বাবা ছিল ব্যাকডেটেড (সেকেলে)।
আমার সঙ্গে তার ম্যাচ করত না (মিলত
না)। আর মা আমার সব কথাই
বাবাকে বলে দিত। কোনো ফ্রিডম
(স্বাধীনতা) ছিল না। আমি বোর
(বিরক্ত) হয়ে গেছিলাম।
’
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি)
পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর
স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যার ঘটনায়
গ্রেপ্তার হওয়া তাঁদেরই
মেয়ে ঐশী রহমান পুলিশের
জিজ্ঞাসাবাদে এভাবেই ঘটনার বিবরণ
দিয়েছে!!!(সূত্র-প্রথম আলো)
মেয়েটার বয়স কত জানেন তো?
মেয়েটা আমার বয়সি!
মাত্র১৭!
কিন্তু সে ভয়ংকর খুনি!!!
আরো ভয়ংকর হলো ঠান্ডা মাথার খুনি!
প্রথমে কফির সাথে মিশিয়েছে ঘুমের
ঔষুধ। তারপর নিশ্চিন্তে(!) কুপিয়েছে!
যেখানে বাবাকে ২ বার
সেখানে মাকে কুপিয়েছে মাত্র(!) ১১
বার!!!
বাবা মায়ের মনে প্রথমে বিশ্বাস স্থাপন
করেছে। তারপর তাদেরকে মেরেছে!
ঘটনা-" পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, গত
বুধবার
সকালে ঐশী তার মাকে জানায়,
সে ভালো হয়ে গেছে, আর অবাধ্য
হবে না। মা বিষয়টি তার
বাবাকে জানান।
বাবা খুশি হয়ে সকালেই
তাকে নিয়ে রমনা পার্কে হাঁটতে যান।
এভাবে বিশ্বাস স্থাপনের পর ঐশী বুধবার
বিকেলে মাকে বাইরে যাওয়ার
কথা জানায়।
মা তাকে যেতে অনুমতি দেন। এ
সুযোগে বাসা থেকে বের হয়েই
ঐশী বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করে, আবার
বিকেলে ফিরে আসে। পুলিশের ধারণা, এ
সময় খুনের পরিকল্পনা পাকাপোক্ত
করা হয়। "(সূত্র-প্রথম আলো)
এখন ঐশীর উদ্দেশ্যে বলছি-
তুই খারাপ ছিলি বলে তোকে শাসন
করেছিলেন উনারা।
কিন্তু তুই যখন
ভালো হয়ে যাবার অভিনয় করলি তখন
কি উনারা তোকে শাসন করেছেন?
নাকি তোকে বাসায়
বন্দি করে রেখেছিলেন?
নাকি উনাদের
ভালোবাসা পেয়েছিলি তুই তখন?
কিভাবে পারলি এই কাজ করতে?!
ভয়ংকর!
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের আঠারো বছর
বয়স কবিতার ৪ টা লাইন
মনে পড়ে গেলো-
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।
তবে বন্ধুরাও যে কখনো কখনো ভয়ংকর
অভিশাপ হয়ে উঠে তার প্রমাণ আজ এই
ঐশী!
বন্ধু বিচারের
ক্ষেত্রে মনযোগী হওয়া দরকার।
এমন বন্ধু থাকা উচিত নয় যে এমন
কাজে উৎসাহ দেয়!
তবে আমার কি মনে হয় জানেন?
ঐশীর এই অপরাধের অধিকাংশ দোষ
বাবা-মায়ের!!!
কিভাবে?
একজন ইয়াবা আসক্ত
ব্যাক্তি খিটখিটে ভাব, অহেতুক
রাগারাগি,
ভাঙচুর, নার্ভাসনেসে ভুগতে থাকে।
তারউপর তার বাবা-মা তার
সাথে যে ব্যাবহার করেছেন
সেটা তাকে আরো হিংস্র করে তোলে!
যার ফলে সে তার মা-
বাবাকে হত্যা করতেও দ্বিধাবোধ
করেনি!
বাবা-মায়ের আসলে উচিত ছিলো তার
সাথে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ
করে তাকে ভালো পথে আনার।
তা না করে তারা তাকে উলটো ক্ষেপিয়ে তুলেছিলেন
তারপর ঐশী ছিলো ইংলিশ মিডিয়ামের
একজন ছাত্রী।
সে ধর্মীয় কোনো শিক্ষা পায়নি। সেটার
দায় অবশ্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
এবং বাবা-মায়ের!
কিন্তু তাই বলে বাবা-মাকে হত্যা করা!
কিভাবে সম্ভব?!
ঐশী একজন ঠান্ডা মাথার খুনি!
ভয়ংকর!
পরিকল্পনা কর পিতামাতা হত্যা!
গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠে!
আমাদের বাবা-মা কি এখন তাদের জীবন
নিয়ে শঙ্কিত?
আমাদের দেখলেই কি তাদের মুখ
ভয়ে শুকিয়ে যাবে?
আরো ঐশী যেন গড়ে না উঠে এই দায়িত্ব
আমাদের পিতা-মাতার।
ওদের ধর্মীয়
শিক্ষা দিতে হবে বেশি বেশি।
একটা শিশুর আদর্শ হয় তার মা।
মায়ের দায়িত্বই হলো সন্তানকে মানুষ
করেতোলা।
নেশা একটা মানুষের জীবনের সবকিছুই
কেড়ে নেয়।
এর স্বাক্ষাত প্রমাণ ঐশী।
নেশা থেকে দূরে থাকুন।
যাদের প্রতি ক্ষোভ থাকে,নেশার সময়
মাদকাসক্তরা তাদের খুন করতেও
দ্বিধাবোধ করেনা!
প্রমাণ ঐশী।
সব মাদকাসক্তদের উদ্দেশ্যে বলছি-
ঐশী একটা অপরাধ করে আপনাদের
ভালো হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে!
সাবধান করে দিয়েছে সব মাদকাসক্তদের!
এখনো সময় আছে নেশা নামক অন্ধকার
জগত থেকে ফিরে আসুন।
না হলে পরিণতি হবে ঐশীর মতোই।
এরচেয়েও ভয়ংকর হতে পারে!!!
(লেখাটা আমার ফেসবুক আইডি থেকে নেওয়া। ১৯শে আগষ্ট)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।