২.০ মেগাপিক্সেল মোবাইল ক্যামেরায় চলছে। যোগাযোগ <<< photopagol@gmail.com >>>
আবারও এক মেধাবী ছাত্রী যৌতুকের বলি হলেন। গতকাল শনিবার সাভারের জামগড়ায় ইডেন কলেজের ছাত্রী নববধূ সালমা আক্তার শান্তার (২২) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শান্তার শ্বশুরবাড়ি থেকে পুলিশ গলায় ওড়না প্যাঁচানো লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে শান্তার স্বামী ফরিদ আলম, শ্বশুর হালিম মাস্টার ও শাশুড়ি পলাতক।
শান্তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, কয়েক দিন থেকে শান্তার স্বামী ফরিদ বাড়ি তৈরির কথা বলে তাদের কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল। টাকা না দেওয়ায় শান্তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত শান্তা ইডেন কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এ বছর প্রথম বর্ষের পরীক্ষা দিয়েছেন। তার লাশ গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। গতকাল
রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শান্তার মা শাহনাজ পারভীন সমকালকে জানান, গত ৮ জুলাই সৌদি প্রবাসী ফরিদ আলমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে শান্তার বিয়ে হয়।
গতকাল দুপুরে শান্তার স্বামীর এক বন্ধু তাদের ফোন করে জানান, শান্তা অসুস্থ। এরপর তারা সাভারের জামগড়ার বাসায় গিয়ে দেখতে পান বাড়ির সামনের কেঁচিগেট বাইরে থেকে তালাবদ্ধ। বাসার জানালার কার্নিশ দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে তারা দেখতে পান, গলায় ওড়না প্যাঁচানো শান্তার লাশ খাটের ওপর পড়ে আছে। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে বিকেল ৪টায় লাশ উদ্ধার করা হয়।
শান্তার মা আরও জানান, বিয়ের সময় তারা যৌতুক হিসেবে জামাইকে কয়েক লাখ টাকা দিয়েছেন।
এরপর কয়েক দিন আগে তারা জানতে পারেন, ফরিদ তার মেয়ের কাছে আরও তিন লাখ টাকা দাবি করছে। এরপর শান্তা তার স্বামীকে বলেন, 'বিয়ের সময় ১০ ভরি স্বর্ণ ও ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এরপর কেন আপনি আমার কাছে টাকা দাবি করছেন?'
শান্তার খালা আয়েশা মনসুর সমকালকে জানান, পরিবারের অনেকের মত না থাকলেও সাভারের জামগড়ার স্থানীয় প্রভাবশালী আলাউদ্দিন চৌধুরীর চাপের মুখে মেয়েকে ফরিদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন তারা। বিয়ের কাবিননামায় শান্তার অভিভাবক হিসেবে তার বাবা সৈয়দ আবদুস সামাদকে স্বাক্ষর করতে দেওয়া হয়নি।
শান্তার খালাতো বোন মিতু সমকালকে জানান, বিয়ের পর থেকেই শান্তার দেবর সফিকুল ইসলাম তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন।
ইডেনে পড়াশোনা করায় সফিকুল শান্তাকে নানা বাজে কথা বলতেন। এমনকি পড়াশোনা বন্ধ করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। ভাইয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফরিদ আলমও শান্তাকে পড়াশোনা বন্ধ করতে চাপ দেয়। শান্তার বাঁ পা ও ডান হাত ভাঙা ছিল। গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
চার ভাই-বোনের মধ্যে শান্তা ছিলেন দ্বিতীয়
সুত্র:
সমকাল প্রতিবেদক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।