বলা হয়ে থাকে 'বর্ বর্' নামক সংস্কৃত অব্যয় থেকে বাংলায় বর্বর শব্দটি তৈরি হয়েছে। এটার আভিধানিক অর্থ ছিল বর্বরের গ্রিক barbaros বা লাতিন barbarus এবং ইংরেজি barbarian এর সমগোত্রীয়।
ইংরেজি barbarian এর মূল অর্থ foreigner বা বিদেশী। সংস্কৃতেও বর্বর শব্দটি আছে।
সংস্কৃতে যেমন বর্বর বলতে অশিষ্ট বোঝায়, বাংলায়ও তা-ই ।
কবি শামসুর রাহমানের এক কবিতায় রয়েছে :'জীবন যখন ক্রমে কেবলি শুকিয়ে যায়, ডোবে পাকের আবর্তে আর বর্বরের বাচাল আক্রোশে অবলুপ্ত জ্ঞানীর সুভাষ'।
সংস্কৃত বর্বর শব্দের গঠন হচ্ছে সংস্কৃত (ব্ + বর (বরচ)।
সংস্কৃত ব্যাকরণের একটি সূত্রে বলা হয়েছে 'ফাল্গুন গগনে ফেনে ণত্বমিচ্ছন্তি বর্বরা' অর্থাৎ যারা অশিষ্ট তারাই ফাল্গুন, গগন আর ফেন লিখতে মূর্ধন্য 'ণ' ব্যবহার করে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর 'আফ্রিকা' কবিতায় লিখেছেন 'সভ্যের বর্বর লোভ/নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা। '
বিশেষ্যে বর্বর মানে অসভ্য জাতি আর বিশেষণে অসভ্য, অমার্জিত, অশিষ্ট, পাশবিক, নিষ্ঠুর।
বর্বরতাও বিশেষ্য। বর্বরতা মানে অসভ্যতা, অশিষ্টতা (হেন সহবাসে, হে পিতৃব্য, কেন না শিখিবে -- মধৃসূদন দত্ত)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।