জীবনকে এমন ভাবে সাজান যেন আপনার ব্যক্তিগত ডায়েরীটা কখনো লুকাতে না হয়।
জেব্রার রঙিন ছবি
শিক্ষক: পৃথিবীতে অসম্ভব বলে কিছু নেই।
ছাত্র: জেব্রার একটা রঙিন ছবি তুলে দেখান তো!
নিজেরাই কষ্ট করে উড়ে আসে
শিক্ষক: শীতকালে অতিথি পাখিরা সাইবেরিয়া থেকে উড়ে আমাদের দেশে আসে কেন?
ছাত্র: স্যার, ওদের তো পয়সা নেই, প্লেনের টিকিট কাটতে পারে না, তাই নিজেরাই কষ্ট করে উড়ে আসে।
শুরু করার আগে
অফিস থেকে বাড়ি ফিরে স্বামী বলল, ‘শুরু করার আগে ভাতটা দাও, খেয়ে নিই। ’
স্ত্রী ভাত বেড়ে দিল।
ভাত খেয়ে স্বামী ড্রয়িংরুমের সোফায় বসতে বসতে বলল, ‘শুরু করার আগে এক গ্লাস পানি দাও…বড্ড তেষ্টা পেয়েছে। ’
স্ত্রী পানি দিয়ে গেল।
পানি খেতে খেতে স্বামী বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ল। তারপর বলল, ‘শুরু করার আগে এক কাপ চা দাও না আমাকে। ’
এইবার স্ত্রী গেল খেপে, ‘অ্যাই, পেয়েছ কী তুমি আমাকে, আমি তোমার চাকর? অফিস থেকে ফিরে একটার পর একটা খালি অর্ডার মেরেই যাচ্ছ…নির্লজ্জ, অসভ্য, ছোটলোক, স্বার্থপর…’
স্বামী কানে তুলা গুঁজতে গুঁজতে বলে, ‘এই যে…শুরু হয়ে গেল।
’
বাবা রাগ করবে
ধানের বস্তাবোঝাই বিশাল এক গাড়ি উল্টে পড়ে আছে। গাড়িটাকে সোজা করার চেষ্টা করছে সুমন। পথ দিয়ে যাচ্ছিল তার বন্ধু জুমন। বলল, ‘কিরে, কী করিস এখানে? চল, আমার সঙ্গে চল, একটু ফুটবল খেলে আসি। ’
সুমন মাথা নেড়ে জবাব দেয়, ‘না, বাবা রাগ করবে।
’
জুমন বলে, ‘ধুর…তুই চল তো!’ বলে টানতে টানতে নিয়ে যায় সুমনকে। দুজনে মিলে ফুটবল খেলে। এবার জুমন বলে, ‘চল, এবার নদীতে সাঁতার কেটে আসি। ’
সুমন মাথা নাড়ে, ‘না রে, বাবা রাগ করবে। ’
কিন্তু জুমন এবারও কথা শোনে না, টানতে টানতে নিয়ে যায় নদীতে।
দুজনে মিলে খুব করে সাঁতরায় ঘণ্টাখানেক। তারপর জুমন বলে, ‘চল, এবার হাট থেকে মিষ্টি খেয়ে আসি। ’
সুমন এবারও মাথা নাড়ে, ‘না রে, বাবা রাগ করবে। ’
এবার জুমন যায় খেপে, ‘সেই কোন সময় থেকে ‘বাবা রাগ করবে…রাগ করবে’ করছিস, কোথায় তোর বাবা?’
‘ওই যে গাড়িটা দেখলি না উল্টে পড়েছিল, ওটার নিচে আটকে আছে। ’
মনে পড়ল
রবিবার গির্জায় ধর্মোপদেশের মাঝখানে এক লোক হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে দ্রুত বাইরে চলে গেল।
লোকটার এই আচরণে অন্যরা অবাক হল । পর দিন পাদ্রী যখন এর কারণ জানতে চাইলেন তখন সে বলল, এক সপ্তা আগে আমার ছাতাটা হারিয়ে ফেলেছিলাম । আপনি কাল যখন বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচার করিও না ’ তখন আমার মনে পড়ল ওটা আমি কেথায় ফেলে এসেছি
ইলস্টিক দিয়ে নতুন গুলতি
এক পাগলের অভ্যাস ছিল গুলতি দিয়ে যে কোন কাঁচের জানালা ভাঙ্গার । তাকে ধরে মানসিক চিকিৎসালয়ে নিয়ে আসা হল । এক বছর চিকিৎসার পর ডাক্তারের ধারনা হল রোগ মুক্তি হয়েছে, তাকে ছেড়ে দেয়া যায় ।
ছাড়বার আগে শেষ পরীক্ষা করার জন্য ডাক্তারের চেম্বারে তাকে ডাকা হল ।
ডাক্তার : স্যার , আমাদের ধারনা আপনি সম্পূর্ন আরোগ্য হয়েছেন । তাই আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে । এবার আপনি বলুন এখান থেকে ছেড়ে দেয়ার পর আপনি কি করবেন ?
পাগল : আমি ! সত্যি বলব ?
ডাক্তার : বলুন ।
পাগল : প্রথমে ভালো একটা স্যুট কিনব ।
তারপর সেটা পরে আমি তাজমহল হোটেলে যাবো ডিনার খেতে ।
ডাক্তার : গুড, নর্মাল ব্যাপার, তারপর ?
পাগল : তারপর সেখানে সুন্দরী এক সোসাইটি গার্লকে বলব যে, মে আই হ্যাভ এ ড্যান্স উইথ ইউ ?
ডাক্তার : গুড, নর্মাল, তারপর ?
পাগল : তারপর তাকে ডিনার খাওয়াবো । মদ খাওয়াবো ।
ডাক্তার : ঠিক আছে, তারপর ?
পাগল : তারপর তাকে হোটেলের একটা রুমে নিয়ে আসব । নীল আলো জ্বালিয়ে দেবো ।
স্লো মিউজিক চালিয়ে দেব ।
ডাক্তার : নর্মাল সবকিছু, তারপর ?
পাগল : তারপর ধীরে ধীরে শাড়ী খুলব, ব্লাউজ খুলব , ব্রা খুলব, পেটিকোটটা খুলে ধীরে ধীরে নামিয়ে আনব পা থেকে ।
ডাক্তার : নাথিং রং, তারপর ?
পাগল : এবার মেয়েটির শরীরে বাকী আছে তার আন্ডারওয়ার । এখন ধীরে ধীরে সেই আন্ডারওয়ারটি খুলে নেব আমি ।
ডাক্তার : তারপর ?
পাগল : তারপর আন্ডারওয়ার থেকে ইলাস্টিকের দড়িটা খুলে নেব আমি ।
এই ইলস্টিক দিয়ে নতুন গুলতি বানাবো । আর সেই গুলতি দিয়ে শহরের যত কাঁচের জানালা আছে সব ভেঙ্গ চুরমার করে দিব আমি ।
ডাক্তার : নিয়ে যাও পেসেন্টকে । বন্ধ করে রাখ ওকে । হি ইজ এজ সিক এজ বিফোর ।
নো ইমপ্রুভমেন্ট ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।