রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় মুক্তি পাচ্ছেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাতিজা সাব্বির আহম্মদ ওরফে গামা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২০ আসামি। রাষ্ট্রপতির আদেশটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সোমবার বিকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌছেছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক তৌহিদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ২০ জন আসামির মুক্তির রাষ্ট্রপতির আদেশটি বিকালে পেয়েছি। এরপরই বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আমাদের এখানে (ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার) ১০ জন বন্দি রয়েছে।
"
বাকি ১০ বন্দি রয়েছেন রাজশাহী কারাগারে। বন্দিরা সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। বন্দিরা হলেন নলডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম ফিরোজ শাহ, নাটোর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের বাবা আনিসুর রহমান, ফয়সাল হোসেন, সেন্টু শাহ, শাজাহান শাহ, জাহেদুল ইসলাম, বাদল শাহ, ফজলুল হক শাহ্, ফারুক হোসেন, আ. জলিল, জহুরুল শাহ্, সাজ্জাদ হোসেন, সোহাগ, বাবলু, আবুল, আতাউর, আশরাফ, ফরমাজুল, ফকরউদ্দিন ও ওহিদুর রহমান।
এরা সবাই চারদলীয় জোট সরকার আমলের ভূমি উপমন্ত্রী এবং বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাতিজা সাব্বির আহম্মদ ওরফে গামা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের নাটোর প্রতিনিধি জানান, ২০০৪ সালের ৭ ফেব্র"য়ারি বিকেল ৫টার দিকে নলডাঙ্গা থানার রামশারকাজিপুর আমতলী বাজারে রুহুল কদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাতিজা গামাকে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে।
মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর হত্যাকারীরা সর্বহারা জিন্দাবাদ শ্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গামার বাবা রফিকুল ইসলাম তালুকদার বাদি হয়ে ৮ ফেব্র"য়ারি নলডাঙ্গা থানায় আওয়ামী লীগ নেতা এস এম ফিরোজসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।
২০০৬ সালের ২৪ অগাস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক ফিরোজ আলম ২১ জনের ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন। ।
গত ১৫ এপ্রিল আসামিরা কারাগার থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেন।
রাজশাহী কারাগারের জোষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক পার্থ গোপাল বণিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের রাজশাহী প্রতিনিধিকে জানান, রাষ্ট্রপতির আদেশের বিষয়টি তারা শুনলেও এখনো লিখিত কোনো কপি পাননি।
----------বিডিনিউজ।
যে খুন হয়েছে সে বা তারা বিএনপি পন্থী এবং আসামীরা আওয়ামীলীগ পন্থী। পুলিশের তদন্ত রিপোর্ট ও বিচারকের বিচারের আওতায় তাদের ফাসি দেওয়া হয়।
কিন্তু বাংলাদেশের এখানেও রাজনীতি চলে। কেন ২০ জনকেই ফাসি মওকুফ করা হল। তাহলে বাদি পক্ষ বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। কেন অন্তত যে প্রত্যক্ষ ভাবে বেশী দোষী তাকে ফাসি দিলেও মেনে নেয়া যেত। এই খানে যদি আসামীরা আওয়ামীলীগ পন্থী না হইত তাহলে হয়ত তাদের ক্ষমা করা হত না!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।