মঙ্গলবার টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন।
জরুরি অবস্থা ঘোষিত রাজ্যগুলোতে আরও সেনা পাঠিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
চলতি মাসে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় শক্তিশালী অবস্থানে থাকা ইসলামি জঙ্গিদল বোকো হারাম নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারী দপ্তরগুলো লক্ষ্ করে চালানো হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি করে।
পরিস্থিতি মোকবিলায় উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় তিনটি রাজ্য বরনো, ইয়োবি ও আদামাওয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন জোনাথন।
ভাষণে তিনি বলেন, “আমরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র বিদ্রোহের মোকাবিলা করছি, এটি আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতি মারাত্মক হুমকি তৈরি করেছে।
”
“তারা সরকারি ভবনগুলোয় ও স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। তারা নিরপরাধ নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের খুন করছে। তারা ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে নারী ও শিশুদের ধরে নিয়ে পণবন্দি করছে। এই সব তৎপরতা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল,” বলেন তিনি।
নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে চাদ হ্রদের আশপাশের এলাকা এখন বিদ্রোহী বোকো হারাম জঙ্গিদের দখলে আছে বলে বিভিন্ন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা ওই এলাকা থেকে পালিয়ে গেছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জরুরি অবস্থা ঘোষিত রাজ্যগুলোতে অতিরিক্ত সেনা পাঠোনোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জোনাথন।
গত সপ্তাহে বোকো হারাম জঙ্গিরা বাস ও মেশিনগান বসানো পিকআপ ট্রাকে করে এসে বরনো রাজ্যের বামা শহর কয়েক ঘন্টা দখল করে রেখে ব্যাপক হত্যা, লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। দুটি কারাগারে হামলা চালিয়ে প্রায় ১শ’ বন্দি বিদ্রোহীকে মুক্ত করে নিয়ে যায়।
তাদের হামলায় শহরে মোতায়েন সেনা ও পুলিশ বাহিনীর ৫৫ জন সদস্য নিহত হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।