আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মান সমগ্র বাংলাদেশীদের মানের চেয়েও অনেক অনেক বেশী!!!

জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি... শেখ হাসিনা তার সরকারের সমালোচকদের কিছু বলতে বা এক হাত ছেড়ে দেননি বিশেষ করে বিরোধীদলের নেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে তো নয়ই। বিদেশের মাটিতে গিয়ে বিএনপিকে বলেছিলেন "চোর বাটপার" এছাড়াও দেশে এমন কোন অনুষ্ঠান বাদ নাই যেখানে তিনি বিএনপিকে ধোলাই ও বিষোদগার করেননি। যখন যে ইস্যূ মুখে এসেছে ছুড়ে মেরেছেন। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও শেখ হাসিনা প্রতিহিংসাপরায়ন বা সংযত আচরণ করতে নিজেকে বিরত রাখতে পারেননি। বিএনপি আওয়ামীলীগের একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হয়তো সেজন্যই এমন তিরষ্কার, বিষোদগার এবং অশ্রদ্ধা কিন্তু যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মোটেও কাম্য নয়।

এটাতো গেলো বিএনপি কথা এবার আসি অন্য সমালোচকদেরও শেখ হাসিনা ছেড়ে দেননি যখন পেরেছেন একহাত নিয়েছেন.... আমাদের দেশে একমাত্র নোবেল বিজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রকাশ্যে বলেছিলেন "সুদখোর এবং গরিবের রক্ত চুষে খেলে ধরা খেতে হয়। " এমনকি পরিশেষে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে খোড়া যুক্তি দেখিয়ে বের করে দিলেন। তখন ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের সন্মানহানি ঘটেনি এমনকি ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনাকে একহাত নেননি কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মান একজন ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের মানের চেয়ে অনেক বেশী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যূৎ নিয়ে সমালোচকদের বলেছেন "বিদ্যূৎ লাইন কেটে দিতে। " এমনকি জ্বালানী উপদেস্টাতো একধাপ এগিয়ে রেন্টাল বিদ্যুৎ সমালোচকদের জ্ঞানপাপী বা দেশদ্রোহী বলে ছেড়েছেন তখন ঐ সমস্ত সমালোচকদের সন্মানহানি ঘটেনি।

কারণ আওয়ামীলীগের সবাইতো শ্রেষ্ঠ দেশপ্রমিক বাকী সবাই রাজাকার বা দেশদ্রোহী। সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করে হৃদয়হীন উক্তি করে ছিলেন...."সরকারের পক্ষে কারো বেডরুম পাহাড়া দেওয়া সম্ভব নয়" প্রধানমন্ত্রীর এই কথয় দেশে ব্যাপক সমালোচনা উঠে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কি যায় আসে তিনিতো সকল কথা ও আইনের উর্ধ্বে। বছর দুই আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা স্যুটেট-বুটেট না থাকলেও কাজে চৌকস। কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই। এখন দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ঠিকমতো চলছে না।

উপরোন্ত পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার সহযোগিতা না করায় ঋণচুক্তিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এরপরও প্রধানমন্ত্রী কি জোর দিয়ে বলতে পারবেন, তাঁর কেবিনেটের সবাই সৎ? অবস্থা দৃষ্টে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একতরফা জয়লাভের ফলে আমরা সবাই আজ আওয়ামীলীগের প্রজায় পরিণত হয়েছি। যাই হোক বর্তমান অবস্থায় এখন দেশের মাটিতে আমরা আম-জনতা যদি আওয়ামীলীগকে চোর বাটপার বা দূর্নীতিবাজ বলি তাহলে প্রধানমন্ত্রী আপনি কি আমাদেও এক হাত নিবেন। নিলেও কিছু করার নাই কারণ আমাদেরতো আর পা চাটা সমর্থক নাই যে মানহানি ঘটলে কেউ আপনার বা আপনাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবে। দেখুন একটি নমুনা ১০০০ কোটি টাকার মানহানির মামলা Click This Link পরিশেষে বলি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার মান আর সারা বাংলাদেশের মানুষের মান এক পাল্লায় রাখলেও আপনার মানের সমকক্ষও নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.