একটি জাতিয় পত্রিকার খবরের উপর ভিত্তি করে আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোরকা পরতে বাধ্য না করতে আদেশ দিলে গত কাল শিক্ষা মন্ত্রনালয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই মর্মে পরিপত্র জারি করে যে , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক বা বোরকা পরতে বাধ্য করতে পারবেনা । যদি কোন প্রতিষ্ঠান কোন ছাত্রীকে বোরকা বা ধর্মীয় পোশাক পরতে বাধ্য করে তবে শিক্ষা মন্ত্রনায় আইনানুগ ব্যবস্থার নিবে । পরিপত্রে আরও বলা হয় ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য বোরকা পরতে বাধ্য করা যাবেনা ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হঠাৎ কেন এই আদেশ দেয়া হল তা আমরা বুঝতে পারছিনা । আর এই আদেশ দেয়ার পেছনে কি কারণ রয়েছে তাও আমরা বুঝিনা ।
যদি বাধ্যবাধকতার জন্য নিষিদ্ধ করা হলে ভিন্ন কথা । কিন্তু যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক বোরকা । অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট ইউনিফরম বোরকা। বিশেষ করে মাদরাসা গুলোতে মেয়েদের জন্য বোরকা নির্দিষ্ট । এটি মাদরাসায় পড়ার জন্য মানতে বাধ্য করা হয় ।
এটি মাদরাসায় শুধু ধর্মী পোশাক হিসেবে গণ্য করা হয় না বরং মাদরাসার ইউনিফরম হিসেবে ধরা হয়। তাদেরকেও যদি এই পরিপত্র মানতে বাধ্য করা হয় তবে প্রশ্ন উঠতে পারে যে সকল প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট পোশাক হিসেবে মেয়েদেরকে ফোরক আর ছেলেদের কে প্যান্ট, শার্ট পরতে বাধ্য করা হয় সে সকল প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী যদি তার প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পোশাক না পরতে চায় সে ক্ষেত্রেও কেন শিক্ষা মন্ত্রনালয় ঐ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বাধ্য করতে নিষেধ করছে না ।
শিক্ষা মন্ত্রনালয় আদেশে বলেন সংবিধানে ২৮ নং ধারার অনুযায়ী মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্যই এই আদেশ দেয়া হয়েছে । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোরকা পরার সাথে মানবাধিকারের কি সর্ম্পক রয়েছে তা আমাদের পরিস্কার ধবধবে মস্তক ধারি মন্ত্রীই জানেন। যদি বাধ্যবাধকতার জন্য বোরকাকে এই আদেশ দেয়া হয়ে এবং তাতে মেধাবিকাশে বাধা হয়ে দাড়ায় তবে সকল বাধ্যতা মূল পোশাক নিষিদ্ধ করতে হবে ।
অর্থাৎ যে সকল প্রতিষ্ঠনে নির্দিষ্ট ইউনিফনম রয়েছে যা না পরে আসলে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে দেয়া হয়না তা বন্ধ করতে হবে । এবং ঘোষনা দিতে হবে যে শিক্ষার্থী তার ইচ্ছে মত পোশাক পরে আসতে পারবে । তা যে কোন প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন । কোন প্রতিষ্ঠান তার শিক্ষার্থীকে কোন ধরনের নির্দিষ্ট পোশাক পরতে বাধ্য করতে পারবেনা । আর যদি এ ঘোষনা না দেয়া হয় তবে বুঝতে হবে বোরকা শুধু মাত্র ধর্মীয় পোশাকের সাথে মিলে যাওয়ায় কার কার গাত্র দাহর কারণে হীন উদ্দেশ্যে এই আদেশ দেয়া হয়েছে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।