আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শয়তান হিটলার - (১)



বুদ্ধিজীবী,উন্নত সংস্কৃতি এবং শ্রমিক আন্দোলনকে মনেপ্রানে ঘৃ্নাকারী ব্যক্তি ছিলেন এডলফ হিটলার। ১৯৬৮ সালে গুলিস্তান প্রক্ষাগৃহে দেখানো হয়েছিল হিটলারের রচিত গ্রন্থ 'মাইন কামফ' অবলম্বনে চলচ্চিত্র। 'মাইন কামফ' গ্রন্থটি নানা কারনে আলোচিত। এতে বিধৃত হয়েছে হিটলারের উগ্র জীবন দর্শন। 'মাইন কামফ' গ্রন্থ থেকে রয়েলটি বাবদ আয় করেছিলে ৬ কোটি ৫০লাখ ডলার।

অর্থ আর বিত্তের প্রতি প্রচন্ড লোভ ছিল হিটলারের। নানান কৌশল করে হিটলার পর্যাপ্ত ধন সম্পদ সংগ্রহ করেছিলেন। বলাকায় আন্তজার্তিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছিল- 'হিরোশিমা মাই লাভ'। মূল চরিত্র মাত্র ৫ টি। মা,বাবা,ছেলেটি মেয়েটি এবং এক জার্মান।

যুদ্ধের কারনে বিধ্বস্ত জনপদের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা কীভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে তা ছবিতে দেখানো হয়েছে। ছবিটা দেখলেই চোখ ভিজে উঠে। হিটলার আর তার যুদ্ধবাজ সেনা নায়েকেরা ডাচাউ ক্যাম্পের গ্যাসচেম্বারে পুড়িয়ে মারা হয়েছে অসংখ্য শিশু,নারী,পুরুষদের। এমন তথ্যও পাওয়া গেছে ইহুদিদের শরীরের চর্বি দিয়ে বানানো হয়েছে সাবান। চামড়া দিয়ে বানানো হয়েছে শৌখিন ব্যাগ।

এসব ব্যহার করতো জার্মান অভিজাত সম্প্রদায়ের মহিলারা। (আমার মনে হয় তারা মস্তিস্ক বিকৃত ছিলেন। ) হিটলারের প্রেমিকা ছিলেন ইভা ব্রাউন। ইভা দারুন সুন্দরী ছিলেন। ১৯৪৩ সালে ইভা হিটলারকে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি বু্কমার্ক উপহার দিয়েছিলেন।

যাতে খোদাই করে লেখা ছিল- 'প্রিয় এডলফ দুঃখ করো না'। (এইখানে আর একটা কথা জানিয়ে দেই,পরে হয়তো ভুলে যাবো- নাৎসিবাদ ও ফ্যাসিবাদ ছিল এক'ই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। )হিটলার মনে করতেন ইহুদিরা হচ্ছে ভবঘুরে জাতি,তাদের কোনো দেশের উপর মায়া বা আনুগত্য নেই। অসহিষ্ণু মানুষ হিটলার। ১৯৩৪ সালে হিন্ডেনবুর্গের মৃত্যু হলে হিটলার জার্মানির একচ্ছত্র অধিনায়কের পদ গ্রহন করেন।

তারপর একে একে সব ক্ষমতাকে নিজের হাতে তুলে নেন। যদি যুদ্ধ থেকে ফিরে আসি,তুমি আমাকে খাবার পানি আর ভালোবাসা দিও প্রিয়তমা আমার। /যদি তোমার দু'চোখ জলে ভরে যায়,তবু তুমি আমার। (হঠাৎ কবিতার লাইন দু'টি মাথায় এলো তাই লিখে দিলাম। )আর কবি আল মাহমুদের কবিতার তিনটি লাইন মনে পড়লো,অনেক আগে পড়েছিলাম- "আপনি চলে যাবার পৃথিবীর সব ক'টি শাদা কবুতর ইহুদি মেয়েরা রেঁধে পাঠিয়েছে মার্কিন জাহাজে।

" ১৯৪৪ সালে ২৬ আগষ্ট বন্দিশিবিরের এক বন্দির মৃত্যুর আগে লেখা শেষ চিঠি, তার প্রিয়তমা ক্লারিজাকে লেখা - *যে গভীর শোক তোমাকে দিতে হলো তার জন্য ক্ষমা চাইছি আমি। আমি এ কথা গভীরভাবে বিশ্বাস করি,আমি আগের মতোই তোমার সাথে সাথে থাকব। এটুকু বিশ্বাস আর প্রত্যয় নিয়ে মৃত্যুবরন করছি। আজকের আকাশটা কী ঘন নীল। গাছে গাছে কত পাখি!আর কি ঠান্ডা বাতাস!আমাদের সন্তানকে শিখিয়ো আদর আর ভালোবাসার কথা।

তারা যেন ভালোবাসাকে অনুভব করতে পারে। হৃদয় দিয়ে যেন মানুষকে ভালোবাসতে পারে। আমি যে তোমাকে ভীষন ভালোবাসি। আমি জানি, পরাজয়কে কখনো স্বীকার করবে না তুমি। ক্রমাগত এগিয়ে যাবে সামনের দিকে।

যদিও প্রতিনিয়ত তোমার নিজেকে মনে হবে একা,কিন্তু যেনো আমার অদেহী সত্তা সব সময় তোমার সাথে সাথে থাকবে। আমি তোমার জন্য প্রার্থনা করছি,তুমি যাতে শক্তি আর সাহস লাভ করো। তুমিও আমার জন্য সেই প্রার্থনা করো। ঈশ্বর তোমাকে ও সন্তানদের মঙ্গল করুন। তোমার- অ্যাডাম ।

হিটলারকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ছিলো স্টাউন ফেনর্বগ। এক সম্মেলনর সময় গোপনে 'স্টাউন ফেনর্বগ' হিটলারের টেবিলের নীচে রেখেছিল টাইম বোমা। সেই বোমার বিস্ফোরনে সম্মেলনে কক্ষের অনেকের মৃত্যু হলেও হিটলার অলৌকিক ভাবে বেঁচে যায়। এ ঘটনায় দোষী চিহ্নিত করে হিটলার ৫ হাজার লোককে ফাঁসি দিয়েছিলেন। হিটলারের ছিল প্রচন্ড রকমের ইহুদিবিদ্বেষ।

তিনি একথা বিশ্বাস করতেন,পৃথিবীর সব অশুভ ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী হচ্ছে ইহুদিরা। হিটলার অসংখ্য বার বলেছেন, ইহুদি জাত হলো ছার পোকা আর ইদুরের মতো প্রানী। তারা ইতর শ্রেনীর। আর এক পর্ব লেখার ইচ্ছা আছে। যদি আপনাদের অনুমতি পাই,কি বলেন আপনারা? তথ্যসুত্রঃ যুদ্ধ ও জীবন মানবতা বিরোধী সাপ্তাহিক ২০০০ নাৎসি বাহিনী এডলফ হিটলার পৃথিবীর এক বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম আলো অখন্ড


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।