ভালো ..তবে কালো
সাতক্ষীরা: ভয়াবহ বোমা হামলার পর বন্ধ হয়ে যাওয়ার আট বছর পর শুক্রবার আবার শুরু হচ্ছে সাতক্ষীরার ইতিহাসখ্যাত গুড়পুকুর মেলা। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাসমতে সর্পদেবী মনসার পূজা ও বিশ্বকর্মার পূজার মধ্য দিয়ে এই মেলার সূচনা ঘটবে। আগামী একমাস চলবে তিনশ’ বছরের প্রাচীন এ গুড়পুকুরের মেলা।
জানা যায়, শহরের পলাশপোলে একটি গোলাকৃতির পুকুরের পাড়ে বটবৃক্ষতলে একদা এক ক্লান্ত পথিক বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় একটি বিষধর সাপ ফণা তুলে তার মাথায় ছত্রধরের কাজ করে।
ঘুমন্ত ওই পথিক এই দৃশ্য দেখে মা মনসার উদ্দেশ্যে পূজা দেওয়া শুরু করেন। এই পূজার মিষ্টান্ন প্রসাদ পুকুরে ফেলে দেওয়ায় জল মিষ্ট হয়ে যায়। এই বিশ্বাস থেকে গোলাকৃতি পুকুরের গুড়পুকুর নামকরণ করা হয়। সেই থেকে শুরু হয় গুড়পুকুরের মেলা। প্রবীণদের মতে, তারা তাদের বাল্যকাল থেকেই এ মেলা দেখে আসছেন।
মেলায় আসতো কলকাতা ও ঢাকা থেকে নানা সম্ভার। কাঠ, মাটি, বাঁশ, বেত আর লোহার সামগ্রীতে ঠাসা এই মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল সাতক্ষীরার নানা প্রজাতির কলমের বৃক্ষ। প্রতিবছরের ৩১ ভাদ্র এই মেলা শুরু হয়ে চলে এক মাস।
২০০২ সালেরর ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে সাতটায় হাজার হাজার মানুষের পদচারনায় গুড়পুকুর মেলা যখন মুখরিত ঠিক সেসময় ঘটে যায় ছন্দপতন। রক্সি সিনেমা হলে শো চলাকালে এবং স্টেডিয়ামে তৈরি প্যান্ডেলে চলমান সার্কাসে আকস্মিকভাবে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় নিহত হয় তিনজন। আহতসহ পঙ্গু হয়ে যায় শতাধিক নারী পুরুষ। ভয়াবহ এই হামলার পর থেকে বন্ধ হয়ে যায় ঐতিহাসিক এ গুড়পুকুরের মেলা। প্রতিবছর মনসাপূজা ও বিশ্বকর্মাপূজা অনুষ্ঠিত হলেও মেলা ছিল অনুপস্থিত। এবার সাত বছরের মাথায় আতংকের বোঝা নিয়ে সাতক্ষীরায় শুক্রবার আবারও শুরু হতে যাচ্ছে এ মেলা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।