স্টাফ রিপোর্টার: এবার লালমনিরহাটে ৫৬ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার কিশামত হারাটী গ্রামে আক্রান্তদের শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনার পর পুরো জেলায় অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সিরাজগঞ্জ ও পাবনার পর লালমনিরহাটে অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত হওয়ায় উত্তরবঙ্গের মানুষ অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে ভুগছে। আজ আইসিডিআরবি ও স্বাস্থ্য অধিপ্তরের আলাদা দুটি টিম লালমনিরহাট পরিদর্শনে যাচ্ছে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছেন, কিশামত হারাটী গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে সিরাজুল হক মেনাজ (২৬) আনথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে গতকাল সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে জেলা সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক ওই গ্রামে গিয়ে পরীা-নিরীা করে ৫৬ জনকে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত বলে শনাক্ত করেন। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে চিকিৎসকরা জানান।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সিরাজুল হক মেনাজ জানান, চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রতিবেশী বাবুল হোসেনের একটি গাভী অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। অপর একটি গরু ৩০ আগস্ট অসুস্থ হলে সেটা জবাই করে ওই গ্রামে মাংস বিক্রি করা হয়।
ওই গরুর মাংস খাওয়ার তিন চার দিন পরে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয় সে। তার বাম হাতের আঙ্গুলে গুটি এবং ত দেখা দিলে বাজারে একজন হোমিও চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেয়ার জন্য যায় সে। হোমিও চিকিৎসক সন্দেহবশত সিরাজুলকে মঙ্গলবার লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুতাসিম মেহেদী মাসুম পরীা নিরীা করে সিরাজুলকে অ্যানথ্রাক্স রোগী বলে শনাক্ত করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সিরাজুল ইসলাম মেনাজ কিউটিনিয়াস অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত।
বর্তমানে সে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আলাদা একটি কে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
খবর পেয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোখলেছুর রহমান সরকার, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবু হোসেন সরকার, লালমনিরহাট সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলমসহ একদল চিকিৎসক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তারা ওই গ্রামের সিরাজুল ও জেবেদা খাতুনসহ আরও ৫৬ জনকে অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় সারা জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। লালমনিহাট জেলা প্রশাসক মোখলেছুর রহমান সরকার জানিয়েছেন, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ৫৬ জনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলাবাসীকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আতঙ্কিত হবার বা ভয়ের কোন কারণ নেই। অ্যানথ্রাক্স রোগে মানুষের মৃত্যু হয় না। ওষুধ খেলে খুব দ্রুত এ রোগ আরোগ্য হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।