এই সপ্তাহেই তা আদালতে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু আল খায়ের।
তিনি রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই পর্যন্ত যতগুলো প্রমাণ পুলিশ হাতে পেয়েছে তাতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে ঐশীই তার বাবা-মাকে হত্যা করেছে। ”
গত বছরের ১৬ অগাস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের একটি ফ্ল্যাটে এসবি পরিদর্শক মাহফুজ ও স্বপ্নার লাশ পায় পুলিশ।
পরে তাদের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ঐশী থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এরপর পুলিশ ঐশীদের বাড়ি গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমী এবং বন্ধু মিজানুর রহমান রনি ও আসাদুজ্জামান জনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অভিযোগপত্রে গৃহকর্মী সুমীকে সহায়তাকারী এবং দুই বন্ধুকে আশ্রয়দাতা হিসেবে দেখানো হবে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা খায়ের।
ঐশীতে গ্রেপ্তারের পর তার বয়স নিয়ে আলোচনা উঠেছিল। খায়ের বলেন, “আমরা ঐশীর বয়স সম্পর্কে নিশ্চিত হযেছি যে ঘটনার সময় তার বয়স ১৮ বছরের বেশি ছিল। ”
ঐশী ও তার বন্ধুরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। শিশু গৃহকর্মী সুমী রয়েছে গাজীপুরে কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে।
খায়ের বলেন, “সুমী খুনের সঙ্গে জড়িত ছিল না। তবে ঐশীকে সহায়তা করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে। ”
পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তা মাহফুজ স্ত্রী, দুই সন্তান ও গৃহকর্মীকে নিয়ে চামেলীবাগের ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন।
যে দিন তাদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, তার আগের দিন বাড়ি থেকে ভাই ও গৃহকর্মীকে নিয়ে বেরিয়ে যান ঐশী।
ফাইল ছবি
নিহত স্বপ্না বেগম ও তার স্বামী মাহফুজুর রহমান।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা খায়ের বলেন, ঐশীর কাছে পাওয়া গহনা এবং বাসায় খুলে রেখে যাওয়া তার রক্তমাখা পোশাকে পাওয়া নমুনার ডিএনএ পরীক্ষায় তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ঐশী তার বাবা-মাকে কফির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেছিল, পরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
খায়ের বলেন, “কফির সঙ্গে যে ঘুমের ওষুধ খাওয়া হয়েছিল, তা নিহত দুজনের পাকস্থলী থেকে আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়।
পরে ওই আলমতের সঙ্গে বাসার মগে পাওয়া কফির রাসায়নিক পরীক্ষায় মিল পাওয়া গেছে।
“এই বিষয়গুলো ছাড়াও ঐশী নিজেই ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ”
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।