শূন্য হৃদয়ে ডঙ্কা বাজে এ কিসের, জানো কি হে!
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠার আগেই ঘুম ভাঙ্গলো মা'র ফোনে। ফোন ধরতেই চিরচেনা শাসন। কি করিস। ঘুমাস নাকি। কি করছিস।
ঈদের ছুটিতে তো সবাই বাড়িতে চলে আসছে। তুই আসবি কবে। টিভিতে তো দেখতেছি ঢাকা শহরের মানুষ ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। তোর কি আরো কাজ পরে আছে।
আমি বললাম- মা আসতেছি।
কালকে চলে আসবো।
কেন? আর কি কাজ?
আজকেই চলে আয়।
আমি বলছি- আসি কালকে , এতো আগে এসে কি করবো। বাড়িতে তো কাজকাম কিছূ নেই। বসে বসে খাওয়া আর বেড়ানো।
মা আমার বলছে তবুও- চলে আয়।
রোজায় খাই কিভাবে, ইফতার কি দিয়ে করবো আরো নানা পরামর্শ তার।
ফোনে ছোট বোনটাও কিছু ঝাড়ি মতো দিলো।
ভাইয়া তোমার তো এখন ছুটি। আসবা কবে?
আমি মাকে বলছি এক কথা।
আর মনে মনে মা'র কোলে গিয়ে তখনই যেন বসে বলতে ইচ্ছে করছে, মা আমি তো আগেভাগেই চলে আসলাম।
আমি যে বাড়িতে আসার জন্য সবকিছু গুটিয়ে বসে আছি, মা'কে তো সেটা বলছি না।
কিন্তু মা যে আমার চিন্তায় বাঁচে না। ছেলে তার এখনো আসছে না। অন্য ভাইয়েরা ইতোমধ্যে বাড়িতে চলে এসেছে।
তাই ঈদের আগে কয়েকটা দিন বাড়িতে ভাই বোন সবাই মিলে ইফতার করার কথা বলছিল মা। কিন্তু দেরী করে এলে কি এটা সম্ভব।
মা'র মন যেন এমনই। চায় শুধু আগলে রাখতে।
আমি মনে হয় মা কে উপেক্ষা করে যাই।
আজ আমাকে রাতের মধ্যেই বাড়িতে যেতে হবে।
মা'কে যে গিয়ে বলতে হবে- তোমার কথা মতো আজই চলে এসেছি।
বোন যে অপেক্ষা করছে। ছোট ভাই বলছে- ভাইয়া সবার তো ছুটি, তুমি আসবা কবে।
আমি যে মনে মনে ভাবছি, বলছি- এখুনি আসছি।
কিন্তু মুখে তা বের হচ্ছে না।
তাই স্বপ্ন এবার সত্যি সত্যি যাচ্ছে বাড়ি।
ঈদের খুশির চেয়ে মা'র হাসি আমার অনেক প্রিয়।
(ঈদ হোক সবার জন্য আনন্দময়)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।