ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের ভদ্রাসন গ্রামের দরিদ্র সুলতান বেপারী অসভ্য বদমাশ সমাজপতিদের চাপে পড়ে নিজের ছেলের চোখ উপড়ে তুলে নিতে বাধ্য হন। এ ধরণের অনৈতিক ও অমানবিক নৃশংস ও লোমহর্ষক কাজে প্রথমে বাপ ও চাচা রাজী না হলে ঐ বদমাশগুলি তাদেরও চোখ উপড়ে তুলে নেবার ভয় দেখালে বাপ বাধ্য হয়ে এই বর্বর কাজটি করতে বাধ্য হয়। ঐসব বদমাশদের হাতে-পায়ে পড়েও বাপ-চাচারা রেহাই পায় নি। বদমাশদের গুরুঠাকুর ঐ ইউনিয়নের চরিত্রহীন চেয়ারম্যান পুঙ্গবও বদমাশদের পক্ষে সাফাই গেয়েছে। এ ব্যাপারে ভাঙা থানার অপদার্থ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যে ভূমিকা দেখিয়েছে, তাও সত্যিকার অর্থে নিন্দনীয়। সে তাৎক্ষণিকভাবে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ডায়েরীভুক্ত না করে ঐ দরিদ্র পিতাকে ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উপদেশ খয়রাত করেছে। ঐ বর্বরদের বিরুদ্ধে কোনরূপ রপদক্ষেপ নেয়া থেকে সে নিজেকে বিরত রেখে পরোক্ষে ঐসব বদমাশদেরই মদদ যুগিয়েছে। এসকল বদমাশদের বিরুদ্ধে এক্ষুণি কঠোরতম ব্যবস্থা না নেওয়া হলে গোটা সমাজ-ব্যবস্থাতেই সুস্থ জীবন-যাপন অকালেই বিপন্ন হবে। দেশটাকে কি ঐসব বদমাশরাই নিয়ন্ত্রণ করবে ?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।