ধারণা করা হচ্ছে খনির অভ্যন্তরে ২০ জনেরও বেশি শ্রমিক আটকা পড়েছে। মঙ্গলবার খনিটির সুরঙ্গে ধস নামলে এই হতাহত ও আটকা পড়ার ঘটনা ঘটে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ফ্রিপোর্ট বলেছে, ‘উদ্ধার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল এবং এই অভিযান সম্পন্ন করতে বেশকিছু সময় প্রয়োজন। ’
ফ্রিপোর্টস ইন্দোনেশিয়া সাবসিডিয়ারি জানিয়েছে, খনিটির সুরঙ্গটি ধসে পড়ার সময় ৪০ জন শ্রমিক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছিল।
ধসের পরপরই তিনজন শ্রমিক খনি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
কিন্তু উদ্ধার হওয়া ১০ শ্রমিকের অবস্থা কি তা জানা সম্ভব হয়নি।
এই উদ্ধার অভিযান ফ্রিপোর্ট পরিচালনা করছে বলে পুলিশের একজন মুখপাত্র জেরেমিয়াস রনটিনি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছে।
ওই মুখপাত্র বলেন, পরিস্থিতি অনিশ্চিত। কারণ ভূমির অবস্থা ভঙ্গুর এবং অব্যাহতভাবে পাথর পড়ছে।
গ্রেসবার্গ নামক এই খনিতে কাজ করেন ২৪ হাজার মানুষ।
কিন্তু এই দুর্ঘটনার খবর যাচাই ও বিস্তারিত সংবাদ সংগ্রহ বেশ কঠিন। কারণ পাপুয়ায় বিদেশি সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ইন্দেোনেশিয়া বলছে, বিদেশি সংবাদমাধ্যমের জন্য এই প্রদেশ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো দাবি করছে, গোলযোগপূর্ণ প্রদেশটিকে পর্যবেক্ষকদের থেকে আড়াল করার জন্যে এটি জাকার্তার একটি কৌশল।
১৯৬৯ সালে এক বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্যদিয়ে পাপুয়া ইন্দোনেশিয়ার মূল ভূখন্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়।
ওই নির্বাচনকে পাপুয়ার অনেক নাগরিক ‘লজ্জা’ বলে অভিহিত করে থাকেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।