এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি জাফর আহমেদের অবকাশকালীন বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেয়।
আদালত বলেছে, পুলিশের কাছে আত্মসমর্পনের আগ পর্যন্ত ঐশীর মাদক গ্রহণের বিষয়ে বিস্তারিত জেনে ‘গভীর মূল্যায়ন’ করতে হবে এবং গত ১৬ অগাস্ট তার বাবা-মার মৃত্যুর আগে, ঘটনার সময় এবং ঘটনার পর থেকে আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত তার মানসিক অবস্থার মূল্যায়ন প্রতিবেদন আদালতে দিতে হবে।
পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে প্রয়োজনে ঐশীর মানসিক কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
রিটের বিবাদী স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, মুখ্য মহানগর হাকিম, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার, পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ঐশীর মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পল্টন থানার উপ পরিদর্শককে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এই সপ্তাহের প্রথম দিকে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।
তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন বিএম ইলিয়াস।
গত ১৬ অগাস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের ফ্ল্যাটে এসবি পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ পায় পুলিশ।
তার আগের দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া ঐশী ১৭ অগাস্ট পুলিশের কাছে ধরা দিলে তাকে রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী ঐশীর বয়স বিদ্যালয়ের নথি অনুযায়ী ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে রিমান্ডে নেয়ায় শিশু আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এই সমালোচনার মধ্যে আদালতের অনুমতি নিয়ে গত ২১ অগাস্ট ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকদের মাধ্যমে তাদের বয়স পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষার প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা জানান, ঐশীর বয়স ১৯ এর কাছাকাছি।
ঐশীকে বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছে। তাদের বাসার গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমীও ওই কারাগারে আছে।
পুলিশ বলছে, ঐশীর চাপে সুমি হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করতে বাধ্য হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।