টরন্টোর দুই মেয়রপ্রার্থীর কেলেংকারি
স্মিথারম্যান মাদকাসক্ত ছিলেন, গ্রেফতার হয়েছিলেন ফোর্ড
নতুনদেশ ডটকম
টরন্টো সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন মেয়র নির্বাচনে প্রভাবশালী প্রার্থী সাবেক ডেপুটি মেয়র জর্জ স্মিথারম্যান এক সময় মাদকাসক্ত ছিলেন। টানা পাঁচ বছর তিনি মাদক সেবন করেছেন। আরেক প্রভাবশালী প্রার্থী রব ফোর্ড অবৈধভাবে মারিজুয়ানা রাখা দায়ে আদালতে তিনি অভিযুক্ত হয়েছিলেন এবং নিজে আদালতে অপরাধও স্বীকারও করেছিলেন। এমনকি তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিলেন।
নির্বাচনী প্রচারণায় শীর্ষে থাকা প্রবল প্রতিদ্বন্ধী এই দুই প্রার্থী নিজেরাই এই সব তথ্য দিয়েছেন সাংবাদিকদের।
শুরুটা অবশ্য হয় রব ফোর্ডকে নিয়ে। সাবেক ডেপুটি প্রিমিয়ার ও অন্টারিওতে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির সমর্থনপুষ্ট শক্তিশালী প্রার্থী জর্জ স্মিথারম্যানের বিপরীতে হঠাৎ করেই প্রচারনায় বর্তমান সিটি কাউন্সিলর রব ফোর্ড অনেকাংশে এগিয়ে গেলে তার ব্যাপারে সাংবাদিকরাও খোঁজ খবর নিতে শুরু করে।
অবৈধভাবে মাদক রাখার দায়ে রব ফোর্ড গ্রেফতার হয়েছিলেন কী না এক সাংবাদিক হঠাৎ করেই প্রশ্ন করে বসলে হতচতিক রব ফোর্ড সবকিছুই অস্বীকার করে বসেন। কিন্তু কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নিজেই প্রকাশ করেন সকল তথ্য।
রব ফোর্ড জানান, ১৯৯৯ সালে অবৈধভাবে মারিজুয়ানা রাখার দায়ে ফ্লোরিডায় তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং আদালতে তিনি দোষও স্বীকার করেছিলেন।
আদালত শাস্তি হিসেবে তাকে ৫০ ঘন্টার কমিউনিটি কাজ করার নির্দেশ দেয়। তিনি কানাডায় এসে ফুটবলের কোচ হিসেবে কাজ করেন। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেয়।
তবে সাংবাদিকরা ফাইল পত্র ঘেটে বের করেছেন, তিনটি পৃথক ঘটনায় ফোর্ডের বিরুদ্ধে চার বার অভিযোগ গঠন হয়েছে। ১৮ বছর বয়সে হকি খেলা নিযে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়।
২০০৮ সালে স্ত্রী হয়রানির দায়েও তার বিরুদ্ধে াভিযোগ গঠন হয়। ফ্লোরিডার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুটি চার্জ গঠন হয়েছিলো।
ফোর্ডের এই স্বীকারোক্তির পর পরই তার প্রতিদ্বন্ধী জর্জ স্মিথারম্যানও তার নিজের মাদকাসক্তির কথা প্রকাশ করেন। একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনি মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং পাচ বছর মাদক ব্যবহার করেছেন। কিন্তু পরে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।
আগ বাড়িয়ে নিজের মাদকাসক্তির কথা প্রকাশ করে দিয়ে জর্জ স্মিথারম্যান অবশ্য খানিকটা সুবিধাজনক জাযগা করে নিয়েছেন প্রচারনায়। কিন্তু ফোর্ড একবার অস্বীকার করে পরে স্বীকার তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তবে মেয়র প্রার্থী হিসেবে এখন এই দুইজনের নামই সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে আলোচনা হচ্ছে।
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।