সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রতারণার শিকার ৫৭ বাংলাদেশীর দুর্ভোগ
লুৎফর রহমান
সোনার হরিণের সন্ধানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসে সর্বস্ব খুইয়েছে প্রায় অর্ধশত বাংলাদেশি। বেতন খাবার না পেয়ে এই বাংলাদেশিরা এখন খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাস আল খাইমা প্রদেশের আল খরান এলাকার নুর টেক নামক একটি সাল্পাইয়ার কোম্পানীতে চাকরি নিয়ে এসেছিলো ভাগ্যাহত এই ৫৭ জন বাংলাদেশী শ্রমিক ।
উল্লেখ্য, প্রায় ৫ মাস আগে চাকরী দেওয়ার কথা বলে বাংলাদেশের বসুন্ধরা এন্ট্রারপ্রাইজ, আরফিন এন্টারপ্রাইজ ও ছুপী এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় ২০০ জন বাংলাদেশী শ্রমিক আনা হয়। ইতিমধ্যে ১৪৩ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
উচ্চ বেতন ও ভালো সুযোগ সুবিধার কথা বলে শ্রমিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি আড়াই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পচাত্তর হাজার টাক নেয়া হয়। পক্ষান্তরে ঐ শ্রমিকরা যখন আল নুর টেক কোম্পানীতে আসে তাদের কাউকে আর ভিসা লাগিয়ে দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে তারা জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে কোম্পানীর মালিক পালিয়েছে। এমতবস্থায় তাদের থাকা খাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। পরিস্থিতির খবর শুনতে পেয়ে প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী পেয়ার মোহাম্মদ বর্তমানে তাদের খাবার চালিয়ে যাচ্ছেন।
তবে তার এই সহযোগিতা কতদিন চলবে সেটাই এখন চিন্তার ব্ষিয় !
এ রিপোট তৈরি করার পূর্বে তাদের এ সংবাদ শুনে দুবাইস্থ কনস্যাল মোঃ আবু জাফর ঘটনস্থলে যান এবং শ্রমিকদের পাওনা টাকা আইনিভাবে সংগ্রহ করা ও দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর আশ্বাস দেন। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ব্ঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ সহ বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ দূর্দশাগ্রস্থ শ্রমিকদের দেখতে গিয়েছেন।
http://www.notundesh.com/onnoghor.html
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।