অরুণালোক তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে সরকারের অনড় অবস্থান, বিরোধী দলীয় হরতাল, হরতাল উপলক্ষে সহিংসতা ইত্যাদিতে দেশবাসীর অবস্থা নাকাল। কোথাও হাসি নেই হা-হুতাশ ছাড়া। কিচ্ছু ভালো লাগছিলো না। তাই একা একা কৌতুক পড়ছিলাম আর প্রতিকূলতা সত্যেও মিটি মিটি হাসছিলাম। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হলো, আমি একা কেন হাসছি? আমার তো ব্লগার ভাইয়রা আছে।
তাদের মনের অবস্থাও আমারই মতো। সুতরাং আমার সাথে সাথে তাদেরও একটু হাসাতে পারলে দিন ভালো কাটবে। এ উপলক্ষে কৌতুকগুলো শেয়ার করলাম। একটু হাসুন বন্ধুরা। হাসলে ভালা লাগে
১।
ডাক্তার : আপনাকে কতবার বলেছি, চর্বিজাতীয় খাবার খাবেন না।
রোগী : খেতে তো চাই না। কিন্ত জিহ্বা যে মানে না।
ডাক্তার : এত বড় একটা শরীর নিয়ে এতটুকুন একটা জিহ্বার সাথে পারেন না, এ কেমন কথা!
রোগী : জিহ্বা তো একা নয়, পেটও যে তাকে সাপোর্ট করে!
২। লিটন : তোর গরম লাগলে তুই কী করিস?
বাবলু : কী আবার করব? এসির পাশে গিয়ে বসি।
লিটন : তাতেও যদি তোর গরম না কমে?
বাবলু : তখন এসি অন করি
৩। ক্রেতা : সবাই এই ঈদে কিছু না কিছু ছাড় দিচ্ছে, আপনারা দিচ্ছেন না কেন?
বিক্রেতা : আমরা এবার এই ‘ছাড়’ শব্দটাকেই ছাড় দিয়েছি!
৪। ক্রেতা : এই ঈদে আপনাদের বিশেষ কোনো অফার আছে?
বিক্রেতা : অবশ্যই। এই ঈদে আমাদের মার্কেট থেকে আপনি যে পরিমাণ শপিং করবেন, পরের ঈদে তার দ্বিগুণ করলেই, তার পরের ঈদে পাবেন আকর্ষণীয় পুরস্কার।
৫।
অফিসের বড় সাহেব বলছেন কর্মচারীকে, করিম সাহেব, আপনি নাকি অফিসে এসে সারাদিন ইন্টারনেটে শেয়ার বাজারের ওয়েব সাইটে বসে থাকেন?
করিম সাহেব : দুঃখিত স্যার, আমাকে ক্ষমা করুন।
বড় সাহেব : না না, আমি আপনার উপর খুবই সন্তুষ্ট।
করিম সাহেব (অবাক হয়ে) : কেন স্যার?
বড় সাহেব : আপনার অন্তত অফিসে এসে ঘুমিয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই!
৬। বাগানে কাজ করছে দুই মালি। একজন গর্ত খুঁড়ছে, অন্যজন তা ভরাট করছে।
তা দেখে রাহাত সাহেব বললেন, কী ব্যাপার, তোমরা গর্ত খুঁড়ছো আর ভরাট করছো কেন?
শুনে যে মালি গর্ত খুঁড়ছিল সে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল, আমরা আসলে বাগানে কাজ করি তিনজন। আমি গর্ত খুঁড়ি, আরেকজন তাতে গাছ লাগায়, আর ও গর্ত ভরাট করে। কিন্তু আজকে যে মালি গাছ লাগায় ও আসেনি। তাই বলে তো আর আমরা কাজ না করে বসে থাকতে পারি না! তাই আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।
৭।
এক বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।
প্রতিবেশীর বাড়িতে অনুসন্ধানের কাজে গেছেন গোয়েন্দা।
গোয়েন্দা : গত রাতে পাশের বাসা থেকে আপনারা কোনো শব্দ শুনতে পেয়েছেন?
প্রতিবেশী : নাহ্! গোলাগুলি, চিৎকার আর ওদের কুকুরটার চেঁচামেচির যন্ত্রণায় কিছু শোনাই যাচ্ছিল না।
৮। ছোট্ট রানু গেছে গোয়েন্দাদের অফিসে।
দেয়ালে ‘ওয়ান্টেড’-এর তালিকায় টাঙানো অপরাধীদের ছবি দেখে সে গোয়েন্দা অফিসারকে প্রশ্ন করল, তোমরা কি সত্যিই ওদের গ্রেফতার করতে চাও?
গোয়েন্দা : অবশ্যই।
রানু : তাহলে ছবি তোলার সময়ই আটকে রাখলে না কেন?
৯। ভিখারি : সাহেব, একটা টাকা দিন।
ভদ্রলোক : কাল এসো।
ভিখারি : এই কালকের চক্করে আমার প্রায় লাখখানেক টাকা আটকে আছে এই পাড়ায়।
হি হি হি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।