসা চালু রেখেইছেই তো আমাদের হিজড়া পুলিশ বাহিনী, মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে! এর পুলিশ নয়, এরা চাদাঁবাজ, সরকারী লাইসেন্স পাওয়া চাদাঁবাজ কিংবা ভিক্ষুক!!
বাংলাদেশের পুলিশের অসততা নতুন কিছু নয়, আমি ছিনতাইকারী ভয় পাই,খুনী ভয় পাই কিন্তু পুলিশ দেখলে আমার ভয়ের বদলে ঘেন্না হয়! এরা টাকার জন্য নিজের মায়ের গলায় ছুড়ি চালিয়ে দিতে পারে! এরা ভিক্ষুকের ও অধম।
তারা মানুষের অসহায়ত্ব কে পুজিঁ করে গড়ে তোলে সম্পদের পাহাড়! ইনফ্যাক্ট ঢাকার ম্যাক্সিমাম পুলিশ কন্সটেবল ৯ টাকা পিস বেনসন সিগারেট খায়!!!
কথায় বলে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না, আমার এপর্যন্ত দেখা অধিকাংশ দূর্নীতিবাজ পুলিশের সন্তান অটিস্টিক/কিংবা পড়াশোনার গন্ডি শেষ করতে পারেনি। অথবা অন্য কোন ভাবে তাদের বড় ধরনের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। আল্লাহ বাংলাদেশের পুলিশ কে হেদায়াত দান করুন।
প্রিয় ঐশী,
অসুস্থ অবস্থায় তুমি যেই ভুল করেছ, মহান আল্লাহ যেন তোমাকে ক্ষমা করেন। ড্রাগস কখনোই কোন সল্যুশন হতে পারেনা! আশাকরি, মহামান্য আদালত, তোমার অসুস্থতা এবং বয়স বিচার করে শাস্তি দেবেন।
আমি নিশ্চিত, তোমার বাবা-মা তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন, তারা সন্তানের অপরাধ মনে রাখেন না। আমি দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি, মৃত্যুর ওপাশে গিয়েও তারা তোমার ভাল চাইছেন! সব কিছুর পরেও তুমি তাদের মেয়ে, নাড়ী ছেড়া ধন!
শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, মাদক সহ অন্যান্য অবৈধ কাজের জন্য মোটা অঙ্কের ঘুষ খাওয়া এইসব ভিক্ষুক গুলোর বিচার কর তুমি আল্লাহ!! এই খাকি পোশাক কে তুমি ভিক্ষুকের অমর্যদা থেকে রক্ষা কর।
ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।