‘অফিসে সফলতা পেতে চান? তাহলে দুটো নিয়ম মনে রাখুন।
এক, বস সব সময় সঠিক।
দুই, যদি কখনো বস ভুলও হন, তবে এক নম্বর নিয়ম অনুসরণ করুন!’
এই কৌতুক বেশ জনপ্রিয়। বসের সঙ্গে কর্মীর সম্পর্ক নিয়ে চালু আছে আরও নানা গল্প। কেমন হতে পারেন একজন বস? টেবিলের ওপ্রান্তে বসে গম্ভীর মুখে নির্দেশ দিতে পারেন।
আবার অফিসে ঘুরে ঘুরে কাজের অগ্রগতির খোঁজ জানতে পারেন গল্প-আড্ডায়।
এই সময়ের কয়েকজন তরুণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কাজের ক্ষেত্রে বন্ধুভাবাপন্ন বসই অধিকাংশের পছন্দ।
কথা হলো বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের সহকারী ব্যবস্থাপকের সঙ্গে, যিনি শুরুতেই নামটা প্রকাশ না করার অনুরোধ করলেন। তারপর হাসতে হাসতেই বলেন, ‘বসের সম্পর্কে বললে তাঁর প্রতিক্রিয়া আসলে কী হবে, জানি না। আমার বস কাজ ছাড়া খুব কম কথা বলেন।
কাজ হয়ে যায় ঠিক, কিন্তু সব সময় তটস্থ থাকতে হয়। বন্ধুভাবাপন্ন হলে হয়তো ভালো হতো। এটাও ঠিক, আমাদের তো করপোরেট অফিস, কাজের এত চাপ যে কাজ ছাড়া কথা বলার সুযোগই হয় না। ’
অফিসে কর্মীর কাজের মান নির্ভর করে মনের অবস্থার ওপর। মন ঠিক থাকলে কাজ হয় চমৎকার।
আবার মানসিক অবস্থা বিপর্যস্ত হলে সহজ কাজটাও গুবলেট হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অফিসে এসে ‘প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মতো’ রাগী বসের সঙ্গে দেখা হওয়া খুব একটা পছন্দ নয় তরুণদের। বন্ধুর মতো যিনি কথার গুরুত্ব দেবেন, সমস্যাগুলো বুঝবেন, কথা বলার সুযোগ দেবেন এবং ভুলটাও ধরিয়ে দেবেন—বস এমনই তো ভালো। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।