লিবিয়ার বোরাক আল শাফির একটি পুলিশ স্টেশনের সামনের রাস্তায় ১৯৬ জন বাংলাদেশী এবং ৩০ জন ভারতীয় শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছেন। তারা চারদিন ধরে প্রায় অনাহারে দিনাতিপাত করছেন বলে একজন বাংলাদেশী শ্রমিক লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে শুক্রবার জানিয়েছেন।
তবে এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।
ত্রিপোলি থেকে নয়শ' কিলোমিটার দূরে সাবা জেলার বোরাক আল শাফি এলাকার 'আল রায়েদ' নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে চাকরি নিয়ে প্রায় দেড় বছর আগে এসব বাংলাদেশী লিবিয়া যান বলে জানান শ্রমিক রবিউল হক।
ত্রিপোলি থেকে টেলিফোনে শ্রমিক রবিউল হক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, প্রথম থেকেই তাদের খুব নিন্মমানের খাবার দেওয়া হতো।
অকারণে শ্রমিকদের মারধর ছিলো নিয়মিত ঘটনা। মারধরের শিকার অনেকের পিঠ ও হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে গেছে।
তিনি বলেন, "খাবার সময় এরা ভাতের থালা লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। কষ্ট করে টাকা রোজগারের জন্যে এদেশে এসেছি। কিন্তু এখন আমাদের জীবনই হুমকির মুখে পড়ায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছি।
আমাদের টাকা দরকার নাই, দেশে ফেরত পাঠাক। "
'প্রতারিত' বাংলাদেশী শ্রমিকরা টেলিফোন ও ই-মেইলে অভিযোগ করেন, আল রায়েদ নামের প্রতিষ্ঠানটি পাসপোর্ট আটকে সব শ্রমিককে একপ্রকার কারারুদ্ধ করে রাখে। মার্কিন ডলারে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও শ্রমিকদের দিনারে বেতন দেওয়া হয়, যা অনেক কম।
তাদের অভিযোগ, ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এবং ঢাকার সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সি গুলশান-১ এর 'রিয়াজ ওভারসিজ'কে এসব অভিযোগ জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ বিষয়ে ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) হাসান কিবরিয়া সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে টেলিফোনে তিনি বলেন, "শ্রমিকদের সমস্যার বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে আমাদের একজন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসার আগে আমাদের কিছুই জানায়নি। এখন বেরিয়ে আসার পর লিবিয়ার আইনের কারণে কিছু করা যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি, যেন শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানটিতে ফিরে যায়। কারণ, চুক্তি অনুযায়ী দুই বছর তারা সেখানে কাজ করতে বাধ্য। এর আগে বিমানভাড়া ফেরত পাওয়া যাবে না।
"
তবে শ্রমিক রবিউল হক জানান, দূতাবাস থেকে হারুন নামের একজন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তিনি ইংরেজি ও আরবি জানেন না। শ্রমিকদের সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ না করেই ওই কর্মকর্তা মালিকপক্ষের সঙ্গে ঘুরছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
দূতাবাস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রমিকদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসান কিবরিয়া বলেন, "শ্রমিকদের অভিযোগের পরে তাকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এখন আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পাঠানো হবে।
"
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই আমি প্রথম শুনলাম। এখন খোঁজ খবর নিয়ে দেখি কী করা যায়। "
তিনি কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "এসব কারণে বিদেশের বাজার নষ্ট হচ্ছে। এত কষ্ট করে বাজার খুঁজে বের করি, আর তা কিছু শ্রমিকের কারণে হাতছাড়া হয়ে যায়। "
সূত্রঃ বিডি নিউজ.
এখানে শ্রমিকদের কথামত বোঝা যাচ্ছে, তারা সেখানে দূতাবাসে যোগাযোগ করলে আমাদের জমিদার কুটনিতিক(খাচ্ছে, বউ বাচ্চা নিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে আর ঘুমাচ্ছে?!!) এমন একজনকে পাঠান তিনি সেখানে কলাগাছের ভুমিকা পালন করেন।
আবার অভিযোগ করলে আর একজন কর্মকর্তা পাঠাবেন বলে যানান।
এখানে প্রশ্ন বিদেশে কূটনিতিক দের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। তাদের দ্বারা দেশের কতটুকু উপকার হচ্ছে? যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন । এই কাজটিকে এমনই গুরুত্ব দিয়েছে একই কাজ দুইবারে করতে হচ্ছে!! উচিত হবে ঐসব কর্মকর্তাদের দেশে এনে জবাব দিহি করে কর্তব্যে অবহেলা করার জন্য বিচার করা।
এখানে উল্লেখ করতে চাই মাহফুজ আহমেদের 'তোমার দোয়ায় ভালো আছি মা' নাটকটি দেখে যে কোনো ব্যাক্তির কান্না আসবে।
কত বিপদেই না পড়ে আমাদের বীর শ্রমিকেরা দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে ভালো রাখছে, আর তাদের প্রতি কোনো দরদ নাই কেনো ....???
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।