তুমি যেন কেমন হয়ে গেছো, কিছুটা অপরিচিত ... ... ...
আসসালামু আলাইকুম পাঠক
গত ১৬ জুলাই ০৭ আমি আমিরাত এয়ারলাইন্সে করে দুবাই আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে এসে পৌছেছিলাম। দু:খিত আপনাদের সেটা জানালাম আজ ২১ জুলাই ০৭। এটার অবশ্য একটা কারনও আছে। কারণ কিছু অফিসিয়ার কাজ ছিল সেটা সারতে একটু ব্যস্ত ছিলাম।
সিঙ্গাপুর থেকে আসার পর আর বিদেশ যাওয়ার চিন্তাটা মাথা থেকে বিদায়ই করে দিয়েছিলাম।
কিন্তু আমার বড় মামা থাকেন আরব আমিরাতের 'সারজাহতে'। উনি আমার জন্য একটা ভিসা প্রসেস করে আমার ফোন করে বললেন আমি আগ্রহী কি না? আমিতো প্রথমে মামাকে পাততাই দিলাম না। পরে আমার কর্মস্থলের পদের কথা শুনে মনটা একটু নরমই হয়ে গেল। একটি গ্রফিক্স ডিজানিং কোম্পানীতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার পদের কথা (তার উপর দুবাইর মত শহরে) শুনে কারই না লোভ হয় বলুন। চট করে রাজি হয়ে গেলাম।
আমিরাত এয়ারলাইন্সের ইকে-৩৮৭ ফ্লাইটে চলে এলাম দুবাই। এয়ারপোর্টের সব কাজ শেষ করে বের হতেই দেখি আমার ছোট মামা আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। তাকে দেখার পর একটু স্বত্বি পেলাম।
এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে যখন রাস্তায় এসেছি তখন মনে হল কোথায় যেন আগুন লেগেছে। আসলে ওটা আমার ভুল ধারণা ছিল।
ওটাই হল এখানকার তাপমাত্রা। মামাকে বললাম এত গরম কেন, উনি হেসে বললেন, আজকেতো তাপমাত্রা খুব কম মাত্র ৪৭ ডিগ্রী। এ কথা শুনে আমি তো
এয়ারপোর্ট থেকে মামার গাড়ী করে রওয়ানা হলাম মামার বাসা "আজমান শহরে"। আরজমান যেতে হলে দুবাই এবং শারজাহ শহর ক্রস করতে হয়। এদেশের রাস্তা খুব প্রসস্ত হলেও আমাদের দেশের মত ট্রাফিক জ্যাম লক্ষ্য করলাম যেতে যেতে।
দীর্ঘ ৪৫ মিনিট ধরে চলল গাড়ী। যেতে যেতে চোখে পড়ল অনেক বড় বড় দালান, চোখে পড়ল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিল্ডীং (কাজ চলছে)। মনে হল ও যেন পৃথীবি ছেড়ে আকাশকে ছুয়ে ফেলেছে।
চলবে .........
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।